সস্তা হয়ে গেছে ব্যাগি গ্রিন
বেশ কদিন পেরিয়ে গেলেও অ্যাডিলেডের শোক বোধ হয় কাটেনি। আর তাই এখনো সরব অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটাররা। এত সুন্দর একটি কাঠামোর মধ্যে ক্রিকেটকে রেখেও কেন পথভ্রষ্ট হতে হলো, সেই কারণটা হন্যে হয়ে খুঁজছেন তাঁরা। কেউ কেউ এমনও বলছেন, অ্যাশেজ শেষ হওয়ার পর জরুরি একটা কমিটি গঠন করা উচিত, যে কমিটির কাজ হবে সাম্প্রতিক এই ব্যর্থতার কারণ বের করে ভবিষ্যতের পথনির্দেশ দেওয়া।
এমন একটা কমিটি গঠনের জোর দাবি জানিয়েছেন সাবেক উইকেটকিপার স্টিভ রিক্সন। সেই কমিটির প্রধান হিসেবে তিনি দেখতে চান সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলরকে। টেলরের ওই কমিটিই হবে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের উদ্ধারদাতা।
রিক্সন মনে করেন, অতি-আত্মবিশ্বাসের মেদ জমেছে এই দলটার গায়ে, ‘আমরা আসলে ভোঁতা হয়ে গেছি। সবকিছু সহজে পাচ্ছি তো তাই। তাই কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। আমাদের একটা কমিটি করার সময় চলে এসেছে। আমরা চাই, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট আবারও চূড়ায় পৌঁছাক। এখন তো একেবারে জঘন্য খেলা খেলছি আমরা। ওই কমিটির প্রধান হিসেবে মার্ক টেলর থাকতে পারে। ওর ক্রিকেট-মস্তিষ্ক ক্ষুরধার। স্টিভ ওয়াহও থাকতে পারে।’
সাবেক খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই দোষ দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচিং পদ্ধতির। জন বেনোর মতে, ছাড় পেতে পেতে এই ক্রিকেটাররা হাড়-আলসে হয়ে গেছে, ‘আশকারা পেয়ে পেয়ে এদের মাথায় উঠে বসার দশা। অনুশীলনে ক্যামেরা নিয়ে ভিডিও করা নয়, এই ক্রিকেটারদের দরকার সত্যিকারের অনুশীলন।’ কিম হিউজও একমত, ‘এই ক্রিকেটারদের আমরা মহা মূল্য রত্নের মতো আগলে রাখছি। ওদের আমরা যেন একেবারে যক্ষের ধন করে রেখেছি। মিচেল জনসনকে কেন শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে না খেলিয়ে বিশ্রাম দেওয়া হলো আমার মাথাতেই ঢুকছে না।’
সাবেক ক্রিকেটারদের সমালোচনার তীর শুধু ক্রিকেটার আর কোচদের নয়, বিদ্ধ করেছে নির্বাচকদেরও। পার্থ টেস্টের আগে কোন বিচারে স্পিনার মাইকেল বিয়ারকে দলে নেওয়া হলো, সেটা যেমন মাথায় ঢুকছে না কারও কারও। পুরো ক্যারিয়ারটাই শেন ওয়ার্নের ছায়ায় কাটিয়ে দেওয়া স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল যেমন বিয়ারের দলে সুযোগ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমি বিস্মিত, হকচকিত। সত্যি বলছি, আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।’ সত্যি বলতে কি বিশ্বাস হচ্ছে না বিয়ারেরও, এক বছর আগেও পুরোদস্তুর পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন না যিনি।
৫টি ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারে এমন বাঘ-ভালুক কিছুই বিয়ার মারেননি। এই ২৬ বছর বয়সীকে ১২ জনের দলে নেওয়া হলো কোন যোগ্যতায় বা যুক্তিতে, সেটাই জানতে চান ম্যাকগিল। তবে কি এতটাই সস্তা হয়ে গেছে ব্যাগি গ্রিন টুপিটা!
