শফিউলের পরিবারে এখন অনেক হাসি
দুদিন আগে ক্যাচিং প্র্যাকটিসের সময় পড়ে গিয়ে কাঁধে ব্যথা পেয়েছিলেন। ব্যথাটা ভালোই জেঁকে বসেছিল। আগের দিন পুরো টিম ম্যানেজমেন্টেরই মনের কোণে জমেছিল সংশয়ের মেঘ, শফিউলকে হয়তো আয়ারল্যান্ড ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ম্যাচের দিন সকালে অনেকটাই সুস্থ বোধ করলেন। একাদশ ঘোষণা করার আগে শফিউলকে নিয়ে আর কোনো চিন্তাই রইল না। তিনি একাদশে ঢুকলেন এবং হলেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিশোধ পর্বের নায়ক। বাংলাদেশ যে আবার বিশ্বকাপের নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে, তা তো ওই শফিউলের কল্যাণেই। সারা দেশ যে আজ জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসছে। আনন্দে ভাসছে বগুড়ার এই পেসারের গোটা পরিবারও।
বগুড়ার জয়পুরপাড়া বাল্ব ফ্যাক্টরির গলিতেই শফিউলদের বাড়িটা। ম্যাচের দিন বলে বাড়িটায় পরশু একটু বেশিই ভিড়। কিন্তু বাড়িতে ছিলেন না বাবা জাহেদুল ইসলাম ও মা সাজেদা বেগম। ছেলের খেলা মাঠে বসে দেখবেন বলে বগুড়া থেকে গত সপ্তাহেই ঢাকায় চলে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু পর্যাপ্ত টিকিট পাননি বলে মিরপুরে শফিউলের ফুফুর বাড়িতেই মা খেলা দেখলেন। শফিউলের খেলা নিয়ে নিজে সংশয়ে ছিলেন। দুপুরে টেলিভিশনে ছেলের নাম দেখে তাই একটু অবাকই হয়েছিলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম ও খেলতেই পারবে না। ম্যাচের আগে কথা হয়নি। আগের রাতে ও ফোন করে বলেছিল, “মা, হাতের ব্যথাটা কমেছে। সকালে বল করে দেখি। মনে হয়, খেলতে পারব”।’
কেমন দেখলেন ছেলের খেলা? শফিউলের মায়ের ছোট্ট উত্তর, ‘খুবই টেনশনে ছিলাম।’ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বীরেন্দর শেবাগের হাতে পিটুনি খাওয়ার পর শফিউলকে নিয়ে একটু বাড়তি টেনশনে থাকাই স্বাভাবিক। মুহূর্তে মুহূর্তে রং বদলানো ম্যাচে আসলে বাংলাদেশের জয় নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছিলেন না সাজেদা বেগম, ‘মাত্র ২০৫ রান নিয়ে কি জেতা যায়?’ কিন্তু বাংলাদেশ জিতে গেল। আর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন কে? শফিউল। তৃতীয় স্পেলে টানা ৬ ওভার বল করে ৪ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন এই ডানহাতি পেসার। সাজেদা বেগম ভীষণ খুশি, ছেলের গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে তাঁর। শফিউলের বোলিং নিয়ে ভীষণ চিন্তায় ছিলেন বাবা জাহেদুল ইসলামও। তিনি খেলা দেখতে গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। ভিআইপি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে দেখতে উসখুস করছিলেন, ‘যখন প্রথম ওভারে ও ৬ রান দিয়ে ফেলল, তখন একটু দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। তবে আমি চাইছিলাম যে-ই বল করুক না কেন, বাংলাদেশ যেন ভালো খেলে, জেতে।’ জাহেদুল ভেবেছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচও হবে ছেলে, ‘গ্যালারিতে সবাই বলাবলি করছিল শফিউল কেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলো না! আমারও মনে হচ্ছিল ওই হতে পারে। তবে হয়নি বলে কোনো আক্ষেপ নেই। দল তো জিতেছে।’
ঢাকায় রাত তিনটা পর্যন্ত আনন্দ করেছেন শফিউলের বাবা-মা-আত্মীয় স্বজন। রাজধানীতে যখন চলছিল আনন্দের বন্যা, তখন জয়পুরপাড়াতেও লেগেছিল সেই উৎসবের ঢেউ। শফিউলের বোন জাফরিনা ইসলাম ইমার কণ্ঠেও ধরা পড়ল খুশির রেশ, ‘ভীষণ আনন্দ হয়েছে এখানে। সকালে সুহাসের (শফিউল) সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। খেলা শুরুর সময় ছিলাম বাইরে। সবাই টিভিতে সুহাসের নাম দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। দৌড়ে এসে আমার চাচাতো ভাই বলল, “সুহাস ভাইয়া দলে আছে।” এখানকার ছেলেরা ওকে এত আদর করে, এত ভালোবাসে, সেটা ভাবলেই গর্ব হয়।’
