পাকিস্তানে ৪৩টি জঙ্গিঘাঁটি আছে: ভারত
ভারত বলেছে, পাকিস্তানে অন্তত ৪৩টি জঙ্গিঘাঁটি আছে। এর মধ্যে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেই রয়েছে ২২টি। ওই ঘাঁটিগুলো থেকে জঙ্গিরা সীমান্ত পার হয়ে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নানা অপতৎপরতা চালায়। নয়াদিল্লির অভিযোগ, এসব জঙ্গিঘাঁটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে ইসলামাবাদ খুব একটা উদ্যোগ নেয়নি। উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন কূটনীতিকদের তারবার্তা থেকে এ তথ্য মিলেছে।
গত বছরের জুনে তৎকালীন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল জিম জোন্স ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উইকিলিকসের ফাঁস করা ওই তথ্য ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা প্রকাশ করেছে।
মার্কিন তারবার্তায় বলা হয়, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল দীপক কাপুরও ওই বৈঠকে অংশ নেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান ওই জঙ্গিঘাঁটিগুলোতে অভিযান চালায় ঠিকই, কিন্তু ঘাঁটিগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। কিছু ঘাঁটি আবারও কার্যক্রম শুরু করে। তিনি আরও বলেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও পাকিস্তানের জঙ্গিরা তৎপরতা চালায়। ইসলামাবাদের সহযোগিতা ছাড়া এসব তৎপরতা অব্যাহত রাখা অসম্ভব।
সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় প্রহরা জোরদার করা হয়েছে। এর পরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জঙ্গি সীমানা অতিক্রম করতে সমর্থ হয়। কাপুর বলেন, ‘আমরা যদি তাদের (জঙ্গিদের) গ্রেপ্তার করতে পারি, তাহলে পাকিস্তানের সেনারা পারে না কেন?’
মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, ওই বৈঠকে জিম জোন্স তখন জঙ্গিঘাঁটির এ বিষয়টি পাকিস্তানের সরকারের কাছে উত্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। একপর্যায়ে তিনি সেনাপ্রধানের কাছে ভারত-পাকিস্তান সেনা আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনি বলেন, মুম্বাই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি আসা দুরূহ।
জঙ্গিদের মদদের অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইসলামাবাদ।
নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তানের মাটিতে বসে মুম্বাই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। ইসলামাবাদ এ ঘটনার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে ওই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নয়াদিল্লি বলছে, ইসলামাবাদের এ তদন্তে তারা সন্তুষ্ট নয়।
জোন্স বলেন, ‘মুম্বাই হামলার মতো আবারও কোনো সন্ত্রাসী হামলা এ অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। আমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তুলতে জঙ্গিদের সুযোগ করে দিতে পারি না।’
গত বছরের জুনে তৎকালীন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল জিম জোন্স ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উইকিলিকসের ফাঁস করা ওই তথ্য ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা প্রকাশ করেছে।
মার্কিন তারবার্তায় বলা হয়, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল দীপক কাপুরও ওই বৈঠকে অংশ নেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান ওই জঙ্গিঘাঁটিগুলোতে অভিযান চালায় ঠিকই, কিন্তু ঘাঁটিগুলো স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি। কিছু ঘাঁটি আবারও কার্যক্রম শুরু করে। তিনি আরও বলেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরেও পাকিস্তানের জঙ্গিরা তৎপরতা চালায়। ইসলামাবাদের সহযোগিতা ছাড়া এসব তৎপরতা অব্যাহত রাখা অসম্ভব।
সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় প্রহরা জোরদার করা হয়েছে। এর পরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জঙ্গি সীমানা অতিক্রম করতে সমর্থ হয়। কাপুর বলেন, ‘আমরা যদি তাদের (জঙ্গিদের) গ্রেপ্তার করতে পারি, তাহলে পাকিস্তানের সেনারা পারে না কেন?’
মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, ওই বৈঠকে জিম জোন্স তখন জঙ্গিঘাঁটির এ বিষয়টি পাকিস্তানের সরকারের কাছে উত্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। একপর্যায়ে তিনি সেনাপ্রধানের কাছে ভারত-পাকিস্তান সেনা আলোচনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনি বলেন, মুম্বাই হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় অগ্রগতি আসা দুরূহ।
জঙ্গিদের মদদের অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে ইসলামাবাদ।
নয়াদিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তানের মাটিতে বসে মুম্বাই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। ইসলামাবাদ এ ঘটনার তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে ওই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবার সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নয়াদিল্লি বলছে, ইসলামাবাদের এ তদন্তে তারা সন্তুষ্ট নয়।
জোন্স বলেন, ‘মুম্বাই হামলার মতো আবারও কোনো সন্ত্রাসী হামলা এ অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। আমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষিয়ে তুলতে জঙ্গিদের সুযোগ করে দিতে পারি না।’
No comments