হামলার ১০ বছরের মাশুল

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দেশটির ঋণের খাতায় যোগ হয়েছে কমপক্ষে তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যুদ্ধ ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। ওই হামলার পর থেকে কমপক্ষে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক।
রোড আইল্যান্ডের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ‘কস্ট অব ওয়ার’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। গবেষণা প্রতিবেদনটি গত জুনে প্রকাশিত হয় এবং ৪ সেপ্টেম্বর এটি হালনাগাদ করা হয়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চালানো হামলায় নিহত হয় দুই হাজার ৯৯৫ জন মানুষ। ওই হামলায় ক্ষতি হয় পাঁচ থেকে ১০ হাজার কোটি ডলারের।
অর্থনৈতিক ক্ষতি: ২০০১ সালের পর থেকে পেন্টাগনের জন্য এক হাজার ৩০০ কোটি ডলার অনুমোদন করে কংগ্রেস।
নিহতের সংখ্যা: ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর এ ঘটনা নিয়ে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ থেকে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা: আফগানিস্তানে ৩০ হাজার ৪০০ থেকে ৪৫ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ইরাকে এক লাখ ৭১ হাজার, পাকিস্তানে ৩৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার আর ইয়েমেনে ১০৫ জন প্রাণ হারিয়েছে।
নিহত মানুষের মধ্যে ছয় হাজার ২২৬ জন মার্কিন সেনা সদস্য। এসব সেনার চার হাজার ৪৭৭ জন ইরাকে এবং এক হাজার ৭৪৯ জন আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও দুই হাজার ৩০০ জন মার্কিন ঠিকাদার ও জোট বাহিনীর এক হাজার ১৯২ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। বেসামরিক ইরাকি নিহত হয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার। ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজার ১০০ জন। মার্কিন বাহিনীর অভিযানের সময় ইরাকি সেনাবাহিনীর ১০ হাজার সদস্য নিহত হন। আরও নিহত হয়েছে ১৯ হাজার ইরাকি বিদ্রোহী। আফগানিস্তানে ১২ হাজার ৪২৩ থেকে ১৪ হাজার ৭০১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আফগানিস্তানে ১০ থেকে ২০ হাজার বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। নিহত হয়েছেন ১৭০ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী। এ ছাড়া ২৭৯ জন ত্রাণকর্মীও প্রাণ হারিয়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.