খেলোয়াড়-কোচ-নির্বাচকদের পাশাপাশি অধিনায়ককেও ধোয়ার কথা। অবশ্য সাবেকদের বেশির ভাগই অধিনায়ক হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের পাশেই থাকছেন। দু-চারজন যে মুণ্ডপাত করছে না এমনও নয়। চাইলেই পন্টিং বিনা বাক্যব্যয়ে সরে দাঁড়াবেন এমন ভাবাও ঠিক নয়। ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হিসেবে তিনটি অ্যাশেজ হারের মুখে দাঁড়িয়েও পন্টিং বলছেন, অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই।
এমন একটা কমিটি গঠনের জোর দাবি জানিয়েছেন সাবেক উইকেটকিপার স্টিভ রিক্সন। সেই কমিটির প্রধান হিসেবে তিনি দেখতে চান সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেলরকে। টেলরের ওই কমিটিই হবে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের উদ্ধারদাতা।
রিক্সন মনে করেন, অতি-আত্মবিশ্বাসের মেদ জমেছে এই দলটার গায়ে, ‘আমরা আসলে ভোঁতা হয়ে গেছি। সবকিছু সহজে পাচ্ছি তো তাই। তাই কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে না। আমাদের একটা কমিটি করার সময় চলে এসেছে। আমরা চাই, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট আবারও চূড়ায় পৌঁছাক। এখন তো একেবারে জঘন্য খেলা খেলছি আমরা। ওই কমিটির প্রধান হিসেবে মার্ক টেলর থাকতে পারে। ওর ক্রিকেট-মস্তিষ্ক ক্ষুরধার। স্টিভ ওয়াহও থাকতে পারে।’
সাবেক খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই দোষ দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচিং পদ্ধতির। জন বেনোর মতে, ছাড় পেতে পেতে এই ক্রিকেটাররা হাড়-আলসে হয়ে গেছে, ‘আশকারা পেয়ে পেয়ে এদের মাথায় উঠে বসার দশা। অনুশীলনে ক্যামেরা নিয়ে ভিডিও করা নয়, এই ক্রিকেটারদের দরকার সত্যিকারের অনুশীলন।’ কিম হিউজও একমত, ‘এই ক্রিকেটারদের আমরা মহা মূল্য রত্নের মতো আগলে রাখছি। ওদের আমরা যেন একেবারে যক্ষের ধন করে রেখেছি। মিচেল জনসনকে কেন শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে না খেলিয়ে বিশ্রাম দেওয়া হলো আমার মাথাতেই ঢুকছে না।’
সাবেক ক্রিকেটারদের সমালোচনার তীর শুধু ক্রিকেটার আর কোচদের নয়, বিদ্ধ করেছে নির্বাচকদেরও। পার্থ টেস্টের আগে কোন বিচারে স্পিনার মাইকেল বিয়ারকে দলে নেওয়া হলো, সেটা যেমন মাথায় ঢুকছে না কারও কারও। পুরো ক্যারিয়ারটাই শেন ওয়ার্নের ছায়ায় কাটিয়ে দেওয়া স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল যেমন বিয়ারের দলে সুযোগ পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমি বিস্মিত, হকচকিত। সত্যি বলছি, আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।’ সত্যি বলতে কি বিশ্বাস হচ্ছে না বিয়ারেরও, এক বছর আগেও পুরোদস্তুর পেশাদার ক্রিকেটার ছিলেন না যিনি।
৫টি ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারে এমন বাঘ-ভালুক কিছুই বিয়ার মারেননি। এই ২৬ বছর বয়সীকে ১২ জনের দলে নেওয়া হলো কোন যোগ্যতায় বা যুক্তিতে, সেটাই জানতে চান ম্যাকগিল। তবে কি এতটাই সস্তা হয়ে গেছে ব্যাগি গ্রিন টুপিটা!
খেলোয়াড়-কোচ-নির্বাচকদের পাশাপাশি অধিনায়ককেও ধোয়ার কথা। অবশ্য সাবেকদের বেশির ভাগই অধিনায়ক হিসেবে রিকি পন্টিংয়ের পাশেই থাকছেন। দু-চারজন যে মুণ্ডপাত করছে না এমনও নয়। চাইলেই পন্টিং বিনা বাক্যব্যয়ে সরে দাঁড়াবেন এমন ভাবাও ঠিক নয়। ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হিসেবে তিনটি অ্যাশেজ হারের মুখে দাঁড়িয়েও পন্টিং বলছেন, অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই।
No comments