মিসরে বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাদের শক্তি প্রয়োগ
মিসরের রাজধানী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের হটাতে গতকাল শনিবার ভোরে শক্তি প্রয়োগ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ সময় সেনারা ফাঁকাগুলি ছোড়াসহ বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক লাঠিপেটা করে। বিক্ষোভকারীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। এদিকে বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল। তবে এ ঘটনার প্রতিবাদে নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের দুই সপ্তাহপূর্তি উদ্যাপন ও তাঁর আমলের মন্ত্রীদের বাদ দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের দাবিতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী গত শুক্রবার তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন। মধ্যরাতের পর সেনারা কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই তাহরির স্কয়ারের সড়কবাতি নিভিয়ে দেয়। এরপর তারা তাহরির স্কয়ার ছাড়তে বিক্ষোভকারীদের চাপ দেয়। কিন্তু স্কয়ার ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানোয় সেনারা বিক্ষোভকারীদের বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্কয়ার ছেড়ে পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোতে অবস্থান নেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগের সময় পরিচয় গোপন করতে সেনা কর্মকর্তারা মুখে মুখোশ পরে ছিলেন।
আহমেদ বাহগাত নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘সামরিক পুলিশ আমাদের বেদম প্রহার ও লাঠিপেটা করেছে। আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা ফাঁকাগুলিও ছুড়েছে।’ আশরাফ ওমর নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা এ সরকারকে একটা সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, তাদের ওপর কোনো আস্থা রাখা যাচ্ছে না। তাই আমরা রাজপথে ফিরে আসছি। হয় সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকব, নয় এখানেই মারা যাব।’
বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিকসহ মোবারক আমলের সব মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা।
এদিকে সামরিক বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল জানায়, সামরিক পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যা ঘটেছে তা অনিচ্ছাকৃত ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে সেনাবাহিনীর শক্তি প্রয়োগের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের দুই সপ্তাহপূর্তি উদ্যাপন ও তাঁর আমলের মন্ত্রীদের বাদ দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের দাবিতে কয়েক শ বিক্ষোভকারী গত শুক্রবার তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন। মধ্যরাতের পর সেনারা কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই তাহরির স্কয়ারের সড়কবাতি নিভিয়ে দেয়। এরপর তারা তাহরির স্কয়ার ছাড়তে বিক্ষোভকারীদের চাপ দেয়। কিন্তু স্কয়ার ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানোয় সেনারা বিক্ষোভকারীদের বেধড়ক লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্কয়ার ছেড়ে পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোতে অবস্থান নেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, তাহরির স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগের সময় পরিচয় গোপন করতে সেনা কর্মকর্তারা মুখে মুখোশ পরে ছিলেন।
আহমেদ বাহগাত নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘সামরিক পুলিশ আমাদের বেদম প্রহার ও লাঠিপেটা করেছে। আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে তারা ফাঁকাগুলিও ছুড়েছে।’ আশরাফ ওমর নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা এ সরকারকে একটা সুযোগ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি, তাদের ওপর কোনো আস্থা রাখা যাচ্ছে না। তাই আমরা রাজপথে ফিরে আসছি। হয় সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকব, নয় এখানেই মারা যাব।’
বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিকসহ মোবারক আমলের সব মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি ও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা।
এদিকে সামরিক বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল জানায়, সামরিক পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যা ঘটেছে তা অনিচ্ছাকৃত ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে সেনাবাহিনীর শক্তি প্রয়োগের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
No comments