কালের আয়নায়-'প্রকৃত স্টেটসম্যান হতে হলে কান খোলা রেখে ঠোঁট বন্ধ রাখতে হয়' by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

শরীর ও মন দুই-ই আজ বড় বেশি খারাপ। লন্ডনের আবহাওয়াও খুব ভালো নয়। ভাবছিলাম আজ (শুক্রবার) লিখব না। আর রোজ রোজ লিখেই-বা কী হবে? কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী লিখেছিলেন, 'কলম, কলম, আর কতোকাল কলম ঠেলতে বলো/আর কতোকাল লেখা লেখা খেলা খেলতে বলো?' কবির দেখা পেলে বলতাম,


আমার তো এই কলম ঠেলা বন্ধ করার উপায় নেই। কলম ঠেলাই তো আমার জীবিকা। আর সব পেশায় রিটায়ারমেন্ট আছে। কলম ঠেলার পেশায় নেই।
আজ আর লিখব না যখন ভাবছি, তখন টেলিফোন বাজল। ঢাকার টেলিফোন। আমার এক বন্ধু জানতে চাইলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মন্ত্রিসভায় রদবদল সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন, তা আমি পড়েছি কি-না? বললাম, না, আমি এখনও পড়িনি। বন্ধু বললেন, তাহলে ঢাকার কাগজে যে রিপোর্ট বেরিয়েছে, তা আমি পড়ছি, আপনি শুনুন।
বলে গড়গড় করে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা আমাকে পড়ে শোনালেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'মন্ত্রিসভায় কোনো রদবদল হবে না। আপনারা (সাংবাদিকরা) যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন, কোনো চাপের মুখে কিংবা কারও লেখায় আমি মন্ত্রিসভায় রদবদল করব না। কাউকে সরাব না। মন্ত্রিসভায় রদবদল একটি রুটিনওয়ার্ক। সরকারপ্রধান হিসেবে যখন আমার মনে হবে রদবদল প্রয়োজন, তখন আমি রদবদল করব। আমার মন্ত্রীরা এখন নিজ নিজ কাজ ভালোভাবে করে যাচ্ছেন। কোনো রদবদল প্রয়োজন নেই।'
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের এই অংশটা শুনে বন্ধুকে বললাম, অত্যন্ত সাবলীল বক্তব্য। এতদিনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর মতো দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছেন। আমি তার সব বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করতে না পারি, কিন্তু তার দৃঢ়তা ও স্থির সংকল্পকে প্রশংসা করি। তিনি যে পলিটিশিয়ানের ঊধর্ে্ব স্টেটসম্যান হতে যাচ্ছেন, এটা তার প্রমাণ। তবে স্টেটসম্যান হতে হলে আরেকটা বড় গুণ দরকার। এরিস্টটল বলেছেন, 'কান খোলা রাখবে, বন্ধ রাখবে ঠোঁট।' স্টেটসম্যান যতই স্পষ্ট বক্তা হোন, দূরদর্শী হোন, কান খোলা না রাখলে অর্থাৎ সঠিক সময়ের সঠিক পরামর্শ না শুনলে তার ভুল হতে পারে। সেই ভুল থেকে বিপদ আসতে পারে। এ জন্যই সংসদীয় গণতন্ত্রে একের সিদ্ধান্ত বা ডিসিশনের চেয়ে কালেক্টিভ ডিসিশনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। একের সিদ্ধান্তে যতই দূরদর্শিতা থাক, তাতে নির্ভুল বহুদর্শিতা আসে বহুর পরামর্শ ও সম্মিলিত সিদ্ধান্ত থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি কোনো চাপে বা কারও লেখালেখিতে মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটাবেন না। যদি কখনও ঘটান, নিজের একক সিদ্ধান্তে ঘটাবেন। তার এই সোজাসাপ্টা কথাকে এ জন্যই অভিনন্দন জানাই যে, এই স্পষ্টোক্তি দ্বারা তিনি সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটালেন। কোনো কোনো মিডিয়া যে গুজবের ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল, তাও বন্ধ করলেন। কোনো ক্রাইসিসের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী যে নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন, তারও প্রমাণ তিনি দিলেন। কোনো দুর্বলচিত্ত এবং যথাসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অক্ষম সরকার দেশের মানুষ সংসদীয় ব্যবস্থাতেও পছন্দ করে না। সংসদীয় গণতন্ত্রের ব্যবস্থাতেও যে লৌহমানবীর আবির্ভাব সম্ভব তার প্রমাণ কি ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার এবং ভারতের ইন্দিরা গান্ধী নন? তবে তারা শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যদি তাদের মতো হতেও চান, তাহলে শেষ রক্ষা করার কৌশলটি জানতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঘোষিত প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি আজ কিছু লিখতে চাই না। এটা কালেক্টিভ ডিসিশন নয়, তার একার সিদ্ধান্ত। তার সংসদীয় কমিটি আবার যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্বহীনতার জন্য তার পদত্যাগ দাবি করেছে, নৌ পরিবহনমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় কমিটির কথাবার্তায় বিচলিত হবেন বা দুই মন্ত্রী সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, তা মনে হয় না। প্রধানমন্ত্রী তার একক সিদ্ধান্তের দায়িত্ব একাই বহন করবেন। তিনি যে একজন একমনা, স্থির সংকল্পবদ্ধ প্রধানমন্ত্রী তার ঘোষণা তাই প্রমাণ করে, এর ফলাফল যাই হোক না কেন। এ জন্য তার প্রশংসাই করব।
আগে ভেবেছিলাম আজ কিছু লিখব না। এখন ঢাকার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার পর মনে হলো, নন-সিরিয়াস কিছু লিখি। আজকের লেখায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কথা এসেছে। তার সম্পর্কেই কিছু পঠিত এবং শোনা কথা লিখি। মনে হয় না খুব অপ্রাসঙ্গিক হবে। ইন্দিরা গান্ধী বহু সদগুণের অধিকারী হলেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার মধ্যে একটা চরিত্র-বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়ে উঠেছিল। তা হলো, তিনি শেষদিকে একা একাই সব সিদ্ধান্ত নিতেন। শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুপরামর্শও শুনতে চাইতেন না। ফলে তার সুদিনের-দুর্দিনের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহকর্মীও তার কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন, অথবা তিনিই সরিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন পিএন হাকসার, নিখিল চক্রবর্তী প্রমুখ। পিএন হাকসার ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং নিখিল চক্রবর্তী ছিলেন 'মেইনস্ট্রিম' কাগজের সম্পাদক ও ইন্দিরা গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শুভাকাঙ্ক্ষী। পুত্র সঞ্জয় গান্ধী এদের সম্পর্কে মায়ের মন এত বিষিয়ে তুলেছিলেন যে, তিনি আর এদের মুখদর্শন করতেও চাইতেন না। তার সবচেয়ে প্রিয় প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হাকসারের সঙ্গে তো ইন্দিরা গান্ধীর কথাবার্তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরা শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে কোনো পরামর্শ দিতে চাইলেও তিনি বিরক্ত হতেন এবং তা শুনতে চাইতেন না।
