এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’-দেশে ডিজে পেশার চাহিদা বাড়ছে
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ অনুষ্ঠানে ২০ মার্চ এসেছিলেন ডিজে (ডিস্ক জকি) মার্জিয়া কবির সোনিকা। কথা বলেছেন কথাবন্ধু ব্রতীর সঙ্গে। ডিজে পেশার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি
কথাবন্ধু: ডিজে বা ডিস্ক জকি বিষয়টি বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। এ সম্পর্কে কিছু বলুন।
কথাবন্ধু: ডিজে বা ডিস্ক জকি বিষয়টি বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। এ সম্পর্কে কিছু বলুন।
মার্জিয়া কবির সোনিকা: বাংলাদেশে ডিজে মূলত শুরু হয়েছে ১৯৮০ সাল থেকে। কিন্তু এখনকার তরুণ প্রজন্মের কাছে ডিজে বেশি সমাদৃত। বাইরের দেশগুলোতেও ডিজে ব্যাপক জনপ্রিয়। এ জন্য বাইরের দেশগুলো থেকে আমাদের আরও অনেক কিছু শিখতে হবে এবং ডিজেকে এগিয়ে নিতে হবে।
কথাবন্ধু: একজন ডিজের মূল কাজ কী? নতুনেরা কীভাবে এ কাজটি শুরু করবে?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দ দেওয়াই ডিজেদের প্রথম কাজ। কারণ তিনি একজন এন্টারটেইনার। তিনি কীভাবে মানুষকে আনন্দ দেবেন, সেটাই মুখ্য বিষয়। একজন ডিজে মিউজিক বা সংগীতের মূর্ছনা দিয়েই সবাইকে মাতিয়ে রাখেন। নতুনদের এ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত। দর্শক বা শ্রোতাদের পছন্দ সম্পর্কেও জানতে হবে। তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী একজন ডিজেকে গান বাছাই করে তা পরিবেশন করতে হবে।
কথাবন্ধু: আপনি বাংলাদেশের প্রথম নারী ডিজে হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। কিন্তু এ ধরনের একটি ভিন্নধর্মী কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রতি আকৃষ্ট হলেন কীভাবে?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: আমার পরিবার এ ক্ষেত্রে সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি যখন শুরু করি, তখন কোনো মেয়ে ডিজে ছিল না। বর্তমানে বাংলাদেশে এ পেশায় মেয়েরাও এগিয়ে আসছে। সেদিক থেকে নারী ডিজে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি—এটাই আমার জন্য বড় সাফল্য। এখন ডিজে পেশাকে আরও উন্নত করতে অনেকেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
কথাবন্ধু: বাংলদেশে এই কাজের পরিধি বা সুযোগ কতখানি?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: ডিজেতে বর্তমানে কাজের পরিধি ও সুযোগ অনেক। যত দিন যাচ্ছে, ডিজে পেশায় কাজের সুযোগ ও সম্ভাবনা আরও বাড়ছে। মানুষের আগ্রহও অনেক বাড়ছে। বর্তমানে জন্মদিন, বিয়ে, বিভিন্ন ক্লাবে প্রতিনিয়ত ডিজে অনুষ্ঠান হচ্ছে।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এ বিষয়ে পড়াশোনা বা কোনো প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কি?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: সব ক্ষেত্রেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গ্রহণযোগ্যতা আলাদা। আমাদের দেশে বর্তমানে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার জন্য আইস গিয়ার ও গেরেজ নামে দুটি ডিজে স্কুল আছে।
কথাবন্ধু: পড়াশোনার পাশাপাশি এ পেশায় পার্টটাইম বা খণ্ডকালীন কাজ করার কি কোনো সুযোগ আছে?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: অবশ্যই খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। মূলত ডিজে অনুষ্ঠানগুলো রাতেই হয়ে থাকে। তখন কোনো শিক্ষার্থীর ক্লাস বা পরীক্ষা থাকে না। আর ডিজে অনুষ্ঠানগুলো বেশির ভাগ সময়ই বৃহস্পতিবার রাতেই হয়। শুক্রবারও কোনো পরীক্ষা বা ক্লাস থাকে না। তাই একজন শিক্ষার্থী অনায়াসেই ডিজের কাজ করতে পারেন।
কথাবন্ধু: এ পেশায় নিজেকে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: অবশ্যই মিউজিক বা সংগীত সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অনেক গান শুনতে হবে। কী ধরনের গান তাঁর ভক্তদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, ভক্তদের যেন আনন্দের কোনো কমতি না হয়।
