বিপজ্জনক হয়ে উঠছে পাকিস্তান
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অন্তর্কলহ ইত্যাদি চিরাচরিত বিতর্কের আড়ালেই চাপা পড়ে ছিল পাকিস্তানের বিশ্বকাপ সম্ভাবনার আলোচনা। আর সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা দৃষ্টিনন্দন পারফরমেন্স না থাকায় পাকিস্তানকে খুব বেশি গোনায় ধরেননি ক্রিকেটবোদ্ধারা। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট দলটা যে সত্যিই ‘আনপ্রেডিক্টেবল’, যেকোনো পূর্বানুমান ভেঙে দিতে যে তারা ওস্তাদ, তা খুব ভালোমতোই দেখাচ্ছেন আফ্রিদি-মিসবাহ-ইউনুসরা। প্রথম ম্যাচে কেনিয়াকে ২০৫ রানে উড়িয়ে দেওয়ার পর গতকাল ‘বিগ ম্যাচে’ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও তাঁরা পেয়েছেন ১১ রানের অসাধারণ জয়। এখন মনে হচ্ছে, সত্যিই ক্রমাগত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপ শুরুর একেবারে চূড়ান্ত মুহূর্ত পর্যন্ত চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এলোমেলো অবস্থা। ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করলেও অধিনায়ক নির্বাচন করতে গিয়ে লম্বা সময়ের রশি-টানাটানি চলেছে পিসিবিতে। নিয়মিত ওয়ানডে অধিনায়ক আফ্রিদি, নাকি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মিসবাহ—কার হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশ্বকাপ মিশনের নেতৃত্বের ভার? এই প্রশ্নে দীর্ঘদিন নানা রকম দোদুল্যমানতায় দোলার পর অবশেষে আফ্রিদিকেই দেওয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্ব। এই আস্থার প্রতিদান দিতে গিয়েই বোধহয় বিধ্বংসী চেহারা ধারণ করেছেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও দুটি ম্যাচেই বল হাতে বাজিমাত করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। গতকালও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করে পেয়েছেন ম্যাচসেরার স্বীকৃতি।
ওদিকে সহ-অধিনায়ক মিসবাহ উল হকও প্রমাণ করে চলেছেন নিজের যোগ্যতা। প্রথম ম্যাচে ৬৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলার পর গতকালও খেলেছেন হার না মানা ৮৩ রানের এক অসাধারণ ইনিংস। পাকিস্তানের জয়ের ভিত্তি তৈরিতে সেই ইনিংসটাও ছিল একটা শক্ত খুঁটি। অধিনায়কের দায়িত্বটা তাঁর কাঁধে দিলেও যে খুব একটা ভুল হতো না, এটা তিনি প্রমাণ করে দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই।
সব মিলিয়ে অধিনায়ক আর সহ-অধিনায়কের এই দুর্দান্ত সমন্বয়ে পাকিস্তান দলটা ভীতি সঞ্চার করতে শুরু করেছে সবার মধ্যে। দলের অন্য তরুণ ক্রিকেটাররাও যে এতে অনুপ্রাণিত হবেন, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান যে তার ঝুলি থেকে আরও কত বিস্ময়কর জিনিস বের করবে, সেটাই দেখার বিষয়।
বিশ্বকাপ শুরুর একেবারে চূড়ান্ত মুহূর্ত পর্যন্ত চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এলোমেলো অবস্থা। ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করলেও অধিনায়ক নির্বাচন করতে গিয়ে লম্বা সময়ের রশি-টানাটানি চলেছে পিসিবিতে। নিয়মিত ওয়ানডে অধিনায়ক আফ্রিদি, নাকি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মিসবাহ—কার হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশ্বকাপ মিশনের নেতৃত্বের ভার? এই প্রশ্নে দীর্ঘদিন নানা রকম দোদুল্যমানতায় দোলার পর অবশেষে আফ্রিদিকেই দেওয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্ব। এই আস্থার প্রতিদান দিতে গিয়েই বোধহয় বিধ্বংসী চেহারা ধারণ করেছেন এই অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও দুটি ম্যাচেই বল হাতে বাজিমাত করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নিয়েছেন ৫টি উইকেট। গতকালও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করে পেয়েছেন ম্যাচসেরার স্বীকৃতি।
ওদিকে সহ-অধিনায়ক মিসবাহ উল হকও প্রমাণ করে চলেছেন নিজের যোগ্যতা। প্রথম ম্যাচে ৬৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলার পর গতকালও খেলেছেন হার না মানা ৮৩ রানের এক অসাধারণ ইনিংস। পাকিস্তানের জয়ের ভিত্তি তৈরিতে সেই ইনিংসটাও ছিল একটা শক্ত খুঁটি। অধিনায়কের দায়িত্বটা তাঁর কাঁধে দিলেও যে খুব একটা ভুল হতো না, এটা তিনি প্রমাণ করে দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই।
সব মিলিয়ে অধিনায়ক আর সহ-অধিনায়কের এই দুর্দান্ত সমন্বয়ে পাকিস্তান দলটা ভীতি সঞ্চার করতে শুরু করেছে সবার মধ্যে। দলের অন্য তরুণ ক্রিকেটাররাও যে এতে অনুপ্রাণিত হবেন, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান যে তার ঝুলি থেকে আরও কত বিস্ময়কর জিনিস বের করবে, সেটাই দেখার বিষয়।
No comments