ডিএসইতে দরপতনে আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম দিনে আবারও দরপতনের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার নজিরবিহীন দরপতনের রেশ কাটতে না কাটতেই আজও বড় ধরনের দরপতনে সাধারণ বিনিয়োগকারী বিশেষ করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বাজার আবার ৯৬-এর অবস্থায় ফিরে না যায়। অপরদিকে বাজার-বিশ্লেষকেরা এ ঘটনাকে অস্বাভাবিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে আজ ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে। এতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ২৮৫ পয়েন্ট নেমে আসে, যা একদিনে ডিএসইর সাধারণ সূচকের সর্বোচ্চ পতন। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর এক দিনে ২৩৩ পয়েন্ট কমে যায়।
এর আগে গত বুধবার ডিএসইতে বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাধারণ সূচক ৫৪৭ পয়েন্ট নেমে যায়। এতে ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। দিন শেষে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়ায়, এ দিন সূচকের পতন হয়েছিল ১৩৪ পয়েন্টের।
এদিকে ডিএসইতে বড় ধরনের দরপতনের রেশ কাটতে না কাটতেই আজকের দরপতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক বিনিয়োগকারী এ ঘটনাকে ৯৬-এর আলামত হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিনিয়োগকারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দেখা ডিএসইতে দরপতনে এটাই রেকর্ড। এমন অবস্থা এর আগে দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এভাবে ধস নামতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।’
সাধারণ বিনিয়োগকারী নুর মোহাম্মাদ হোসেন জানান, হঠাত্ করে এ ধরনের দরপতনের ঘটনায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এমন অবস্থা চলতে থাকলে বিনিয়োগ করা তো দূরে থাক, বিনিয়োগ উঠিয়ে আনব কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি।’
আরেক বিনিয়োগকারী সাইফুল ইসলাম জানান, ‘শেয়ারবাজারে হঠাত্ করে দরপতনে আমার মতো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বাজারকে বাজারের গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। জোর করে টেনে ধরা উচিত নয়।
পুঁজিবাজার-বিশ্লেষক ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান আজকের দরপতনকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে বলেন, ‘আজ ডিএসইতে দরপতনের উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ দেখছি না এবং এর কোনো যথার্থ ব্যাখ্যাও খুঁজে পাচ্ছি না। এ ছাড়া এই দরপতনকে সংশোধনও বলতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) উচিত লেনদেনের তথ্য (ডেটা) পর্যালোচনা করে দেখা। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এরই দাবি রাখে।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ডিএসইতে আজ ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব খাতের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়েছে। এতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক প্রায় ২৮৫ পয়েন্ট নেমে আসে, যা একদিনে ডিএসইর সাধারণ সূচকের সর্বোচ্চ পতন। এর আগে ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর এক দিনে ২৩৩ পয়েন্ট কমে যায়।
এর আগে গত বুধবার ডিএসইতে বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাধারণ সূচক ৫৪৭ পয়েন্ট নেমে যায়। এতে ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। দিন শেষে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়ায়, এ দিন সূচকের পতন হয়েছিল ১৩৪ পয়েন্টের।
এদিকে ডিএসইতে বড় ধরনের দরপতনের রেশ কাটতে না কাটতেই আজকের দরপতনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক বিনিয়োগকারী এ ঘটনাকে ৯৬-এর আলামত হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিনিয়োগকারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দেখা ডিএসইতে দরপতনে এটাই রেকর্ড। এমন অবস্থা এর আগে দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এভাবে ধস নামতে থাকলে আমাদের পথে বসতে হবে।’
সাধারণ বিনিয়োগকারী নুর মোহাম্মাদ হোসেন জানান, হঠাত্ করে এ ধরনের দরপতনের ঘটনায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে এমন অবস্থা চলতে থাকলে বিনিয়োগ করা তো দূরে থাক, বিনিয়োগ উঠিয়ে আনব কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি।’
আরেক বিনিয়োগকারী সাইফুল ইসলাম জানান, ‘শেয়ারবাজারে হঠাত্ করে দরপতনে আমার মতো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বাজারকে বাজারের গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। জোর করে টেনে ধরা উচিত নয়।
পুঁজিবাজার-বিশ্লেষক ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহমেদ খান আজকের দরপতনকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে বলেন, ‘আজ ডিএসইতে দরপতনের উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ দেখছি না এবং এর কোনো যথার্থ ব্যাখ্যাও খুঁজে পাচ্ছি না। এ ছাড়া এই দরপতনকে সংশোধনও বলতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) উচিত লেনদেনের তথ্য (ডেটা) পর্যালোচনা করে দেখা। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা এরই দাবি রাখে।
No comments