প্রধানমন্ত্রী পদে এনডিএর মনোনয়ন পাচ্ছেন নিতীশ?
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভের পর নিতীশ কুমারের নাম বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর তালিকায় উঠে এসেছে। বিজেপির দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী নেতা ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই এত দিন এনডিএর সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। তবে বিহারে নিতীশ কুমারের বিশাল বিজয় নয়াদিল্লিতে এনডিএর রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে। এখন নিতীশকে মোদির জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেস পার্টি বর্তমানে প্রচণ্ড চাপে রয়েছে। এ সুযোগে এনডিএ ওডিশার নবীন পট্টনায়েক, অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু, হরিয়ানার ওমপ্রকাশ চৌতালা ও পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সাবেক মিত্রদের আবার জোটে টানার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, নিতীশ কুমারের বিজয় সে প্রচেষ্টাকে অনেকখানি জোরালো করে তুলেছে। এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ধর্মকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে রাখছে না।
বিজেপির একটি সূত্র বলেছে, বিহারে বিজয়ের মাধ্যমে এনডিএ নিজেকে জাতীয় পর্যায়ে কংগ্রেস পার্টির সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রমাণ করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বামপন্থী দলগুলো এবং বিজেপি জোট গঠন করেই কেবল ক্ষমতাসীন জোটের বিকল্প শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত বামপন্থীরা বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কোনো আভাস দেয়নি। সে কারণে আপাতত বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচন মাথায় রেখে রাজ্যকেন্দ্রিক শক্তিগুলোকে নিয়ে জোট গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদিকে মুসলিমবিদ্বেষী কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে মনে করা হয়। ফলে তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শে পরিচালিত দলগুলো যুক্ত হতে চাইছে না।
নরেন্দ্র মোদির তুলনায় নিতীশ অনেক বেশি উদারপন্থী। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যদি এনডিএ নিতীশকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়ন দেয়, তাহলে তাদের পক্ষে ওডিশার বিজু জনতা দল, অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টি এবং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়া সহজ হবে বলে অনেকে মনে করেন। ধারণা করা হয়, নিতীশকে মনোনীত করলে বিজেপির মুসলিমবিরোধী ইমেজ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
এসব দিক মাথায় রেখে নরেন্দ্র মোদির পরিবর্তে নিতীশ কুমারকেই শেষ পর্যন্ত এনডিএর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেস পার্টি বর্তমানে প্রচণ্ড চাপে রয়েছে। এ সুযোগে এনডিএ ওডিশার নবীন পট্টনায়েক, অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু, হরিয়ানার ওমপ্রকাশ চৌতালা ও পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সাবেক মিত্রদের আবার জোটে টানার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, নিতীশ কুমারের বিজয় সে প্রচেষ্টাকে অনেকখানি জোরালো করে তুলেছে। এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ধর্মকে প্রধান এজেন্ডা হিসেবে রাখছে না।
বিজেপির একটি সূত্র বলেছে, বিহারে বিজয়ের মাধ্যমে এনডিএ নিজেকে জাতীয় পর্যায়ে কংগ্রেস পার্টির সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রমাণ করেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বামপন্থী দলগুলো এবং বিজেপি জোট গঠন করেই কেবল ক্ষমতাসীন জোটের বিকল্প শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
তবে এখন পর্যন্ত বামপন্থীরা বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কোনো আভাস দেয়নি। সে কারণে আপাতত বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচন মাথায় রেখে রাজ্যকেন্দ্রিক শক্তিগুলোকে নিয়ে জোট গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদিকে মুসলিমবিদ্বেষী কট্টর হিন্দু জাতীয়তাবাদী হিসেবে মনে করা হয়। ফলে তাঁর নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শে পরিচালিত দলগুলো যুক্ত হতে চাইছে না।
নরেন্দ্র মোদির তুলনায় নিতীশ অনেক বেশি উদারপন্থী। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যদি এনডিএ নিতীশকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়ন দেয়, তাহলে তাদের পক্ষে ওডিশার বিজু জনতা দল, অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টি এবং পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়া সহজ হবে বলে অনেকে মনে করেন। ধারণা করা হয়, নিতীশকে মনোনীত করলে বিজেপির মুসলিমবিরোধী ইমেজ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
এসব দিক মাথায় রেখে নরেন্দ্র মোদির পরিবর্তে নিতীশ কুমারকেই শেষ পর্যন্ত এনডিএর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
No comments