পেচ উপত্যকা থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে উদ্বিগ্ন আফগানিস্তান
আফগানিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন আফগান কর্তৃপক্ষ। তালেবান ও আল-কায়েদার শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ওই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু থেকেই মার্কিন বাহিনী অভিযান চালিয়ে আসছে। কাজেই হঠাৎ করে এই সেনা প্রত্যাহার বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে সেখানকার আফগান সেনাদের।
এ ব্যাপারে মার্কিন কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, আফগান যুদ্ধের একটি কৌশল হিসেবে তারা এই সেনা প্রত্যাহার করছে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, তালেবান ও আল-কায়েদার জঙ্গিদের মোকাবিলায় কুলাতে না পেরে পিছু হটছে মার্কিন সেনারা।
এলাকাটি হচ্ছে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের পেচ উপত্যকা। ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই উপত্যকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রদেশটির অধিকতর জনবহুল এলাকায় পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের অংশ হিসেবে এই সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম চলছে। টানা দুই মাস চলবে এই কার্যক্রম। সেখানে থেকে যাবে আফগান সেনারা। শত্রু মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি পরখ করা হবে তখন।
আফগান কর্মকর্তাদের মতে, ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি আফগান বাহিনী। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি জঙ্গিদল সক্রিয় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ইতিবাচক কোনো ফল দেবে না।
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা মার্কিন বাহিনীর অধিনায়ক মেজর জেনারেল জন এফ ক্যাম্পবেল বলেন, ‘আমরা যে পেচ উপত্যকা ছেড়ে যাচ্ছি—তা মনে করি না। বরং আফগান সেনা দিয়ে আফগান জনগণের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করছি।’
ক্যাম্পবেল বলেন, ‘পেচ উপত্যকায় এখনো মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখলে পরিস্থিতির উন্নতি আর কী হলো? আমি মনে করি, কিছু এলাকায় উন্নয়ন ঘটানো ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের অবস্থান প্রয়োজন হবে। কিছু এলাকায় এর প্রয়োজন নেই।’
কোরানগাল, ওয়েগাল ও সুরাক উপত্যকা এবং নুরিস্তান নদীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পর এবার পেচ উপত্যকা থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়া শুরু হলো। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধের আগের কৌশল ছিল, জঙ্গিদের কোনোভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঢুকতে না দেওয়া, পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে প্রবেশের জন্য জঙ্গিদের ব্যবহার করা পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া। একই সঙ্গে জনবহুল এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়ানো। তবে বিভিন্ন উপত্যকা থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এটা স্পষ্ট যে, যুদ্ধের সেই কৌশল বদলে ফেলেছে তারা। দুই বছর আগে আফগানিস্তানের যে ৮০টি এলাকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করেছিল মার্কিন বাহিনী, সেই এলাকাগুলোর মধ্যে পেচ উপত্যকার নাম নেই।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরুর পর এখন দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর হিসাব অনুযায়ী, পেচ উপত্যকা ও এর আশপাশের এলাকায় যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে মার্কিন কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, আফগান যুদ্ধের একটি কৌশল হিসেবে তারা এই সেনা প্রত্যাহার করছে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, তালেবান ও আল-কায়েদার জঙ্গিদের মোকাবিলায় কুলাতে না পেরে পিছু হটছে মার্কিন সেনারা।
এলাকাটি হচ্ছে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশের পেচ উপত্যকা। ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই উপত্যকা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রদেশটির অধিকতর জনবহুল এলাকায় পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের অংশ হিসেবে এই সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম চলছে। টানা দুই মাস চলবে এই কার্যক্রম। সেখানে থেকে যাবে আফগান সেনারা। শত্রু মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতি পরখ করা হবে তখন।
আফগান কর্মকর্তাদের মতে, ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি আফগান বাহিনী। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি জঙ্গিদল সক্রিয় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ইতিবাচক কোনো ফল দেবে না।
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বে থাকা মার্কিন বাহিনীর অধিনায়ক মেজর জেনারেল জন এফ ক্যাম্পবেল বলেন, ‘আমরা যে পেচ উপত্যকা ছেড়ে যাচ্ছি—তা মনে করি না। বরং আফগান সেনা দিয়ে আফগান জনগণের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করছি।’
ক্যাম্পবেল বলেন, ‘পেচ উপত্যকায় এখনো মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখলে পরিস্থিতির উন্নতি আর কী হলো? আমি মনে করি, কিছু এলাকায় উন্নয়ন ঘটানো ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের অবস্থান প্রয়োজন হবে। কিছু এলাকায় এর প্রয়োজন নেই।’
কোরানগাল, ওয়েগাল ও সুরাক উপত্যকা এবং নুরিস্তান নদীর কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পর এবার পেচ উপত্যকা থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়া শুরু হলো। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর যুদ্ধের আগের কৌশল ছিল, জঙ্গিদের কোনোভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ঢুকতে না দেওয়া, পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে প্রবেশের জন্য জঙ্গিদের ব্যবহার করা পথগুলো বন্ধ করে দেওয়া। একই সঙ্গে জনবহুল এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়ানো। তবে বিভিন্ন উপত্যকা থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর এটা স্পষ্ট যে, যুদ্ধের সেই কৌশল বদলে ফেলেছে তারা। দুই বছর আগে আফগানিস্তানের যে ৮০টি এলাকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করেছিল মার্কিন বাহিনী, সেই এলাকাগুলোর মধ্যে পেচ উপত্যকার নাম নেই।
২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরুর পর এখন দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস-এর হিসাব অনুযায়ী, পেচ উপত্যকা ও এর আশপাশের এলাকায় যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে।
No comments