দাঁত হোক দাগহীন

দাঁত রোগহীন থাকাটাই কিন্তু সব থেকে বড় কথা নয়, দাগহীনও যে রাখতে হবে। সুন্দর দাঁত আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ায়, তেমনি হাসিতে লাগে বাড়তি সৌন্দর্য। দাঁত দাগহীন রাখতে আয়োজন লাগে না খুব বেশি, দরকার শুধু একটু সচেতনতা।


 মুখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আর দাঁতের অনাবশ্যক দাগ এড়াতে ছাড়তে হবে কিছু খাওয়াদাওয়া। সঙ্গে ছাড়তে হবে কিছু অভ্যাস। যাঁদের রেড ওয়াইন কিংবা সিগারেটের খুব নেশা, তাঁদের দাঁত কিংবা মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এমনটা আশা না করাই ভালো। তাই আখেরে দাঁত ভালো রাখতে এগুলোকে না বলতে হবে এখনই। এ ছাড়া নিরীহ দর্শন কোমল পানীয় আর কৃত্রিম ফলের রস আস্তেধীরে দাগ ফেলে দেয় দাঁতে। এত কিছুর পরও যদি এগুলো খেতেই হয়, মুখ ধুয়ে ফেলুন দ্রুত। অথবা একটি আপেল হতে পারে আপনার সমাধান। আপেল কেন? আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক টুথব্রাশ। একটা আপেল একদিকে যেমন দেহের খানিকটা পুষ্টি-চাহিদা মেটাবে, অন্যদিকে দাঁত ব্রাশের কাজটাও করে দেবে।

 দাঁত কতক্ষণ ধরে মাজতে হবে এমন প্রশ্ন থাকে অনেকের। সত্যিকথা বলতে কি, কতক্ষণ ধরে মাজতে হবে এটা এমন কিছু বড় কথা নয়। আসল কথা হলো, মুখে জমে থাকা খাবারের কণা আর ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো দূর হলো কি না। পরিষ্কার করতে গিয়ে গায়ের জোরে ঘষলেই কিন্তু দাঁত পরিষ্কার হয় না। আর দাঁত ব্রাশ করার বেশ কিছু নিয়মও আছে। সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত ব্রাশ, কমবেশি দুই মিনিট করলেই যথেষ্ট। যত দামেরই হোক, একই ব্রাশ মাসের পর মাস, দিবস-রজনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। দাঁত পরিষ্কারের বদলে এই ব্রাশের সাহায্যেই মুখে ঢুকে যাবে অনাবশ্যক সব ব্যাকটেরিয়া।

 মাউথওয়াশ ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। অতিরিক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার দাঁতে দাগ ফেলে দিতে পারে। আবার অনেক মাউথওয়াশে থাকে অ্যালকোহল। এটি মুখের টিস্যুকে শুষ্ক করে দেয়। আর মুখ শুষ্ক থাকলে ব্যাকটেরিয়ার জন্য ভারি সুবিধা। প্রায় বিনা বাধায় সে আক্রমণ করতে পারে যেমন খুশি। মাউথওয়াশ থেকে আবার মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। মাউথওয়াশেরও আছে মেলা গুণ। তাই মাউথওয়াশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সিদ্ধার্থ মজুমদার

No comments

Powered by Blogger.