এখনো তাড়া করছে সেই ভয়ংকর স্মৃতি
ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের বিমানটি যখন বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের দক্ষিণ ভবনের গায়ে আছড়ে পড়ল, তখন ৮১ তলায় নিজের কার্যালয়ে ছিলেন স্ট্যানলি প্রেমনাথ। এরপর বিমানে গর্জন, জেট ফুয়েলের দুঃসহ গন্ধ আর সেই বজ্রাঘাতসহ ঝাঁকুনিতে তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। এরপরও জ্বলন্ত ওই ভবন থেকে জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন প্রেমনাথ। কিন্তু সেই বিপর্যয়ের স্মৃতি এখনো তাঁর কাছে ধূসর হয়ে যায়নি।
স্কটল্যান্ডের রয়েল ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন প্রেমনাথ। নাইন-ইলেভেনের কিছু দিন আগে তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এখন তিনি ধর্ম প্রচারক। গির্জা বা বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন।
প্রেমনাথ বলেন, ‘গত ১০ বছরের প্রতিটি দিন অন্তত একবার করে হলেও সেই ঘটনা আমার মনে পড়েছে। প্রতিটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শুনতে পাই মেঝেতে পড়ে থাকা সেই মানুষটির আর্তচি ৎ কার।’
তিনি বলেন, ‘মেঝেতে পড়ে থাকা লোকটির মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল। তাঁর পাশে ছিল একজন নিরাপত্তারক্ষী। দুজনই মারা যান। তাঁদের চি ৎ কার এখনো আমার মাথার মধ্যে রয়ে গেছে।’
নাইন-ইলেভেন হামলার সময় বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের উত্তর ভবনের ৮৯ তলায় কাজ করছিলেন অভ্যর্থনা কর্মী দিয়ানে দেফন্তিস। তিনিও জীবিত অবস্থায় সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু ওই ঘটনায় মানসিক ও শারীরিকভাবে তিনি এতটা ভেঙে পড়েন যে ২০০৩ সালের পর থেকে তিনি আর কোনো কাজ করতে পারছেন না।
দেফন্তিস বলেন, ‘১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এমন একটি দিনও যায়নি, যেদিন আমি ওই ঘটনা ভুলে থাকতে পেরেছি। আমি নিশ্চিত, আমার সামনে দিয়ে দমকল বাহিনীর যেসব কর্মী বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করতে আসেন, তাঁরা সবাই মারা যান। কেননা ভবনটি যখন ভেঙে পড়ে, তখন তাঁরা তার ভেতরেই ছিলেন।
স্কটল্যান্ডের রয়েল ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন প্রেমনাথ। নাইন-ইলেভেনের কিছু দিন আগে তিনি খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এখন তিনি ধর্ম প্রচারক। গির্জা বা বিভিন্ন ধর্মীয় সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন।
প্রেমনাথ বলেন, ‘গত ১০ বছরের প্রতিটি দিন অন্তত একবার করে হলেও সেই ঘটনা আমার মনে পড়েছে। প্রতিটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শুনতে পাই মেঝেতে পড়ে থাকা সেই মানুষটির আর্তচি ৎ কার।’
তিনি বলেন, ‘মেঝেতে পড়ে থাকা লোকটির মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল। তাঁর পাশে ছিল একজন নিরাপত্তারক্ষী। দুজনই মারা যান। তাঁদের চি ৎ কার এখনো আমার মাথার মধ্যে রয়ে গেছে।’
নাইন-ইলেভেন হামলার সময় বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রের উত্তর ভবনের ৮৯ তলায় কাজ করছিলেন অভ্যর্থনা কর্মী দিয়ানে দেফন্তিস। তিনিও জীবিত অবস্থায় সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু ওই ঘটনায় মানসিক ও শারীরিকভাবে তিনি এতটা ভেঙে পড়েন যে ২০০৩ সালের পর থেকে তিনি আর কোনো কাজ করতে পারছেন না।
দেফন্তিস বলেন, ‘১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এমন একটি দিনও যায়নি, যেদিন আমি ওই ঘটনা ভুলে থাকতে পেরেছি। আমি নিশ্চিত, আমার সামনে দিয়ে দমকল বাহিনীর যেসব কর্মী বিপদগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধার করতে আসেন, তাঁরা সবাই মারা যান। কেননা ভবনটি যখন ভেঙে পড়ে, তখন তাঁরা তার ভেতরেই ছিলেন।
No comments