ক্রিকেট নিয়ে ভাবছে চীনারা!
কথায় আছে, চীনারা একবার যা ধরে, তার নাকি শেষ দেখে ছাড়ে। ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও কি তাই ঘটতে যাচ্ছে? ২০০ কোটি মানুষের দেশ চীনে ২০০ জন বিশ্বমানের ক্রিকেটার তৈরি করা যাবে না—ব্যাপারটি একদমই বিশ্বাস করেন না চীনের ক্রিকেট কর্তারা। গুয়াংজুতে এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটে খেলাটির ব্যাপারে চীনাদের আগ্রহ টের পেয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। গুয়াংজুর ক্রিকেট মাঠে চীনা তরুণ-তরুণীদের সপ্রতিভ উপস্থিতি তারই সাক্ষ্য দেয়।
এবারের এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ক্রিকেট। বিশ্বের ক্রিকেট খেলুড়ে শীর্ষ ১০টি দেশের চারটিই এশিয়ার হওয়ায় এশিয়ান গেমসের পদকের লড়াইয়ে অন্য কোনো দেশের পাত্তাই পাওয়ার কথা নয়, তবে পুরো ব্যাপারটিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ চীন। তাদের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিই রংগিউর কথাই তা প্রমাণ করে।
ক্রিকেটের মেয়েদের বিভাগে জাপানের সঙ্গে ব্রোঞ্জের লড়াই করে হেরে গেছে চীনের মেয়েরা। তবে আগামী এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটে চীন যেন শীর্ষ দেশগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, তার জন্য প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিতে চান লিউ। তিনি বলেন, চীনের তরুণদের মধ্যে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য এখন থেকে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। লিউ বলেন, একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রিকেটারদের তৈরি করা হবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ক্রিকেটে একটা অবস্থান তৈরি করে নেবে চীন।
একেবারে অজানা-অচেনা এ খেলার ম্যাচ রিপোর্ট ইত্যাদি করতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খাওয়া চীনা সাংবাদিকদের জন্যও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে দেশটির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। এবারের এশিয়ান গেমসের ক্রিকেট নিয়ে চীনা পত্রিকায় প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে বেশির ভাগ সাংবাদিকই রানের জায়গায় লিখেছেন পয়েন্ট।
কোনো খেলায় সাফল্য পেতে হলে যে তাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হয় এবং তরুণ প্রতিভার অন্বেষণ করতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানে চীনারা। এশিয়ান গেমসে ১৯৭টি সোনার পদক তারই প্রমাণ। লিউও মনে করেন, ক্রিকেটে সাফল্য পেতে হলে একে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ক্রিকেট খেলার মূল শারীরিক বিজ্ঞানও ধরতে পেরেছে চীনারা। লিউ এ ব্যাপারে বলেন, ক্রিকেট খেলাটা এশীয় জনগোষ্ঠীর জীবনাচারের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যাওয়া একটি খেলা। কারণ, এই খেলায় খুব বেশি শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয় না।
সব মিলিয়ে চীন ক্রিকেট নিয়ে যে যথেষ্ট সিরিয়াস, তা বুঝতে খুব বড় বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। আর কোনো অচেনা খেলা সিরিয়াসলি নিয়ে চীন যে অনেক দূর যেতে পারে, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হকি। আজ থেকে ২০ বছর আগে চীনের হকি কোথায় ছিল আর আজ কোথায় আছে, তা তো ক্রীড়ামোদী মাত্রই জানেন। অতএব, এশিয়ার ক্রিকেট শক্তি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার বোধ হয় নড়েচড়ে বসার সময় এসেছে।
এবারের এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ক্রিকেট। বিশ্বের ক্রিকেট খেলুড়ে শীর্ষ ১০টি দেশের চারটিই এশিয়ার হওয়ায় এশিয়ান গেমসের পদকের লড়াইয়ে অন্য কোনো দেশের পাত্তাই পাওয়ার কথা নয়, তবে পুরো ব্যাপারটিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ চীন। তাদের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিই রংগিউর কথাই তা প্রমাণ করে।
ক্রিকেটের মেয়েদের বিভাগে জাপানের সঙ্গে ব্রোঞ্জের লড়াই করে হেরে গেছে চীনের মেয়েরা। তবে আগামী এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটে চীন যেন শীর্ষ দেশগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, তার জন্য প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিতে চান লিউ। তিনি বলেন, চীনের তরুণদের মধ্যে ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য এখন থেকে নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে। লিউ বলেন, একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রিকেটারদের তৈরি করা হবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ক্রিকেটে একটা অবস্থান তৈরি করে নেবে চীন।
একেবারে অজানা-অচেনা এ খেলার ম্যাচ রিপোর্ট ইত্যাদি করতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খাওয়া চীনা সাংবাদিকদের জন্যও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে দেশটির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। এবারের এশিয়ান গেমসের ক্রিকেট নিয়ে চীনা পত্রিকায় প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে বেশির ভাগ সাংবাদিকই রানের জায়গায় লিখেছেন পয়েন্ট।
কোনো খেলায় সাফল্য পেতে হলে যে তাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হয় এবং তরুণ প্রতিভার অন্বেষণ করতে হয়, তা খুব ভালো করেই জানে চীনারা। এশিয়ান গেমসে ১৯৭টি সোনার পদক তারই প্রমাণ। লিউও মনে করেন, ক্রিকেটে সাফল্য পেতে হলে একে শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ক্রিকেট খেলার মূল শারীরিক বিজ্ঞানও ধরতে পেরেছে চীনারা। লিউ এ ব্যাপারে বলেন, ক্রিকেট খেলাটা এশীয় জনগোষ্ঠীর জীবনাচারের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে যাওয়া একটি খেলা। কারণ, এই খেলায় খুব বেশি শারীরিক শক্তির প্রয়োজন হয় না।
সব মিলিয়ে চীন ক্রিকেট নিয়ে যে যথেষ্ট সিরিয়াস, তা বুঝতে খুব বড় বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। আর কোনো অচেনা খেলা সিরিয়াসলি নিয়ে চীন যে অনেক দূর যেতে পারে, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হকি। আজ থেকে ২০ বছর আগে চীনের হকি কোথায় ছিল আর আজ কোথায় আছে, তা তো ক্রীড়ামোদী মাত্রই জানেন। অতএব, এশিয়ার ক্রিকেট শক্তি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার বোধ হয় নড়েচড়ে বসার সময় এসেছে।
No comments