পাড়ি দিই বাংলা চ্যানেল by মারুফ ইসলাম
শুনতে খারাপ লাগে, তবু এটাই সত্য, বাঙালির কাছে ইংলিশ চ্যানেল যতটা পরিচিত, বাংলা চ্যানেল ততটা নয়। কারণ কী? কারণ কি সেই রবিঠাকুরের অমর খেদোক্তি, ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া...?’ সে বিতর্ক না হয় অন্য কোথাও সারা যাবে; এখানে শুধু বলে রাখি, রবিঠাকুরের খেদোক্তির দিন ফুরিয়ে আসছে।
বাঙালি দিনকে দিন শিকড়সন্ধানী হয়ে উঠছে। তারা নিজ ঐতিহ্য চিনছে এবং চেনাচ্ছে বিশ্ববাসীকেও।
এই তো গেল সপ্তাহের ১৭ মার্চ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া নেদারল্যান্ডের সাঁতারু ভ্যান গুল মিলকোকে সঙ্গে নিয়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহীম, প্রথম বাংলা চ্যানেল বিজয়ী লিপটন সরকার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মনিরুজ্জামান। এতে করে বাঙালিরা আবারও জানল বাংলা চ্যানেলের কথা, জানল বিশ্ববাসীও।
মুসা ইব্রাহীমরা এই জানানোর কাজ করছেন প্রতিবছরই। গত বছর তাঁদের এই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর শুনে ই-মেইলে যোগাযোগ করেন মিলকো। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন পরের বছরের অভিযানের অভিযাত্রী হওয়ার। সানন্দে আমন্ত্রণ জানান মুসা। সেই ধারাবাহিকতায় এই ১৭ মার্চে মুসাদের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নামেন মিলকো।
সেদিন সকাল সাতটায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরী দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে এই চার অভিযাত্রী একসঙ্গে শুরু করেন সাঁতার। সবার আগে মাত্র তিন ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ব্যয় করে মিলকো পৌঁছে যান সেন্ট মার্টিনে। তখন ঘড়িতে ১০টা ৪৬। এরপর পৌঁছান লিপটন সরকার। তিনি সময় নেন পাঁচ ঘণ্টা পাঁচ মিনিট। তারপর মনিরুজ্জামান আট ঘণ্টা ১০ মিনিট এবং সবশেষে মুসা ইব্রাহীম আট ঘণ্টা ১৮ মিনিটে ছুঁয়ে ফেলেন বাংলা চ্যানেলের শেষ প্রান্ত।
সেন্ট মার্টিনে পৌঁছার পর কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ফের টেকনাফের উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেন মিলকো। প্রায় এক ঘণ্টা সাঁতার কাটার পর স্রোত ও জেলি ফিশের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়লে উদ্ধারকর্মীরা তাঁকে ট্রলারে তুলে নেন।
সাঁতার শেষে মুসা বলেন, ‘আমরা চাইছি বাংলা চ্যানেলকে সারা বিশ্বে পরিচিত করে তুলতে। তাই প্রতিবছরই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট আয়োজনের ইচ্ছা আছে আমাদের।’
আর এ কথা না বললেও চলে, নির্বিঘ্নে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে পেরে চার অভিযাত্রীই দারুণ আপ্লুত। সবচেয়ে বেশি আপ্লুত হয়েছেন মিলকো। মিলকো বলেন, ‘বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে পেরে আমি খুশি। আমার বিশ্বাস, বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে অনেক সাঁতারু আসবে।’
এই তো গেল সপ্তাহের ১৭ মার্চ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া নেদারল্যান্ডের সাঁতারু ভ্যান গুল মিলকোকে সঙ্গে নিয়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহীম, প্রথম বাংলা চ্যানেল বিজয়ী লিপটন সরকার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মনিরুজ্জামান। এতে করে বাঙালিরা আবারও জানল বাংলা চ্যানেলের কথা, জানল বিশ্ববাসীও।
মুসা ইব্রাহীমরা এই জানানোর কাজ করছেন প্রতিবছরই। গত বছর তাঁদের এই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার খবর শুনে ই-মেইলে যোগাযোগ করেন মিলকো। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন পরের বছরের অভিযানের অভিযাত্রী হওয়ার। সানন্দে আমন্ত্রণ জানান মুসা। সেই ধারাবাহিকতায় এই ১৭ মার্চে মুসাদের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে নামেন মিলকো।
সেদিন সকাল সাতটায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরী দ্বীপের জেটি ঘাট থেকে এই চার অভিযাত্রী একসঙ্গে শুরু করেন সাঁতার। সবার আগে মাত্র তিন ঘণ্টা ৪৬ মিনিট ব্যয় করে মিলকো পৌঁছে যান সেন্ট মার্টিনে। তখন ঘড়িতে ১০টা ৪৬। এরপর পৌঁছান লিপটন সরকার। তিনি সময় নেন পাঁচ ঘণ্টা পাঁচ মিনিট। তারপর মনিরুজ্জামান আট ঘণ্টা ১০ মিনিট এবং সবশেষে মুসা ইব্রাহীম আট ঘণ্টা ১৮ মিনিটে ছুঁয়ে ফেলেন বাংলা চ্যানেলের শেষ প্রান্ত।
সেন্ট মার্টিনে পৌঁছার পর কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়ে ফের টেকনাফের উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেন মিলকো। প্রায় এক ঘণ্টা সাঁতার কাটার পর স্রোত ও জেলি ফিশের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়লে উদ্ধারকর্মীরা তাঁকে ট্রলারে তুলে নেন।
সাঁতার শেষে মুসা বলেন, ‘আমরা চাইছি বাংলা চ্যানেলকে সারা বিশ্বে পরিচিত করে তুলতে। তাই প্রতিবছরই বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্ট আয়োজনের ইচ্ছা আছে আমাদের।’
আর এ কথা না বললেও চলে, নির্বিঘ্নে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে পেরে চার অভিযাত্রীই দারুণ আপ্লুত। সবচেয়ে বেশি আপ্লুত হয়েছেন মিলকো। মিলকো বলেন, ‘বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে পেরে আমি খুশি। আমার বিশ্বাস, বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে অনেক সাঁতারু আসবে।’
No comments