ইংল্যান্ডের সঙ্গে আজ ভারতের শক্তি পরীক্ষা
অনেকগুলো প্রশ্ন নিয়ে আজ ভারতে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
প্রশ্নগুলো কী কী, সেটার মীমাংসা পরে হবে। প্রথম প্রশ্ন হলো, আজ ভারতে বিশ্বকাপ শুরু হয় কী করে? বিশ্বকাপের আট দিন পেরিয়ে গেছে। ভারতও খেলেছে প্রথম ম্যাচ। ভারতের মাটিতেও এরই মধ্যে গোটা পাঁচেক ম্যাচও হয়েছে। তার পরও বিশ্বকাপ শুরু হয়নি!
হয়নি। কারণ ভারত যে এই প্রথম খেলতে নামছে নিজেদের মাটিতে। এই প্রথম যে শুরু হয়েছে ভারতীয় উন্মাদনা। টিকিটের জন্য হইহুল্লোড়। জনতাকে ঠেকাতে পুলিশের ‘মৃদু’ লাঠিপেটা। এ নিয়ে আইসিসি পর্যন্ত ঘটনা গড়িয়ে যাওয়া। খাঁ খাঁ গ্যালারিও এই প্রথম আজকের ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়েও ভরে উঠবে।
বিশ্বকাপের প্রথম ‘বড় ম্যাচ’ ছিল কালকের শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচ। এ ছাড়া সূচিতে বাকি ম্যাচগুলোই ছিল দুই অসমশক্তির লড়াই। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বাদে বাকি ম্যাচগুলোই শেষ পর্যন্ত একপেশে লড়াই-ই দেখেছে। সেই দিক দিয়ে দেখলে বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ম্যাচ এটাই।
কিন্তু মনোযোগ পুরোপুরি ক্রিকেটে থাকছে না। এমনিতে দুই দলে তারকার অভাব নেই। শেবাগ-পিটারসেনদের কাছ থেকে মনোযোগের আলো কেড়ে নিচ্ছে মাঠের বাইরের ঘটনা। অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সবচেয়ে জোরালো কণ্ঠে সেই প্রশ্নটি তুলছে কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলোই। ম্যাচটি যে কলকাতার কাছ থেকে ‘ষড়যন্ত্র’ করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ ম্যাচটি যে হওয়ার কথা ছিল ইডেনে।
টিকিট নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কারণ, কোটা বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য নাকি মাত্র সাত হাজার টিকিট বরাদ্দ ছিল। ভারতের সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত তো হবেই। ম্যাচটির ওপর কালো মেঘও জমেছে। আক্ষরিক অর্থেই। বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টিও হতে পারে। ওদিকে অনুশীলনে আবার হালকা চোট পেয়েছেন দুই দিন বিশ্রাম শেষে ফেরা বীরেন্দর শেবাগ।
এত সব খবর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে ক্রিকেটে মন দেওয়া আসলেই কঠিন। তার পরও তো শেষ পর্যন্ত ব্যাট আর বলেরই লড়াই। ভারত যেমন আজ স্পিনে ইংলিশ-বধের ছক কেটে রেখেছে। যদিও এই সময়ের সেরা স্পিনার ভারতে নয়, ইংল্যান্ড দলেই। গ্রায়েম সোয়ান আর হরভজন সিংয়ের লড়াইটা তাই জমতে পারে ভালো। জমে উঠতে পারে পিটারসেন বনাম টেন্ডুলকারের লড়াইও।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস অবশ্য এসব তুলনায় যাওয়ার পক্ষে নন। ইংলিশ অধিনায়কের কথায় যুক্তিও আছে, ‘একটা ম্যাচে এ রকম কিছু খণ্ড যুদ্ধের ছবি বের করে আনাই যায়। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটায় সেই দলই জয়ী হয় যাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার ভালো খেলে; শুধু এক-দুজন নয়।’