শ্রোতাবন্ধু প্রিন্স: (খুদেবার্তা থেকে) নতুন যাঁরা এ পেশায় আসতে আগ্রহী, তাঁরা কীভাবে যোগাযোগ করবেন?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: ডিজে শেখার জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্যারেজ ও আইস গিয়ার নামক প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
কথাবন্ধু: একজন ডিজে হতে হলে প্রচুর গানের ধারণা এবং গানের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হয়। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য একজন ডিজে কীভাবে এই কাজগুলো করতে পারেন?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: এক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের সব ধরনের গান সম্পর্কে জানতে হবে। গানের অনেক সংগ্রহ থাকতে হবে। একেকটি অনুষ্ঠানের জন্য একেক ধরনের গানের তালিকা তৈরি করতে হবে। একজন ডিজেকে সব সময় মিউজিক বা গান নিয়েই ভাবতে হবে। গান নিয়ে নিজেকে সব সময় আপডেট রাখতে হবে। যেহেতু সবকিছু লাইভ বা সরাসরি করতে হয়, সেহেতু একজন ডিজেকে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।
কথাবন্ধু: বহির্বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করতে বললে আমাদের দেশের ডিজে নিয়ে আপনার মতামত কী?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: আন্তর্জাতিকভাবে যাঁরা পারফরম্যান্স করেন তাঁদের টেকনিক্যাল দিক ও সেটআপের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিজে বিষয়ে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে।
কথাবন্ধু: আপনি তো দেশের অনেক জেলায় অনুষ্ঠান করেছেন। সে সম্পর্কে যদি কোনো অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
মার্জিয়া কবির সোনিকা: আমি একবার ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম কাজ করতে। ওই সময় বাস থেকে আমার সিডির ব্যাগটি চুরি হয়ে গিয়েছিল। তখন আশপাশের কয়েকটি দোকান থেকে সিডি কিনে পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে শেষ করেছি। এটি আমার জীবনের অনেক বড় একটি অভিজ্ঞতা।
কথাবন্ধু: ডিজে পেশায় আসতে নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?
মার্জিয়া কবির সোনিকা : এ জন্য অবশ্যই গান সম্পর্কে অনেক জানতে হবে। অনেক গান শুনতে হবে। প্রচুর গানের সংগ্রহ থাকতে হবে। সংগীতকে ভালোবাসতে হবে। প্রতিটি কাজই যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে—সেভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
কথাবন্ধু: একজন ডিজের মূল কাজ কী? নতুনেরা কীভাবে এ কাজটি শুরু করবে?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দ দেওয়াই ডিজেদের প্রথম কাজ। কারণ তিনি একজন এন্টারটেইনার। তিনি কীভাবে মানুষকে আনন্দ দেবেন, সেটাই মুখ্য বিষয়। একজন ডিজে মিউজিক বা সংগীতের মূর্ছনা দিয়েই সবাইকে মাতিয়ে রাখেন। নতুনদের এ বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত। দর্শক বা শ্রোতাদের পছন্দ সম্পর্কেও জানতে হবে। তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী একজন ডিজেকে গান বাছাই করে তা পরিবেশন করতে হবে।
কথাবন্ধু: আপনি বাংলাদেশের প্রথম নারী ডিজে হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়। কিন্তু এ ধরনের একটি ভিন্নধর্মী কাজকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রতি আকৃষ্ট হলেন কীভাবে?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: আমার পরিবার এ ক্ষেত্রে সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি যখন শুরু করি, তখন কোনো মেয়ে ডিজে ছিল না। বর্তমানে বাংলাদেশে এ পেশায় মেয়েরাও এগিয়ে আসছে। সেদিক থেকে নারী ডিজে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি—এটাই আমার জন্য বড় সাফল্য। এখন ডিজে পেশাকে আরও উন্নত করতে অনেকেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
