সিউল হবে ‘অগ্নিসাগর’
দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার জবাবে উত্তর কোরিয়া সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। পিয়ংইয়ং বলেছে, তারা পাল্টা হামলা চালাবে এবং এতে সিউল হবে ‘অগ্নিসাগর’। আজ সোমবার ওই মহড়া শুরু হওয়ার কথা। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক অপপ্রচার বন্ধ না করলে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে গুলিবর্ষণের হুমকিও দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) গতকাল রোববার জানায়, যৌথ মহড়ার জবাবে পিয়ংইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ায় নজিরবিহীন সর্বাত্মক পাল্টা আক্রমণ চালাবে। কেসিএনএ আরও জানায়, ‘পরমাণু অস্ত্রের অব্যাহত এ হুমকি উত্তর কোরীয় সেনাবাহিনী ও জনগণকে নিজস্ব পরমাণু প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে নিয়ে যাবে। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ধ্বংসের অশুভ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করবে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় দুই লাখ ও যুক্তরাষ্ট্রের ১২ হাজার ৮০০ সেনা যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে। এ ছাড়া ৯৭ হাজার টন ওজনের মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানকে মহড়ায় মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ মহড়াকে উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে।
পিয়ংইয়ং অভিযোগ করেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ায় প্রচারপত্র ও ডিভিডি বিতরণ করছে। মিসর ও অন্যান্য আরব রাষ্ট্রে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের খবরাখবর এতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় খাদ্য, ওষুধ ও বেতারসহ বিভিন্ন উপকরণ পাঠাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য উত্তর কোরিয়ার মানুষকে উসকানি দিচ্ছে। তারা বেলুনে ভরে এসব প্রচারপত্র উত্তর কোরিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে।
কেসিএনএ বলেছে, আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন করার বিষয়টি যখন সময়ের দাবি, ঠিক সেই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর চালানো এই মনস্তাত্ত্বিক লড়াই একটি প্রতারণামূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। এতে বলা হয়, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি, আত্মরক্ষার্থে আমাদের সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব স্থান থেকে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচারণা চালানো হয়, সেখানে সরাসরি হামলা চালাবে।’
পিয়ংইয়ং হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সিউল যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক অপপ্রচার অব্যাহত রাখে, তবে তারা সরাসরি আক্রমণ চালাতে বাধ্য হবে। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার এই ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
গত বছরের মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজে টর্পেডো হামলায় ৪৬ নাবিকের মৃত্যু এবং গত নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার গোলায় চারজন নিহত হওয়ার পর কোরীয় উপদ্বীপে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) গতকাল রোববার জানায়, যৌথ মহড়ার জবাবে পিয়ংইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ায় নজিরবিহীন সর্বাত্মক পাল্টা আক্রমণ চালাবে। কেসিএনএ আরও জানায়, ‘পরমাণু অস্ত্রের অব্যাহত এ হুমকি উত্তর কোরীয় সেনাবাহিনী ও জনগণকে নিজস্ব পরমাণু প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে নিয়ে যাবে। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ধ্বংসের অশুভ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করবে।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় দুই লাখ ও যুক্তরাষ্ট্রের ১২ হাজার ৮০০ সেনা যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে। এ ছাড়া ৯৭ হাজার টন ওজনের মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানকে মহড়ায় মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ মহড়াকে উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে।
পিয়ংইয়ং অভিযোগ করেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ায় প্রচারপত্র ও ডিভিডি বিতরণ করছে। মিসর ও অন্যান্য আরব রাষ্ট্রে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের খবরাখবর এতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় খাদ্য, ওষুধ ও বেতারসহ বিভিন্ন উপকরণ পাঠাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তনের জন্য উত্তর কোরিয়ার মানুষকে উসকানি দিচ্ছে। তারা বেলুনে ভরে এসব প্রচারপত্র উত্তর কোরিয়ায় ছড়িয়ে দিচ্ছে।
কেসিএনএ বলেছে, আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণ ও জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন করার বিষয়টি যখন সময়ের দাবি, ঠিক সেই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর চালানো এই মনস্তাত্ত্বিক লড়াই একটি প্রতারণামূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। এতে বলা হয়, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি, আত্মরক্ষার্থে আমাদের সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়ার যেসব স্থান থেকে উত্তর কোরিয়াবিরোধী প্রচারণা চালানো হয়, সেখানে সরাসরি হামলা চালাবে।’
পিয়ংইয়ং হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সিউল যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক অপপ্রচার অব্যাহত রাখে, তবে তারা সরাসরি আক্রমণ চালাতে বাধ্য হবে। তাই দক্ষিণ কোরিয়ার এই ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।
গত বছরের মার্চ মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজে টর্পেডো হামলায় ৪৬ নাবিকের মৃত্যু এবং গত নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়নপিয়ং দ্বীপে উত্তর কোরিয়ার গোলায় চারজন নিহত হওয়ার পর কোরীয় উপদ্বীপে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
No comments