যোগাযোগ ব্যবস্থা-আকাশপথেও বিড়ম্বনা
সড়ক ও রেলপথের পাশাপাশি আকাশপথেও এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এক শ্রেণীর অসাধু ট্রাভেল এজেন্টের কারণে আকাশপথের যাত্রীদেরও মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলে গত শুক্রবার সমকালের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিমান এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী বিমানের যাত্রী
ভাড়া ঈদ উপলক্ষে হ্রাস করা হয়েছে, কিন্তু বেসরকারি যাত্রীবাহী বিমান কোম্পানিগুলো এ ধরনের সুবিধা দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়; সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা ও টিকিটস্বল্পতার কারণে ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে যখন অনেকে আকাশপথ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন এক শ্রেণীর অসাধু ট্রাভেল এজেন্ট এ সুযোগে ইচ্ছামতো ভাড়া বসাচ্ছে। সাধারণত, সরকারি আকাশ পরিবহন ব্যবস্থায় ভাড়ার হার বেশি থাকে এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম থাকে। সরকারি আকাশ পরিবহন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যখন ঈদ উপলক্ষে যাত্রীদের যাতায়াত সুবিধাজনক করার জন্য ভাড়া হ্রাসসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা অফার করেছে, তখন বেসরকারি সংস্থাগুলো করছে এর উল্টোটা। ঈদে আকাশপথে এবার ঘরমুখো মানুষের বাড়ি বা বিভিন্ন স্থানে গমনের হার যথেষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় এর সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ট্রাভেল এজেন্ট। বেসরকারি আকাশ পরিবহন এবং সরকারি নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার থাকলে আকাশপথে টিকিট নিয়ে এ ধরনের নৈরাজ্য হতে পারে না। বেসরকারি সংস্থাগুলোর সুনাম বৃদ্ধি এবং পরিণামে ব্যবসা বৃদ্ধির প্রয়োজনেই যাত্রীসেবা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন প্রণোদনামূলক উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সে পথে যায়নি। বরং এরা অসাধু ট্রাভেল এজেন্টদের বাড়তি ভাড়া আদায়ে এক ধরনের সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এটা সুস্থ ও প্রতিযোগিতামূলক বেসামরিক বিমান পরিবহনের স্মারক নয়। আকাশপথ ব্যবহারে ইচ্ছুক যাত্রীদের ঈদ উপলক্ষে যাতায়াতকে সহজলভ্য ও আরামদায়ক করার জন্য কর্তৃপক্ষের জরুরি ভিত্তিতে অসাধু ট্রাভেল এজেন্টদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সড়ক ও রেলওয়ের মতো বিমানপথেও যাত্রী হয়রানির অভিশাপ যেন স্থায়ীভাবে চেপে না বসে!
No comments