স্বপ্নসারথি সাকিব by বদিউজ্জামান
পাড়ার ছোট মাঠে ফুটবল নিয়েই পড়ে থাকত ছোট্ট ফয়সাল। পারিবারিকভাবে ফুটবলের চর্চা বেশি থাকায় ফুটবলেই তার হাতেখড়ি। কিন্তু কে জানত ফুটবলে নয়, ক্রিকেটেই একদিন বিশ্ব মাতাবে এই ছেলে! পাড়ায় ক্রিকেট ম্যাচ হলেই যে ডাক পড়ত তার। টুকটাক খেলতে যেত গ্রামের বাইরেও। ‘খ্যাপ’ খেলার নেশাটা ভালোই ছিল।
এই খ্যাপই যেন বদলে দিল ফয়সালের জীবন।
একদিনের ঘটনা। স্থানীয় এক আম্পায়ার সাদ্দাম হোসেন কিশোর সাকিবকে খেলতে দেখে ডেকে নেন নিজের ক্লাবে। মাগুরার ইসলামপুর পাড়ার ওই ভদ্রলোক সাকিবের ভেতরে দেখেছিলেন এক অনন্য প্রতিভা, অন্য রকম আগুন। তাই তো নিজের ইসলামপুর ক্লাবে অনুশীলনের সুযোগ দেন সাকিবকে। এরপর মাগুরার ক্রিকেট লিগে বল হাতে নামিয়ে দিলেন মাঠে। প্রথম বলেই উইকেট। ব্যস! সাদ্দাম হোসেনের আনন্দ দেখে কে! সেদিনের সেই কিশোর ফয়সাল আজ বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান!
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুতে নড়াইলে এক মাসের ক্যাম্পে যোগ দেন সাকিব। ওই ক্যাম্প থেকেই পরে ছয় মাসের ট্রেনিং কোর্সে আসেন বিকেএসপিতে। ক্রিকেট-প্রতিভার কারণে বিশেষ বিবেচনায় অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। ব্যাটে-বলে সমান নৈপুণ্য দেখানো সাকিব আস্তে আস্তে নজরে পড়তে লাগলেন সবার। অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটে ৫২ বলে করলেন সেঞ্চুরি। ডাক পেয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৫ দলে। এরপর অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯, বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে একের পর এক সিঁড়ি বেয়ে ঢুকে গেলেন জাতীয় দলে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে খেললেন অভিষেক ওয়ানডে, ২০০৬ সালের আগস্টে। ওই ম্যাচে বল হাতে ১ উইকেট নিয়েছিলেন, আর ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ৩০। আহামরি কোনো পারফরম্যান্স নয়। কিন্তু আস্তে আস্তে ঠিকই নিজেকে চিনিয়েছেন সাকিব। এ পর্যন্ত খেলেছেন ১২৬টি ওয়ানডে। করেছেন ৫ সেঞ্চুরি ও ২৫টি হাফ সেঞ্চুরি। বোলিংয়ে ১৬০ উইকেট।
আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে এখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম এক নম্বরে উঠেছিলেন তিনি। এরপর তিন বছর ধরে জায়গাটা প্রায় নিজের করে নিয়েছেন সাকিব। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফিরে পেলেন শীর্ষ স্থান।
গত সপ্তাহে শেষ হওয়া এশিয়া কাপে যেন আরও একবার নিজেকে চেনালেন সাকিব। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত সাকিব জিতলেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার। প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া বিপিএলেও বিদেশিদের ভিড়ে উজ্জ্বল ছিলেন মাগুরার এই তরুণ। সিরিজ-সেরার পুরস্কারের গাড়ির চাবিও উঠেছে তাঁর হাতেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক ‘প্রথম’-এ আছে সাকিব আল হাসানের নাম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাক পেয়েছেন কাউন্টিতে, খেলে এসেছেন উস্টারশায়ারে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বপ্নপূরণের সারথি হয়ে উঠেছেন সাকিব। কীভাবে স্বপ্ন পূরণ করতে হয়, সেই রসায়নও ভালোই জানা সাকিবের। নতুনদের জন্য তাঁর পরামর্শ, ‘স্বপ্ন পূরণের জন্য সবার আগে স্বপ্নটা দেখতে হবে। থাকতে হবে স্বপ্ন পূরণের অদম্য ইচ্ছা। সেই সঙ্গে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী।’
গত ২৪ মার্চ ছিল সাকিবের জন্মদিন। সাকিব পা দিলেন ২৫-এ। ক্যারিয়ারের বিস্তৃত দিগন্ত পড়ে আছে সামনে। আরও সাফল্য হাতছানি দিচ্ছে তাঁকে। কে জানে, এই সাকিবের হাত ধরেই না একদিন বিশ্বজয় করে বসে বাংলাদেশ! অভিনন্দন, সাকিব!
