ছাত্রদের ওপর এ কেমন ‘শাসন’?-তিনি প্রধান শিক্ষক!
প্রধান শিক্ষক হিসেবে ছাত্রদের যেটুকু শাসন করা দরকার, ততটুকুই নাকি করেছেন আলকাছ উদ্দিন। চার ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়েছেন তিনি। এর মাত্রা এমনই ছিল যে পিটুনি খাওয়া ছাত্রদের হাসপাতালে ভর্তি করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কালিয়াকৈর উপজেলার গোলাম নবী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এই প্রধান শিক্ষকের কাছে এটাই হচ্ছে দরকারি ‘শাসন’!
কী করেছিল চার ছাত্র যে তাদের এভাবে পেটানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল? প্রধান শিক্ষক আলকাছ উদ্দিন দশম শ্রেণীর চার ছাত্রকে সিমেন্টের বস্তা টানার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা ছাত্ররা করতে চায়নি। ব্যস, লাঠিপেটা। এই প্রধান শিক্ষক অন্যায় করেছেন দুটি। প্রথমত, তিনি ছাত্রদের সিমেন্টের বস্তা টানতে বলেছেন, যেটা ছাত্রদের কাজ নয়। দ্বিতীয়ত, তিনি ছাত্রদের পিটিয়েছেন, যেটা আইনে নিষিদ্ধ। আমরা সবচেয়ে বেশি বিস্মিত, এ ঘটনা ঘটানোর পরও তিনি মনে করছেন যে ‘যেটুকু শাসন করা দরকার ততটুকু’ শাসনই করেছেন তিনি। এমন প্রধান শিক্ষক দিয়েই চলছে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রায় নয় মাস আগে। গত মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি নীতিমালাও তৈরি করেছে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১’ নামে। এই নীতিমালায় ১১ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। গোলাম নবী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কি এই নীতিমালার বিষয়টি অজানা ছিল?
আমাদের দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি একটি পুরোনো সমস্যা। আলকাছ উদ্দিনের মতো প্রধান শিক্ষকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার বিষয়টি তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ ও এ ব্যাপারে নীতিমালা তৈরি করে সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এখন যে কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে তা হলো, এই বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই নীতিমালাটি পাঠানো এবং তা কঠোরভাবে মেনে চলতে সবাইকে তাগিদ দেওয়া।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রায় নয় মাস আগে। গত মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে একটি নীতিমালাও তৈরি করেছে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি রহিত করা সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১১’ নামে। এই নীতিমালায় ১১ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ করে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। গোলাম নবী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কি এই নীতিমালার বিষয়টি অজানা ছিল?
আমাদের দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি একটি পুরোনো সমস্যা। আলকাছ উদ্দিনের মতো প্রধান শিক্ষকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনার বিষয়টি তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ ধরনের শাস্তি নিষিদ্ধ ও এ ব্যাপারে নীতিমালা তৈরি করে সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এখন যে কাজটি গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে তা হলো, এই বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালানো ও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই নীতিমালাটি পাঠানো এবং তা কঠোরভাবে মেনে চলতে সবাইকে তাগিদ দেওয়া।
No comments