ইন্দিরা গান্ধীর আরেকজন শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ। তিনি ইন্দিরার পিতা জওয়াহেরলাল নেহরুর বন্ধু ছিলেন এবং একই সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। জয়প্রকাশ আশা করতেন, নেহরু বিলাত থেকে ফিরে এসে সমাজতন্ত্রী দল গঠন করবেন এবং তাতে তারা একসঙ্গে কাজ করবেন। কিন্তু নেহরু বিলাত থেকে দেশে ফিরে গান্ধী-শিষ্য হয়ে ওঠেন এবং কংগ্রেসে যোগ দেন। জয়প্রকাশ কংগ্রেসে যোগ দেননি, কিন্তু কংগ্রেসের এফিলিয়েটেড কংগ্রেস সোস্যালিস্ট পার্টি গঠন করে তার নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর তারা পরস্পরের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন।
নেহরুর মৃত্যুর পর জয়প্রকাশের রাজনৈতিক ভূমিকার পরিবর্তন ঘটে। তিনি সর্বোদয় নেতা হয়ে ওঠেন। কিন্তু বন্ধু-কন্যা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধীকে স্নেহ করতেন এবং তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সময়ে-অসময়ে পরামর্শ দিতেন। দিলি্লর এক সাংবাদিকের কাছে এই গল্পটি আমার শোনা। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন ইন্দিরা গান্ধী ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে নিজের হাতে দেশের শাসনভার গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন জয়প্রকাশ নারায়ণ উদ্বিগ্নভাবে তার সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বললেন, 'ইন্দিরা, আমি তোমাকে আজ অযাচিতভাবে কয়েকটি পরামর্শ দিতে ছুটে এসেছি।' ইন্দিরা বললেন, বলুন। জয়প্রকাশ বললেন, এক. তুমি তোমার ছেলে সঞ্জয় গান্ধীর পরামর্শ দ্বারা চালিত হয়ো না, তার বাড়াবাড়ি বন্ধ করো। জন্মনিয়ন্ত্রণের নামে সারাদেশে তার হাজার হাজার নারী ও পুরুষকে জোর করে বন্ধ্যাকরণের কার্যক্রম বিরাট জনঅসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। তার নির্দেশে পরিচালিত যুব কংগ্রেসের গুণ্ডামি-ষণ্ডামিতে দেশের মানুষ তোমার ও তোমার সরকারের ওপর বিগড়াচ্ছে। তুমি তাকে সামলাও।
ইন্দিরা বিরক্ত হচ্ছিলেন। তা গোপন রেখে বলেছেন, 'আপনার আর কিছু বলার থাকলে বলুন।'
জয়প্রকাশ বলেছেন, 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য দিয়ে তুমি বিপুল জনসমর্থনের অধিকারী হয়েছিলে এবং সাধারণ নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হয়েছ। এখন সে অবস্থা নেই। সমস্যাজর্জরিত দেশ কংগ্রেসের প্রতি বিমুখ এবং তোমার জনপ্রিয়তা তলানির দিকে। এ সময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সর্বময় ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ো না। পুলিশি-নির্যাতন বাড়িয়ো না। গণগ্রেফতারে যেও না। বরং দিলি্লতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকো। আমিও আসবো। সকলের মিলিত চিন্তাভাবনা দ্বারা কীভাবে দেশকে সংকটমুক্ত করা যায় তার পন্থা নির্ধারণ করো। চাটুকার দ্বারা পূর্ণ বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জরুরি রদবদল ঘটাও। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মন্ত্রী নিয়োগ করো।'
ইন্দিরা গান্ধী এবার আর তার বিরক্তি গোপন করেননি। জয়প্রকাশের মুখের উপরেই বলেছেন, 'আপনি এসব বাজে পরামর্শ দেওয়ার জন্য আমার কাছে ছুটে এসেছেন? আপনি তো আমাকে চেনেন, সুতরাং জানেন, কারো পরামর্শে বা চাপে সিদ্ধান্ত পাল্টাবার মানুষ আমি নই। আমি মন্ত্রিসভায় এখন রদবদল করবো না এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার সিদ্ধান্ত পাল্টাবো না। আপনি ইচ্ছে করলে বাইরে গিয়ে এ কথা আপনার রাজনৈতিক বন্ধুদের বলতে পারেন এবং ইচ্ছে করলে আন্দোলনে নেমেও দেখতে পারেন আপনারা আমার বিরুদ্ধে কী করতে পারেন?'