একদিনের ঘটনা। স্থানীয় এক আম্পায়ার সাদ্দাম হোসেন কিশোর সাকিবকে খেলতে দেখে ডেকে নেন নিজের ক্লাবে। মাগুরার ইসলামপুর পাড়ার ওই ভদ্রলোক সাকিবের ভেতরে দেখেছিলেন এক অনন্য প্রতিভা, অন্য রকম আগুন। তাই তো নিজের ইসলামপুর ক্লাবে অনুশীলনের সুযোগ দেন সাকিবকে। এরপর মাগুরার ক্রিকেট লিগে বল হাতে নামিয়ে দিলেন মাঠে। প্রথম বলেই উইকেট। ব্যস! সাদ্দাম হোসেনের আনন্দ দেখে কে! সেদিনের সেই কিশোর ফয়সাল আজ বিশ্বসেরা ওয়ানডে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান!
ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুতে নড়াইলে এক মাসের ক্যাম্পে যোগ দেন সাকিব। ওই ক্যাম্প থেকেই পরে ছয় মাসের ট্রেনিং কোর্সে আসেন বিকেএসপিতে। ক্রিকেট-প্রতিভার কারণে বিশেষ বিবেচনায় অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। ব্যাটে-বলে সমান নৈপুণ্য দেখানো সাকিব আস্তে আস্তে নজরে পড়তে লাগলেন সবার। অনূর্ধ্ব-১৫ ক্রিকেটে ৫২ বলে করলেন সেঞ্চুরি। ডাক পেয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৫ দলে। এরপর অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯, বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে একের পর এক সিঁড়ি বেয়ে ঢুকে গেলেন জাতীয় দলে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে খেললেন অভিষেক ওয়ানডে, ২০০৬ সালের আগস্টে। ওই ম্যাচে বল হাতে ১ উইকেট নিয়েছিলেন, আর ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ৩০। আহামরি কোনো পারফরম্যান্স নয়। কিন্তু আস্তে আস্তে ঠিকই নিজেকে চিনিয়েছেন সাকিব। এ পর্যন্ত খেলেছেন ১২৬টি ওয়ানডে। করেছেন ৫ সেঞ্চুরি ও ২৫টি হাফ সেঞ্চুরি। বোলিংয়ে ১৬০ উইকেট।
আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ে এখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম এক নম্বরে উঠেছিলেন তিনি। এরপর তিন বছর ধরে জায়গাটা প্রায় নিজের করে নিয়েছেন সাকিব। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ফিরে পেলেন শীর্ষ স্থান।
গত সপ্তাহে শেষ হওয়া এশিয়া কাপে যেন আরও একবার নিজেকে চেনালেন সাকিব। ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত সাকিব জিতলেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার। প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া বিপিএলেও বিদেশিদের ভিড়ে উজ্জ্বল ছিলেন মাগুরার এই তরুণ। সিরিজ-সেরার পুরস্কারের গাড়ির চাবিও উঠেছে তাঁর হাতেই।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক ‘প্রথম’-এ আছে সাকিব আল হাসানের নাম। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ডাক পেয়েছেন কাউন্টিতে, খেলে এসেছেন উস্টারশায়ারে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্বপ্নপূরণের সারথি হয়ে উঠেছেন সাকিব। কীভাবে স্বপ্ন পূরণ করতে হয়, সেই রসায়নও ভালোই জানা সাকিবের। নতুনদের জন্য তাঁর পরামর্শ, ‘স্বপ্ন পূরণের জন্য সবার আগে স্বপ্নটা দেখতে হবে। থাকতে হবে স্বপ্ন পূরণের অদম্য ইচ্ছা। সেই সঙ্গে হতে হবে আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী।’
গত ২৪ মার্চ ছিল সাকিবের জন্মদিন। সাকিব পা দিলেন ২৫-এ। ক্যারিয়ারের বিস্তৃত দিগন্ত পড়ে আছে সামনে। আরও সাফল্য হাতছানি দিচ্ছে তাঁকে। কে জানে, এই সাকিবের হাত ধরেই না একদিন বিশ্বজয় করে বসে বাংলাদেশ! অভিনন্দন, সাকিব!
No comments