তা তো অবশ্যই। তবে ম্যাচের প্রভাবক হয়ে দাঁড়াতে পারে যেকোনো একজন। বেঙ্গালুরুতে আজ যেমন প্রভাবক হয়ে যেতে পারেন স্পিনাররা। এ মাঠেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রস্তুতি ম্যাচটি হয়েছে, যেখানে ২১৪ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া ভারতকে ৩৮ রানের জয় এনে দিয়েছিলেন স্পিনাররাই। দুই দলই আজ দুজন করে স্পেশালিস্ট স্পিনার খেলাতে পারে।
মহেন্দ্র সিং ধোনি অবশ্য পরিকল্পনা-টরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন সামান্যই। এক বীরেন্দর শেবাগ তাঁর মতো খেললে এসব পরিকল্পনা যে শেষ পর্যন্ত হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, সেটা ভারতীয় অধিনায়কের চেয়ে ভালো আর কে জানে। কিন্তু শেবাগ ৫০ ওভার ব্যাটিং করে যাওয়ার পরিকল্পনায় অটুট থাকলে বাকিদের যে ব্যাটিং করার সুযোগই মিলবে না! এটা কি মধুর সমস্যাও নয়? ধোনির উত্তর, ‘ও যদি ৫০ ওভার ব্যাটিং করে তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই, এটা প্রতিপক্ষের সমস্যা।’
সেই ‘সমস্যা’ হয়ে শেবাগ আজও দেখা দিতে পারেন। এমনিতে পরিসংখ্যানের বিবেচনায়ও এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের আশা খুব একটা নেই। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে ৫-০-তে ওয়ানডে সিরিজ হেরে গিয়েছিল তারা। ২০০৬ সালের পর ভারতে ১২ ওয়ানডে খেলে ইংল্যান্ড জিতেছে মাত্র একটি!
তবে পরিসংখ্যান তো আর ম্যাচ জেতায় না। তা ছাড়া ২০০৮-এর চেয়ে দৃশ্যপট এখন ভিন্ন বলেই দাবি স্ট্রাউসের, ‘গত দু-এক বছরে আমরা খুবই ভালো খেলছি। আমাদের কাল (আজ) ভালো এবং চৌকস ক্রিকেট খেলতে হবে।’
প্রশ্নগুলো কী কী, সেটার মীমাংসা পরে হবে। প্রথম প্রশ্ন হলো, আজ ভারতে বিশ্বকাপ শুরু হয় কী করে? বিশ্বকাপের আট দিন পেরিয়ে গেছে। ভারতও খেলেছে প্রথম ম্যাচ। ভারতের মাটিতেও এরই মধ্যে গোটা পাঁচেক ম্যাচও হয়েছে। তার পরও বিশ্বকাপ শুরু হয়নি!
হয়নি। কারণ ভারত যে এই প্রথম খেলতে নামছে নিজেদের মাটিতে। এই প্রথম যে শুরু হয়েছে ভারতীয় উন্মাদনা। টিকিটের জন্য হইহুল্লোড়। জনতাকে ঠেকাতে পুলিশের ‘মৃদু’ লাঠিপেটা। এ নিয়ে আইসিসি পর্যন্ত ঘটনা গড়িয়ে যাওয়া। খাঁ খাঁ গ্যালারিও এই প্রথম আজকের ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়েও ভরে উঠবে।
বিশ্বকাপের প্রথম ‘বড় ম্যাচ’ ছিল কালকের শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ম্যাচ। এ ছাড়া সূচিতে বাকি ম্যাচগুলোই ছিল দুই অসমশক্তির লড়াই। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ বাদে বাকি ম্যাচগুলোই শেষ পর্যন্ত একপেশে লড়াই-ই দেখেছে। সেই দিক দিয়ে দেখলে বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ম্যাচ এটাই।
কিন্তু মনোযোগ পুরোপুরি ক্রিকেটে থাকছে না। এমনিতে দুই দলে তারকার অভাব নেই। শেবাগ-পিটারসেনদের কাছ থেকে মনোযোগের আলো কেড়ে নিচ্ছে মাঠের বাইরের ঘটনা। অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সবচেয়ে জোরালো কণ্ঠে সেই প্রশ্নটি তুলছে কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলোই। ম্যাচটি যে কলকাতার কাছ থেকে ‘ষড়যন্ত্র’ করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ ম্যাচটি যে হওয়ার কথা ছিল ইডেনে।
