ইউনুস-মিসবাহর যুগলবন্দী
জাতীয় দলে আসা-যাওয়া অসংখ্যবার করেছেন। এমনই একবার, যখন চলছে বাইরে থাকার অধ্যায়, মিসবাহ-উল-হক এসেছিলেন ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে। তখনই ঘনিষ্ঠ এক আড্ডায় যা বলেছিলেন, তাতে ইউনুস খানের প্রতি ছিল ক্ষোভ। জাতীয় দলের বাইরে থাকার ব্যাপারে সাবেক অধিনায়কের দিকেও পরোক্ষে তুলেছিলেন আঙুল।
কিন্তু সময় দুজনকে টেনে আনল একই কাতারে। মিসবাহর মতো পাকিস্তান দলেও ব্রাত্য হয়ে পড়লেন ইউনুস। দুজনের বিপক্ষেই একই যুক্তি, ‘সময় শেষ।’ মিসবাহ তো জাতীয় দলে যতটুকু খেলার ‘বুড়ো’ বয়সেই খেলেছেন। ইউনুসও দলকে যা দেওয়ার দিয়ে ফেলেছেন। দুজনই আজীবন লড়াকু। ঠিকই জাতীয় দলে ফিরলেন, সেটাও প্রবল বিক্রমে। জবাব দিলেন ব্যাট হাতেই।
এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেও দুজনকে নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। দুজনের ব্যাটিং একই রকম। শুরুতে দেখেশুনে খেলবেন, সময় নেবেন থিতু হতে। মাঝেমধ্যে সে সময়টুকু হয়ে যায় ওয়ানডের বর্তমান গতির সঙ্গে বেমানান। বড় ইনিংস খেলতে পারলে পুষিয়ে দেন, কিন্তু থিতু হওয়ার পরপরই আউট হয়ে গেলে হয় বিপদ। রান-বলের ব্যবধানটা অনেকের কাছেই বড় দৃষ্টিকটু ঠেকে। তাই সংশয়, মিডল-অর্ডারে এই দুজনকে একসঙ্গে জায়গা দেওয়ার মতো বিলাসিতা কি পাকিস্তান করতে পারে?
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম দুই ম্যাচ এই জবাবও দিয়ে দিয়েছে। কাল দুজন জুটি বেঁধেছিলেন বড় কঠিন সময়ে। মোটামুটি ভালো শুরুটাকে নিজেদের হাতে তুলে পানিতে ফেলে এসেছেন মোহাম্মদ হাফিজ ও কামরান আকমল। রানের চাকাও সচল রাখতে হবে, আবার উইকেট হারানোও চলবে না। পরিস্থিতির দাবি দুজনেই মেটালেন দারুণভাবে। ভালো বলে এক, দুই—বাজে বলকে সীমানা ছাড়া। দুজনের বয়স নিয়ে যাদের মাথাব্যথা, উইকেটের মাঝে দুজনের ক্ষিপ্রতা দেখে তাদের জবাব পেয়ে যাওয়ার কথা। ১০৮ রানের জুটিতে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছিল না, তবুও রানরেট ৫.২৬!
টানা দ্বিতীয় ফিফটি করে ইউনুস যখন বিদায় নিলেন, আফ্রিদি-আকমল-রাজ্জাকদের জন্য প্রস্তুত আদর্শক্ষেত্র। কিন্তু আফ্রিদিরা কাল ব্যর্থ। ইনিংস শেষ পর্যন্ত তাই টানতে হলো মিসবাহকেই। ইনিংস শেষে নামের পাশে অপরাজিত ৮৩, সর্বশেষ ছয় ইনিংসের চতুর্থ ফিফটি!
এবার পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচটার কথা একটু মনে করুন। কেনিয়ার বোলারদের বিশ্বমানের বানিয়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। প্রায় ৬ ওভার রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে করতে ওপেনার শেহজাদ বিদায় নিলেন ২৮ রানে। ইউনুস আসতেই অসংখ্য ছিদ্র বের হলো মাঠে, বলে বলে এক-দুই। ভরসা পেয়ে কামরান আকমলের পাল্টা-আক্রমণ। কামরান-মিসবাহর জুটিতে বিপর্যয় কাটল। আর ইনিংসটা গতি পেল ইউনুস-মিসবাহর জুটিতে। ফিফটির পরপরই ইউনুসের বিদায়, এবারও এক পাশ আগলে রাখার ভূমিকায় মিসবাহ। আফ্রিদি-উমররা পেলেন ইচ্ছেমতো খেলার সার্টিফিকেট। শেষ পর্যন্ত মিসবাহ করেছিলেন ৬৫, ওই এক পাশ আগলে রাখা ব্যাটিংয়েও পরও কিন্তু স্ট্রাইক রেট ৯৪!