কথাবন্ধু: বাংলদেশে এই কাজের পরিধি বা সুযোগ কতখানি?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: ডিজেতে বর্তমানে কাজের পরিধি ও সুযোগ অনেক। যত দিন যাচ্ছে, ডিজে পেশায় কাজের সুযোগ ও সম্ভাবনা আরও বাড়ছে। মানুষের আগ্রহও অনেক বাড়ছে। বর্তমানে জন্মদিন, বিয়ে, বিভিন্ন ক্লাবে প্রতিনিয়ত ডিজে অনুষ্ঠান হচ্ছে।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশে এ বিষয়ে পড়াশোনা বা কোনো প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কি?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: সব ক্ষেত্রেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গ্রহণযোগ্যতা আলাদা। আমাদের দেশে বর্তমানে এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার জন্য আইস গিয়ার ও গেরেজ নামে দুটি ডিজে স্কুল আছে।
কথাবন্ধু: পড়াশোনার পাশাপাশি এ পেশায় পার্টটাইম বা খণ্ডকালীন কাজ করার কি কোনো সুযোগ আছে?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: অবশ্যই খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। মূলত ডিজে অনুষ্ঠানগুলো রাতেই হয়ে থাকে। তখন কোনো শিক্ষার্থীর ক্লাস বা পরীক্ষা থাকে না। আর ডিজে অনুষ্ঠানগুলো বেশির ভাগ সময়ই বৃহস্পতিবার রাতেই হয়। শুক্রবারও কোনো পরীক্ষা বা ক্লাস থাকে না। তাই একজন শিক্ষার্থী অনায়াসেই ডিজের কাজ করতে পারেন।
কথাবন্ধু: এ পেশায় নিজেকে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: অবশ্যই মিউজিক বা সংগীত সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অনেক গান শুনতে হবে। কী ধরনের গান তাঁর ভক্তদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে, সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, ভক্তদের যেন আনন্দের কোনো কমতি না হয়।
শ্রোতাবন্ধু প্রিন্স: (খুদেবার্তা থেকে) নতুন যাঁরা এ পেশায় আসতে আগ্রহী, তাঁরা কীভাবে যোগাযোগ করবেন?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: ডিজে শেখার জন্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্যারেজ ও আইস গিয়ার নামক প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
কথাবন্ধু: একজন ডিজে হতে হলে প্রচুর গানের ধারণা এবং গানের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হয়। নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য একজন ডিজে কীভাবে এই কাজগুলো করতে পারেন?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: এক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের সব ধরনের গান সম্পর্কে জানতে হবে। গানের অনেক সংগ্রহ থাকতে হবে। একেকটি অনুষ্ঠানের জন্য একেক ধরনের গানের তালিকা তৈরি করতে হবে। একজন ডিজেকে সব সময় মিউজিক বা গান নিয়েই ভাবতে হবে। গান নিয়ে নিজেকে সব সময় আপডেট রাখতে হবে। যেহেতু সবকিছু লাইভ বা সরাসরি করতে হয়, সেহেতু একজন ডিজেকে সব সময় সতর্ক থাকতে হয়।
কথাবন্ধু: বহির্বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করতে বললে আমাদের দেশের ডিজে নিয়ে আপনার মতামত কী?
মার্জিয়া কবির সোনিকা: আন্তর্জাতিকভাবে যাঁরা পারফরম্যান্স করেন তাঁদের টেকনিক্যাল দিক ও সেটআপের চেয়ে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। বাইরের দেশগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিজে বিষয়ে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে।
কথাবন্ধু: আপনি তো দেশের অনেক জেলায় অনুষ্ঠান করেছেন। সে সম্পর্কে যদি কোনো অভিজ্ঞতার কথা বলেন।
মার্জিয়া কবির সোনিকা: আমি একবার ঢাকার বাইরে গিয়েছিলাম কাজ করতে। ওই সময় বাস থেকে আমার সিডির ব্যাগটি চুরি হয়ে গিয়েছিল। তখন আশপাশের কয়েকটি দোকান থেকে সিডি কিনে পুরো অনুষ্ঠানটি সফলভাবে শেষ করেছি। এটি আমার জীবনের অনেক বড় একটি অভিজ্ঞতা।
কথাবন্ধু: ডিজে পেশায় আসতে নতুনদের জন্য আপনার পরামর্শ কী হবে?
মার্জিয়া কবির সোনিকা : এ জন্য অবশ্যই গান সম্পর্কে অনেক জানতে হবে। অনেক গান শুনতে হবে। প্রচুর গানের সংগ্রহ থাকতে হবে। সংগীতকে ভালোবাসতে হবে। প্রতিটি কাজই যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে—সেভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments