ভয় পাচ্ছে না জিম্বাবুয়ে
নিউজিল্যান্ডই পাত্তা পায়নি। চার বছর ধরে দুই দলের যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইতিহাস, জিম্বাবুয়ে এবারও উড়ে যাবে। আকাশে-বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে, আরেকটি হোয়াইটওয়াশ স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
শুনে মুচকি হাসলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। কাল দুপুরে ঢাকায় পা রেখেই জিম্বাবুয়ের সহ-অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, হোয়াইটওয়াশ দূরে থাক, সিরিজ জেতাটাও সহজ হবে না বাংলাদেশের। যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, কিউইদের মতো সহজ শিকার তাঁরা হবেন না, ‘কিউইদের জন্য কাজটা কঠিন ছিল, কারণ বাংলাদেশের কন্ডিশন নিয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা ওদের ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আমরা বাংলাদেশে অনেক খেলেছি। আমরা জানি, এখানে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। আশা করি, কিউইদের চেয়ে আমরা অনেক ভালো করব।’
মাসাকাদজার কথা কতটা ফলবে তা সময়ই বলবে। তবে তাঁর যুক্তির সঙ্গে দ্বিমত করার উপায় কিন্তু নেই। মাঝখানে শুধু একটা বছর (২০০৮) বাদ দিয়ে ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছরই দুই দলের সিরিজ নিয়মিত হচ্ছে। গত বছরই দুবার বাংলাদেশে এসেছে জিম্বাবুয়ে। গত বছর নিজেদের মাটিতে ১০টা ওয়ানডে খেলেছিল জিম্বাবুয়ে, আর বাংলাদেশের মাটিতে ৯টি! চাইলে বাংলাদেশকে এখন ‘সেকেন্ড হোম’ বলতেই পারেন মাসাকাদজারা।
বাংলাদেশে এই নিয়মিত আসা-যাওয়ায় তাদের যে খুব লাভ হয়েছে এমনটা বলা যাবে না। ২০০৬ সালের জুলাইয়ে হারারে ম্যাচের জয় দিয়ে সিরিজ ৩-২ করার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে আর সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি জিম্বাবুয়ে। ওই বছরই নভেম্বরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর গত চারটি সিরিজে ম্যাচ জিতেছে মাত্র একটি করে। উল্টো দিকে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর আশা করছে অন্য স্তরে উত্তরণের। মাসাকাদজা কিন্তু এর পরও দুই দলকে রাখছেন একই কাতারে, ‘আমার মনে হয় না, দুই দলের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য আছে। দুই দলের শক্তির জায়গাগুলো একই। গত কয়েকটা সিরিজ আমরা বাংলাদেশের কাছে হেরেছি। কিন্তু এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচের ফলাফল আমাদের অনুকূলেও আসতে পারত। খুব কাছে গিয়ে হেরেছি আমরা। আশা করছি, এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে।’
দুই দলের শক্তির জায়গা একই বলে কি স্পিনকেই ইঙ্গিত করলেন মাসাকাদজা? বাঁহাতি দুই স্পিনার রে প্রাইস ও কিথ দাবেংওয়া, অফ স্পিনার প্রসপার উতসেয়া, লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমারকে নিয়ে বেশ বৈচিত্র্যময় জিম্বাবুয়ের স্পিন-আক্রমণ। গত কয়েকটা সিরিজের মতো এবার তাই স্পিনে শুধু ঘায়েল হতেই আসেননি তাঁরা, একই অস্ত্রে কাবু করতে চান বাংলাদেশকেও, ‘আগেই বলেছি, আমরা জানি, বাংলাদেশে কী অপেক্ষা করছে। এক গাদা স্পিনারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মানসিকভাবে আমরা প্রস্তুত। আর বাংলাদেশের মতো আমাদেরও মূল শক্তি স্পিন। বেশ কয়েকজন ভালো স্পিনার আছে আমাদের। আশা করি, তারা কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে।’
এ মুহূর্তে উপমহাদেশে সফর যেকোনো দলের জন্যই একটা বড় পাওয়া। বিশ্বকাপের জন্য এর চেয়ে আদর্শ প্রস্তুতি আর কী হতে পারে! মাসাকাদজাও জানালেন, বিশ্বকাপের প্রস্তুতিই তাঁদের কাছে মুখ্য। তবে তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন না এই সিরিজের কথাও। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চান এই সিরিজে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জয় না পেলেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন টেলর-টাইবু-চিবাবারা। সদ্য শেষ হওয়া ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও রানে ছিলেন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে অবশ্য কন্ডিশন এখানে পুরোপুরিই ভিন্ন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় রান পাওয়ার আত্মবিশ্বাস এখানে ঠিকই সঙ্গী হবে। তা ছাড়া উইকেট-কন্ডিশন তো তাদের চেনাই। বছর খানেক পরে আসায় যেটুকু অচেনা হয়েছে, সেটাও ঠিক হয়ে যাবে সিরিজ শুরুর আগের কদিনে আর ২৯ নভেম্বরের প্রস্তুতি ম্যাচে। সরাসরি না বললেও মাসাকাদজা যেন বুঝিয়ে দিলেন, ‘সাবধান, বাংলাদেশ!’
শুনে মুচকি হাসলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। কাল দুপুরে ঢাকায় পা রেখেই জিম্বাবুয়ের সহ-অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, হোয়াইটওয়াশ দূরে থাক, সিরিজ জেতাটাও সহজ হবে না বাংলাদেশের। যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, কিউইদের মতো সহজ শিকার তাঁরা হবেন না, ‘কিউইদের জন্য কাজটা কঠিন ছিল, কারণ বাংলাদেশের কন্ডিশন নিয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা ওদের ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আমরা বাংলাদেশে অনেক খেলেছি। আমরা জানি, এখানে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে। আশা করি, কিউইদের চেয়ে আমরা অনেক ভালো করব।’
মাসাকাদজার কথা কতটা ফলবে তা সময়ই বলবে। তবে তাঁর যুক্তির সঙ্গে দ্বিমত করার উপায় কিন্তু নেই। মাঝখানে শুধু একটা বছর (২০০৮) বাদ দিয়ে ২০০৪ সাল থেকে প্রতিবছরই দুই দলের সিরিজ নিয়মিত হচ্ছে। গত বছরই দুবার বাংলাদেশে এসেছে জিম্বাবুয়ে। গত বছর নিজেদের মাটিতে ১০টা ওয়ানডে খেলেছিল জিম্বাবুয়ে, আর বাংলাদেশের মাটিতে ৯টি! চাইলে বাংলাদেশকে এখন ‘সেকেন্ড হোম’ বলতেই পারেন মাসাকাদজারা।
বাংলাদেশে এই নিয়মিত আসা-যাওয়ায় তাদের যে খুব লাভ হয়েছে এমনটা বলা যাবে না। ২০০৬ সালের জুলাইয়ে হারারে ম্যাচের জয় দিয়ে সিরিজ ৩-২ করার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে আর সিরিজ জয়ের স্বাদ পায়নি জিম্বাবুয়ে। ওই বছরই নভেম্বরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর গত চারটি সিরিজে ম্যাচ জিতেছে মাত্র একটি করে। উল্টো দিকে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর আশা করছে অন্য স্তরে উত্তরণের। মাসাকাদজা কিন্তু এর পরও দুই দলকে রাখছেন একই কাতারে, ‘আমার মনে হয় না, দুই দলের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য আছে। দুই দলের শক্তির জায়গাগুলো একই। গত কয়েকটা সিরিজ আমরা বাংলাদেশের কাছে হেরেছি। কিন্তু এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচের ফলাফল আমাদের অনুকূলেও আসতে পারত। খুব কাছে গিয়ে হেরেছি আমরা। আশা করছি, এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে।’
দুই দলের শক্তির জায়গা একই বলে কি স্পিনকেই ইঙ্গিত করলেন মাসাকাদজা? বাঁহাতি দুই স্পিনার রে প্রাইস ও কিথ দাবেংওয়া, অফ স্পিনার প্রসপার উতসেয়া, লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমারকে নিয়ে বেশ বৈচিত্র্যময় জিম্বাবুয়ের স্পিন-আক্রমণ। গত কয়েকটা সিরিজের মতো এবার তাই স্পিনে শুধু ঘায়েল হতেই আসেননি তাঁরা, একই অস্ত্রে কাবু করতে চান বাংলাদেশকেও, ‘আগেই বলেছি, আমরা জানি, বাংলাদেশে কী অপেক্ষা করছে। এক গাদা স্পিনারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য মানসিকভাবে আমরা প্রস্তুত। আর বাংলাদেশের মতো আমাদেরও মূল শক্তি স্পিন। বেশ কয়েকজন ভালো স্পিনার আছে আমাদের। আশা করি, তারা কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে পারবে।’
এ মুহূর্তে উপমহাদেশে সফর যেকোনো দলের জন্যই একটা বড় পাওয়া। বিশ্বকাপের জন্য এর চেয়ে আদর্শ প্রস্তুতি আর কী হতে পারে! মাসাকাদজাও জানালেন, বিশ্বকাপের প্রস্তুতিই তাঁদের কাছে মুখ্য। তবে তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন না এই সিরিজের কথাও। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চান এই সিরিজে। দক্ষিণ আফ্রিকায় জয় না পেলেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন টেলর-টাইবু-চিবাবারা। সদ্য শেষ হওয়া ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেও রানে ছিলেন জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে অবশ্য কন্ডিশন এখানে পুরোপুরিই ভিন্ন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় রান পাওয়ার আত্মবিশ্বাস এখানে ঠিকই সঙ্গী হবে। তা ছাড়া উইকেট-কন্ডিশন তো তাদের চেনাই। বছর খানেক পরে আসায় যেটুকু অচেনা হয়েছে, সেটাও ঠিক হয়ে যাবে সিরিজ শুরুর আগের কদিনে আর ২৯ নভেম্বরের প্রস্তুতি ম্যাচে। সরাসরি না বললেও মাসাকাদজা যেন বুঝিয়ে দিলেন, ‘সাবধান, বাংলাদেশ!’
No comments