বিচারবহির্ভূত হত্যা
জনজীবনের নিরাপত্তা বিধানে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অবশ্যকর্তব্য। কিন্তু সেই শাস্তি হতে হবে আইনের অধীনে। অপরাধীকে শনাক্ত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলেও শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার একমাত্র আদালতের। এর বাইরে কাউকে শাস্তি দিলে তা বেআইনি ও বিচারবহির্ভূত বলেই বিবেচিত হবে।
সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এটি সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। এর আগেও দেশি-বিদেশি বহু মানবাধিকার সংস্থা বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কয়েক দিন আগে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা হেফাজতে এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত এ ব্যাপারে সরকারকে সজাগ থাকার কথাও বলেছেন।
এরপর আশা করা গিয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। একদিকে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা বাড়ছে, অন্যদিকে মন্ত্রীরা সে রকম কিছু হচ্ছে না বলে সাফাই গাইছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। গত বুধবার রাজধানীতে র্যাবের ক্রসফায়ারে দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। র্যাবের দাবি, আসামিদের পাকড়াও করতে গেলে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই যুবক মারা যায়। ক্রসফায়ারের পক্ষে র্যাব ও পুলিশ বরাবর প্রায় অভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে থাকে, যা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বিচারবহির্ভূত হত্যা বা নিরাপত্তা হেফাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্য, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা এবং সে যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসতে না পারে, সে জন্য অকাট্য তথ্য-প্রমাণ হাজির করা। অপরাধী শাস্তি পাবে কি পাবে না, তা অনেকাংশে নির্ভর করে পুলিশের প্রতিবেদন ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর। আনীত অভিযোগ প্রমাণ করে আদালতের রায়ে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, বেআইনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নয়।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করার কথা বলেছিল। এটি তাঁদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও। বিরোধী দলে থাকতেও তাঁরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখন ক্ষমতায় এসে তাঁরা সেই অন্যায়কে জায়েজ করতে পারেন না। ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ও নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু, যে নামই দেওয়া হোক না কেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে এসব বেআইনি ও মানবাধিকারবিরোধী কাজ বন্ধ করার বিকল্প নেই।
সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এটি সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। এর আগেও দেশি-বিদেশি বহু মানবাধিকার সংস্থা বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কয়েক দিন আগে চট্টগ্রামে নিরাপত্তা হেফাজতে এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত এ ব্যাপারে সরকারকে সজাগ থাকার কথাও বলেছেন।
এরপর আশা করা গিয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। একদিকে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা বাড়ছে, অন্যদিকে মন্ত্রীরা সে রকম কিছু হচ্ছে না বলে সাফাই গাইছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। গত বুধবার রাজধানীতে র্যাবের ক্রসফায়ারে দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না। র্যাবের দাবি, আসামিদের পাকড়াও করতে গেলে তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই যুবক মারা যায়। ক্রসফায়ারের পক্ষে র্যাব ও পুলিশ বরাবর প্রায় অভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে থাকে, যা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বিচারবহির্ভূত হত্যা বা নিরাপত্তা হেফাজতে আসামির মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্য, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা এবং সে যাতে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসতে না পারে, সে জন্য অকাট্য তথ্য-প্রমাণ হাজির করা। অপরাধী শাস্তি পাবে কি পাবে না, তা অনেকাংশে নির্ভর করে পুলিশের প্রতিবেদন ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ওপর। আনীত অভিযোগ প্রমাণ করে আদালতের রায়ে অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, বেআইনি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নয়।
নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করার কথা বলেছিল। এটি তাঁদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও। বিরোধী দলে থাকতেও তাঁরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এখন ক্ষমতায় এসে তাঁরা সেই অন্যায়কে জায়েজ করতে পারেন না। ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ ও নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু, যে নামই দেওয়া হোক না কেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে এসব বেআইনি ও মানবাধিকারবিরোধী কাজ বন্ধ করার বিকল্প নেই।
No comments