টিকিট নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কারণ, কোটা বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য নাকি মাত্র সাত হাজার টিকিট বরাদ্দ ছিল। ভারতের সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত তো হবেই। ম্যাচটির ওপর কালো মেঘও জমেছে। আক্ষরিক অর্থেই। বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টিও হতে পারে। ওদিকে অনুশীলনে আবার হালকা চোট পেয়েছেন দুই দিন বিশ্রাম শেষে ফেরা বীরেন্দর শেবাগ।
এত সব খবর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে ক্রিকেটে মন দেওয়া আসলেই কঠিন। তার পরও তো শেষ পর্যন্ত ব্যাট আর বলেরই লড়াই। ভারত যেমন আজ স্পিনে ইংলিশ-বধের ছক কেটে রেখেছে। যদিও এই সময়ের সেরা স্পিনার ভারতে নয়, ইংল্যান্ড দলেই। গ্রায়েম সোয়ান আর হরভজন সিংয়ের লড়াইটা তাই জমতে পারে ভালো। জমে উঠতে পারে পিটারসেন বনাম টেন্ডুলকারের লড়াইও।
অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস অবশ্য এসব তুলনায় যাওয়ার পক্ষে নন। ইংলিশ অধিনায়কের কথায় যুক্তিও আছে, ‘একটা ম্যাচে এ রকম কিছু খণ্ড যুদ্ধের ছবি বের করে আনাই যায়। যদিও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটায় সেই দলই জয়ী হয় যাদের বেশির ভাগ ক্রিকেটার ভালো খেলে; শুধু এক-দুজন নয়।’
তা তো অবশ্যই। তবে ম্যাচের প্রভাবক হয়ে দাঁড়াতে পারে যেকোনো একজন। বেঙ্গালুরুতে আজ যেমন প্রভাবক হয়ে যেতে পারেন স্পিনাররা। এ মাঠেই ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রস্তুতি ম্যাচটি হয়েছে, যেখানে ২১৪ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া ভারতকে ৩৮ রানের জয় এনে দিয়েছিলেন স্পিনাররাই। দুই দলই আজ দুজন করে স্পেশালিস্ট স্পিনার খেলাতে পারে।
মহেন্দ্র সিং ধোনি অবশ্য পরিকল্পনা-টরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন সামান্যই। এক বীরেন্দর শেবাগ তাঁর মতো খেললে এসব পরিকল্পনা যে শেষ পর্যন্ত হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, সেটা ভারতীয় অধিনায়কের চেয়ে ভালো আর কে জানে। কিন্তু শেবাগ ৫০ ওভার ব্যাটিং করে যাওয়ার পরিকল্পনায় অটুট থাকলে বাকিদের যে ব্যাটিং করার সুযোগই মিলবে না! এটা কি মধুর সমস্যাও নয়? ধোনির উত্তর, ‘ও যদি ৫০ ওভার ব্যাটিং করে তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই, এটা প্রতিপক্ষের সমস্যা।’
সেই ‘সমস্যা’ হয়ে শেবাগ আজও দেখা দিতে পারেন। এমনিতে পরিসংখ্যানের বিবেচনায়ও এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের আশা খুব একটা নেই। সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে ৫-০-তে ওয়ানডে সিরিজ হেরে গিয়েছিল তারা। ২০০৬ সালের পর ভারতে ১২ ওয়ানডে খেলে ইংল্যান্ড জিতেছে মাত্র একটি!
তবে পরিসংখ্যান তো আর ম্যাচ জেতায় না। তা ছাড়া ২০০৮-এর চেয়ে দৃশ্যপট এখন ভিন্ন বলেই দাবি স্ট্রাউসের, ‘গত দু-এক বছরে আমরা খুবই ভালো খেলছি। আমাদের কাল (আজ) ভালো এবং চৌকস ক্রিকেট খেলতে হবে।’
No comments