হকির কমিটি বাতিলের দাবি
হকি ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাচিত কমিটি বিলুপ্তি চেয়ে কাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের এক পাশে হকির গোলপোস্টে ব্যানার টানিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। বর্তমান কমিটিকে অযোগ্য ও ব্যর্থ দাবি করে গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের দাবি তুলেছেন এটির উদ্যোক্তারা।
মঞ্চে ছিলেন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আদেল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ এবং উত্তরা হকি ক্লাবের সভাপতি সুলতান উদ্দিন আহমেদ। রহমতউল্লাহ আবাহনীর এবং আদেল মোহামেডানের কর্মকর্তা। বর্তমান কমিটিকে তাড়াতে দুই ‘শক্র’ এখন এক।
এই দুজন স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যের সারসংক্ষেপ—জামিল প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি করে ঐকমত্যের পরিষদ বাদ দিয়ে একক পরিষদ নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তাঁর আড়াই বছরের মেয়াদে বর্তমান কমিটির অনিয়ম, অদক্ষতা ও ব্যর্থতায় হকির মান ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী। এই সময়ে প্রিমিয়ার, জুনিয়র, স্কুল হকি হয়েছে মাত্র একবার। জাতীয় হকি, যুব হকি, আদিবাসী প্রতিযোগিতা হয়নি।
আরও অভিযোগ—দুজন যুগ্ম সম্পাদক কয়েক মাস ধরে ফেডারেশনে আসেন না। ফেডারেশনের সভায় মাঝেমধ্যেই সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকেন না, থাকলেও সভার শেষ পর্যায়ে চা-চক্রে উপস্থিত হন। ফেডারেশনের সভায় কোরাম সংকট থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সভাপতির একক সিদ্ধান্তে হয়। আড়াই বছরে সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভা হয়নি। বিদেশি কোচ (পিটার গেরহার্ড) নিয়োগে অনভিজ্ঞতা ও ব্যর্থতা। কমিটির অদক্ষতা, ভুল পরিকল্পনা, স্বজনপ্রীতি ও ব্যর্থতার কারণে দেশের কোথাও হকি খেলা হচ্ছে না। তারই ফল এশিয়ান গেমসে চরম ভরাডুবি। ১৮ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আটজন কর্মকর্তা! এর মধ্যে ফেডারেশনের টাকায় যাওয়া পর্যবেক্ষকও আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বর্তমান কমিটিরই সক্রিয় কর্মকর্তা আনভীর আদিল। ক্লাব কাপের ফাইনালের জের ধরে তাঁকে আদালত জরিমানা করেছেন, লিখিত বক্তব্যে এটা লেখা থাকায় রেগেমেগে তিনি সামনের আসন ছেড়ে পেছনে চলে যান। এ যেন বেইলি রোডের নাটক!
বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ঊষার কর্মকর্তা আবদুর রশিদও হাজির। তিনিও কমিটি বাতিল চান? রশিদ বললেন, ‘নতুন কমিটি হলে এক পক্ষ সমর্থন দেবে, আরেক পক্ষ দেবে না! লাভ কী তাতে! আবাহনী, মোহামেডান, ঊষা, মেরিনার্স একমত হয়ে কিছু করলে হয়তো সমাধান আসতে পারে। নইলে হকি এভাবেই চলবে।’
তবে ‘এভাবে ফেডারেশন চলতে পারে না’ স্বীকার করে খোন্দকার জামিলউদ্দিন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন, ‘ফেডারেশনে কিছু সমস্যা আছে। তবে অনিয়ম সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে। ফেডারেশনের সভায় অসুস্থতার কারণে মাত্র এক দিন ছিলাম না। স্কুল হকি ১০ বছর পর আমরাই করেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সারবত্তা নেই।’
মঞ্চে ছিলেন ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আদেল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ এবং উত্তরা হকি ক্লাবের সভাপতি সুলতান উদ্দিন আহমেদ। রহমতউল্লাহ আবাহনীর এবং আদেল মোহামেডানের কর্মকর্তা। বর্তমান কমিটিকে তাড়াতে দুই ‘শক্র’ এখন এক।
এই দুজন স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যের সারসংক্ষেপ—জামিল প্রতারণা ও ধোঁকাবাজি করে ঐকমত্যের পরিষদ বাদ দিয়ে একক পরিষদ নিয়ে নির্বাচন করেছেন। তাঁর আড়াই বছরের মেয়াদে বর্তমান কমিটির অনিয়ম, অদক্ষতা ও ব্যর্থতায় হকির মান ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী। এই সময়ে প্রিমিয়ার, জুনিয়র, স্কুল হকি হয়েছে মাত্র একবার। জাতীয় হকি, যুব হকি, আদিবাসী প্রতিযোগিতা হয়নি।
আরও অভিযোগ—দুজন যুগ্ম সম্পাদক কয়েক মাস ধরে ফেডারেশনে আসেন না। ফেডারেশনের সভায় মাঝেমধ্যেই সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকেন না, থাকলেও সভার শেষ পর্যায়ে চা-চক্রে উপস্থিত হন। ফেডারেশনের সভায় কোরাম সংকট থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সভাপতির একক সিদ্ধান্তে হয়। আড়াই বছরে সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভা হয়নি। বিদেশি কোচ (পিটার গেরহার্ড) নিয়োগে অনভিজ্ঞতা ও ব্যর্থতা। কমিটির অদক্ষতা, ভুল পরিকল্পনা, স্বজনপ্রীতি ও ব্যর্থতার কারণে দেশের কোথাও হকি খেলা হচ্ছে না। তারই ফল এশিয়ান গেমসে চরম ভরাডুবি। ১৮ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আটজন কর্মকর্তা! এর মধ্যে ফেডারেশনের টাকায় যাওয়া পর্যবেক্ষকও আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বর্তমান কমিটিরই সক্রিয় কর্মকর্তা আনভীর আদিল। ক্লাব কাপের ফাইনালের জের ধরে তাঁকে আদালত জরিমানা করেছেন, লিখিত বক্তব্যে এটা লেখা থাকায় রেগেমেগে তিনি সামনের আসন ছেড়ে পেছনে চলে যান। এ যেন বেইলি রোডের নাটক!
বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ঊষার কর্মকর্তা আবদুর রশিদও হাজির। তিনিও কমিটি বাতিল চান? রশিদ বললেন, ‘নতুন কমিটি হলে এক পক্ষ সমর্থন দেবে, আরেক পক্ষ দেবে না! লাভ কী তাতে! আবাহনী, মোহামেডান, ঊষা, মেরিনার্স একমত হয়ে কিছু করলে হয়তো সমাধান আসতে পারে। নইলে হকি এভাবেই চলবে।’
তবে ‘এভাবে ফেডারেশন চলতে পারে না’ স্বীকার করে খোন্দকার জামিলউদ্দিন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন, ‘ফেডারেশনে কিছু সমস্যা আছে। তবে অনিয়ম সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে। ফেডারেশনের সভায় অসুস্থতার কারণে মাত্র এক দিন ছিলাম না। স্কুল হকি ১০ বছর পর আমরাই করেছি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো সারবত্তা নেই।’
No comments