শফিউলকে নিয়ে গর্ব গোটা এলাকাবাসীর। তাই তো খেলা শেষে শহরের ওই গলিতে সবাই মেতে ওঠে বিপুল আনন্দে। চলে মিষ্টি বিতরণ, আতশবাজি আর আনন্দ মিছিল। তাদের বিশ্বাস, শফিউল আরও আনন্দের উপকরণ জমিয়ে রেখেছেন সামনের ম্যাচগুলোতে।
বগুড়ার জয়পুরপাড়া বাল্ব ফ্যাক্টরির গলিতেই শফিউলদের বাড়িটা। ম্যাচের দিন বলে বাড়িটায় পরশু একটু বেশিই ভিড়। কিন্তু বাড়িতে ছিলেন না বাবা জাহেদুল ইসলাম ও মা সাজেদা বেগম। ছেলের খেলা মাঠে বসে দেখবেন বলে বগুড়া থেকে গত সপ্তাহেই ঢাকায় চলে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু পর্যাপ্ত টিকিট পাননি বলে মিরপুরে শফিউলের ফুফুর বাড়িতেই মা খেলা দেখলেন। শফিউলের খেলা নিয়ে নিজে সংশয়ে ছিলেন। দুপুরে টেলিভিশনে ছেলের নাম দেখে তাই একটু অবাকই হয়েছিলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম ও খেলতেই পারবে না। ম্যাচের আগে কথা হয়নি। আগের রাতে ও ফোন করে বলেছিল, “মা, হাতের ব্যথাটা কমেছে। সকালে বল করে দেখি। মনে হয়, খেলতে পারব”।’
কেমন দেখলেন ছেলের খেলা? শফিউলের মায়ের ছোট্ট উত্তর, ‘খুবই টেনশনে ছিলাম।’ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বীরেন্দর শেবাগের হাতে পিটুনি খাওয়ার পর শফিউলকে নিয়ে একটু বাড়তি টেনশনে থাকাই স্বাভাবিক। মুহূর্তে মুহূর্তে রং বদলানো ম্যাচে আসলে বাংলাদেশের জয় নিয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছিলেন না সাজেদা বেগম, ‘মাত্র ২০৫ রান নিয়ে কি জেতা যায়?’ কিন্তু বাংলাদেশ জিতে গেল। আর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন কে? শফিউল। তৃতীয় স্পেলে টানা ৬ ওভার বল করে ৪ উইকেট নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিলেন এই ডানহাতি পেসার। সাজেদা বেগম ভীষণ খুশি, ছেলের গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে তাঁর। শফিউলের বোলিং নিয়ে ভীষণ চিন্তায় ছিলেন বাবা জাহেদুল ইসলামও। তিনি খেলা দেখতে গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে। ভিআইপি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে দেখতে উসখুস করছিলেন, ‘যখন প্রথম ওভারে ও ৬ রান দিয়ে ফেলল, তখন একটু দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। তবে আমি চাইছিলাম যে-ই বল করুক না কেন, বাংলাদেশ যেন ভালো খেলে, জেতে।’ জাহেদুল ভেবেছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচও হবে ছেলে, ‘গ্যালারিতে সবাই বলাবলি করছিল শফিউল কেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলো না! আমারও মনে হচ্ছিল ওই হতে পারে। তবে হয়নি বলে কোনো আক্ষেপ নেই। দল তো জিতেছে।’
ঢাকায় রাত তিনটা পর্যন্ত আনন্দ করেছেন শফিউলের বাবা-মা-আত্মীয় স্বজন। রাজধানীতে যখন চলছিল আনন্দের বন্যা, তখন জয়পুরপাড়াতেও লেগেছিল সেই উৎসবের ঢেউ। শফিউলের বোন জাফরিনা ইসলাম ইমার কণ্ঠেও ধরা পড়ল খুশির রেশ, ‘ভীষণ আনন্দ হয়েছে এখানে। সকালে সুহাসের (শফিউল) সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। খেলা শুরুর সময় ছিলাম বাইরে। সবাই টিভিতে সুহাসের নাম দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে ওঠে। দৌড়ে এসে আমার চাচাতো ভাই বলল, “সুহাস ভাইয়া দলে আছে।” এখানকার ছেলেরা ওকে এত আদর করে, এত ভালোবাসে, সেটা ভাবলেই গর্ব হয়।’
শফিউলকে নিয়ে গর্ব গোটা এলাকাবাসীর। তাই তো খেলা শেষে শহরের ওই গলিতে সবাই মেতে ওঠে বিপুল আনন্দে। চলে মিষ্টি বিতরণ, আতশবাজি আর আনন্দ মিছিল। তাদের বিশ্বাস, শফিউল আরও আনন্দের উপকরণ জমিয়ে রেখেছেন সামনের ম্যাচগুলোতে।
No comments