একপ্রকার অপমানিত হয়েই সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ সেদিন প্রধানমন্ত্রী ভবন থেকে চলে এসেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী যথাসময়ে ভারতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং এর প্রতিবাদ করায় দেশের প্রথম সারির অনেক নেতার সঙ্গে জয়প্রকাশ নারায়ণকেও গ্রেফতার করে জেলে নিক্ষেপ করেন। জেলে বসে জয়প্রকাশ তার ডায়েরিতে লিখেছেন, 'আমি নেহরু-কন্যা ইন্দিরার পরম শুভাকাঙ্ক্ষী (রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও)। আমি তাকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। তিনি বাঁচতে চান না। কোনো সুপরামর্শে কান দিতে চান না। হা ঈশ্বর, আমাকে কি তার পতনও দেখে যেতে হবে?' দৃশ্যান্তর এর পরবর্তী ভারতের সাধারণ নির্বাচনের পর। নির্বাচনে কংগ্রেস শুধু পরাজিত ও ক্ষমতাচ্যুত নয়, ইন্দিরা গান্ধী তার এতকালের জয় নিশ্চিত নির্বাচন কেন্দ্রে এক সাধারণ, অখ্যাত প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত। এ রকম অসম্ভব ঘটনা ভারতে ঘটতে পারে তা আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
পরাজিত, নিঃসঙ্গ ইন্দিরা তার বাড়িতে বসে আছেন। চারপাশে চাটুকার দল নেই। ক্ষমতার মধুলোভীরা অন্তর্হিত। এটা আমার শোনা কথা নয়। ভারতের সংবাদপত্রেই এ খবরটা বেরিয়েছিল তখন। ইন্দিরা গান্ধী ভাবতেও পারেননি, তার কপালে এমন অবমাননা জুটতে পারে। তার সেই চাটুকারদের কেউ আজ তার পাশে নেই, যারা তার জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও সর্বময় ক্ষমতা গ্রহণকে জোর সমর্থন জানিয়েছিল। পিতা নেহরুর ছবির দিকে তাকিয়ে ইন্দিরা নির্বাক-নিশ্চলভাবে বসেছিলেন। এ সময় যে ব্যক্তি প্রথম ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে ছুটে এসেছিলেন তিনি জয়প্রকাশ নারায়ণ। তাকে দেখে তার দুই হাত চেপে ধরে অবুঝ শিশুর মতো ইন্দিরা কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। জয়প্রকাশ তাকে পরম স্নেহে সান্ত্বনা দিয়েছেন, অভয় দিয়েছেন। ইন্দিরা-জয়প্রকাশের এই সাক্ষাৎকারের কথা ছাপতে গিয়ে দিলি্লর একটি কাগজ তাদের রিপোর্টে লিখেছিল, ইন্দিরার মতো লৌহমানবীর চোখে এই প্রথম তারা অশ্রু দেখলেন।
আরও এক লৌহমানবীর চোখেও একসময় অশ্রু দেখা দিয়েছিল, তিনি মার্গারেট থ্যাচার। জনগণের ক্ষোভ ও প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে তিনি যখন ব্রিটেনে পোল ট্যাক্স প্রবর্তন করেন এবং ব্রিটিশ জনগণ, এমনকি তার দলের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন, সেদিন রানীর কাছে পদত্যাগপত্র পেশের জন্য বাকিংহাম প্রাসাদে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তার চোখে অশ্রু দেখেছেন এবং সেই ছবি সংবাদপত্রে বেরিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই প্রথম তারা লৌহমানবীর চোখে অশ্রু দেখলেন।
আজ আর রাজনৈতিক বিষয়ে সিরিয়াস কিছু লিখলাম না। ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে আমার সঞ্চয়ের ভাণ্ডার থেকে একটি গল্প পাঠকদের উপহার দিলাম। সুধী পাঠকরা যেন এই গল্পের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্য বা অর্থের অনুসন্ধান না করেন এটাই তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ।
লন্ডন, ২৬ আগস্ট ২০১১, শুক্রবার
 

No comments

Powered by Blogger.