সংশয়বাদীদের বুড়ো আঙুল দেখেছেন। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচের পর তো বলতে হবে, পাকিস্তানের ব্যাটিংটা দাঁড়িয়েই আছে আসলে এই দুই স্তম্ভের ওপর! দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নতি কতটা হয়েছে বলা মুশকিল। তবে ব্যাট যখন কথা বলছে, মুখে কথা না বললেই বা কী!
কিন্তু সময় দুজনকে টেনে আনল একই কাতারে। মিসবাহর মতো পাকিস্তান দলেও ব্রাত্য হয়ে পড়লেন ইউনুস। দুজনের বিপক্ষেই একই যুক্তি, ‘সময় শেষ।’ মিসবাহ তো জাতীয় দলে যতটুকু খেলার ‘বুড়ো’ বয়সেই খেলেছেন। ইউনুসও দলকে যা দেওয়ার দিয়ে ফেলেছেন। দুজনই আজীবন লড়াকু। ঠিকই জাতীয় দলে ফিরলেন, সেটাও প্রবল বিক্রমে। জবাব দিলেন ব্যাট হাতেই।
এই বিশ্বকাপ শুরুর আগেও দুজনকে নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। দুজনের ব্যাটিং একই রকম। শুরুতে দেখেশুনে খেলবেন, সময় নেবেন থিতু হতে। মাঝেমধ্যে সে সময়টুকু হয়ে যায় ওয়ানডের বর্তমান গতির সঙ্গে বেমানান। বড় ইনিংস খেলতে পারলে পুষিয়ে দেন, কিন্তু থিতু হওয়ার পরপরই আউট হয়ে গেলে হয় বিপদ। রান-বলের ব্যবধানটা অনেকের কাছেই বড় দৃষ্টিকটু ঠেকে। তাই সংশয়, মিডল-অর্ডারে এই দুজনকে একসঙ্গে জায়গা দেওয়ার মতো বিলাসিতা কি পাকিস্তান করতে পারে?
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম দুই ম্যাচ এই জবাবও দিয়ে দিয়েছে। কাল দুজন জুটি বেঁধেছিলেন বড় কঠিন সময়ে। মোটামুটি ভালো শুরুটাকে নিজেদের হাতে তুলে পানিতে ফেলে এসেছেন মোহাম্মদ হাফিজ ও কামরান আকমল। রানের চাকাও সচল রাখতে হবে, আবার উইকেট হারানোও চলবে না। পরিস্থিতির দাবি দুজনেই মেটালেন দারুণভাবে। ভালো বলে এক, দুই—বাজে বলকে সীমানা ছাড়া। দুজনের বয়স নিয়ে যাদের মাথাব্যথা, উইকেটের মাঝে দুজনের ক্ষিপ্রতা দেখে তাদের জবাব পেয়ে যাওয়ার কথা। ১০৮ রানের জুটিতে চার-ছয়ের ফুলঝুরি ছিল না, তবুও রানরেট ৫.২৬!
টানা দ্বিতীয় ফিফটি করে ইউনুস যখন বিদায় নিলেন, আফ্রিদি-আকমল-রাজ্জাকদের জন্য প্রস্তুত আদর্শক্ষেত্র। কিন্তু আফ্রিদিরা কাল ব্যর্থ। ইনিংস শেষ পর্যন্ত তাই টানতে হলো মিসবাহকেই। ইনিংস শেষে নামের পাশে অপরাজিত ৮৩, সর্বশেষ ছয় ইনিংসের চতুর্থ ফিফটি!
এবার পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচটার কথা একটু মনে করুন। কেনিয়ার বোলারদের বিশ্বমানের বানিয়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। প্রায় ৬ ওভার রানের জন্য হাঁসফাঁস করতে করতে ওপেনার শেহজাদ বিদায় নিলেন ২৮ রানে। ইউনুস আসতেই অসংখ্য ছিদ্র বের হলো মাঠে, বলে বলে এক-দুই। ভরসা পেয়ে কামরান আকমলের পাল্টা-আক্রমণ। কামরান-মিসবাহর জুটিতে বিপর্যয় কাটল। আর ইনিংসটা গতি পেল ইউনুস-মিসবাহর জুটিতে। ফিফটির পরপরই ইউনুসের বিদায়, এবারও এক পাশ আগলে রাখার ভূমিকায় মিসবাহ। আফ্রিদি-উমররা পেলেন ইচ্ছেমতো খেলার সার্টিফিকেট। শেষ পর্যন্ত মিসবাহ করেছিলেন ৬৫, ওই এক পাশ আগলে রাখা ব্যাটিংয়েও পরও কিন্তু স্ট্রাইক রেট ৯৪!
সংশয়বাদীদের বুড়ো আঙুল দেখেছেন। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচের পর তো বলতে হবে, পাকিস্তানের ব্যাটিংটা দাঁড়িয়েই আছে আসলে এই দুই স্তম্ভের ওপর! দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নতি কতটা হয়েছে বলা মুশকিল। তবে ব্যাট যখন কথা বলছে, মুখে কথা না বললেই বা কী!
No comments