হিগুয়েইনকে ঘিরে আলো
ড্যানিয়েল প্যাসারেলা নিশ্চয়ই কাল মুচকি হেসে সবাইকে বলেছেন, ‘কী, বলেছিলাম না...?’ আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ও ১৯৯৮ বিশ্বকাপের কোচ বছর চারেক আগেই এক ম্যাচে গঞ্জালো হিগুয়েইনকে দেখে বলেছিলেন, ‘এই ছেলের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, বড় তারকা ও হবেই।’
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ‘লা লিগা’য় এবার ২৭ গোল করেছেন, তবু পড়ে থাকেন রোনালদো-কাকাদের আড়ালে। আর্জেন্টিনায় দলে থাকেন মেসি-তেভেজদের ছায়া হয়ে। আলোটা নিজের দিকে ফেরাতে হিগুয়েইন বেছে নিলেন বড় মঞ্চকেই। গোল-খরার এবারের বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করে ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার জানিয়ে দিলেন, তারকা তো তিনিও, একটু-আধটু আলোচনা বোধহয় তাঁকে নিয়েও হওয়া উচিত!
হিগুয়েইনের হ্যাটট্রিকে একটা অপেক্ষা ঘুচল বিশ্বকাপেরও। ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগাল স্ট্রাইকার পলেতার হ্যাটট্রিকের পর ম্যাচে কোনো ফুটবলারের তিন গোল আর দেখেনি বিশ্বকাপ। জার্মানি বিশ্বকাপে হয়নি কোনো হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার আগের হ্যাটট্রিক তো হয়েছে আরও আগেই, ১৯৯৮ বিশ্বকাপে জ্যামাইকার বিপক্ষে সেটা করেছিলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, ভক্তদের প্রিয় ‘বাতিগোল।’
বাতিস্তুতার মতো তিনিও নিখাদ স্ট্রাইকার, বর্তমান ফুটবল-বিশ্বে বিরল প্রজাতি। পুরো ম্যাচে যাঁদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না, কিন্তু সময়মতো দেখা যাবে আসল কাজটি তাঁরাই করেছেন—গোল! কালকের ম্যাচটাই দেখুন না, বল নিয়ে কারিকুরি করলেন মেসি-তেভেজ-ডি মারিয়ারা, কিন্তু গোল পেলেন ওই হিগুয়েইন। প্রথম দুটি গোলে তো তাঁর মাথা আর পা ছোঁয়ানো ছাড়া আর কিছু করারই ছিল না। সতীর্থরাই বল বানিয়ে দিয়েছিলেন দারুণভাবে। কিন্তু ওই যে সময়মতো ঠিক জায়গায় হাজির থাকা, নিখাদ স্ট্রাইকারদের সবচেয়ে বড় গুণ তো ওটাই! হ্যাটট্রিক পূরণ করা গোলটা অবশ্য ছিল দারুণ। দক্ষিণ কোরিয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে হেডে বলটা এত ঠান্ডা মাথায় প্লেস করেছেন, বুঝতেই দেননি কঠিন কাজটা কত সহজে করে ফেললেন!
কালকের হিগুয়েইনকে দেখে সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ হতে পারে রেমন্ড ডমেনেখের। ২০০৬ সালেই হিগুয়েইনকে ফ্রান্স দলে নিতে চেয়েছিলেন ফরাসি কোচ, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে হিগুয়েইন খেলতে রাজি হননি। ভাবছেন ফ্রান্স দলে হিগুয়েইন কেন? তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই তো ফ্রান্সে! বাবা হোর্হে হিগুয়েইনও ছিলেন ফুটবলার, অবশ্য জাতীয় দলে কখনো খেলা হয়নি। ক্লাব ক্যারিয়ার শেষে হোর্হে পাড়ি জমান ফ্রান্সে। সেখানেই হিগুয়েইনের জন্ম। ক্লাব ফুটবল শুরু করেছেন অবশ্য আর্জেন্টিনায়, বাবার সাবেক ক্লাব রিভার প্লেটে। পরে তাঁকে দলে নেয় রিয়াল।
জাতীয় দল নিয়ে শুরুতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। কোনটিতে খেলবেন, ফ্রান্স না আর্জেন্টিনা। ২০০৭ সালের শুরুর দিকে বেছে নেন বাবার দেশ আর্জেন্টিনাকেই। রিয়ালের হয়ে দারুণ খেলার পরও ডিয়েগো ম্যারাডোনার দলে সুযোগ হচ্ছিল না। তবে বাছাইপর্বে গত বছর দলের সংকটময় মুহূর্তে আর উপেক্ষা করতে পারেননি ম্যারাডোনা। অভিষেক ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে গোল করে জানিয়ে দেন, তিনি থাকতেই এসেছেন।
সতীর্থরা হিগুয়েইনকে ডাকে ‘এল পিপিতা’, মানে লম্বা নাকওয়ালার ছেলে। বাবা হোর্হেকে তাঁর সতীর্থরা ডাকতেন ‘এল পিপা’ বা লম্বা নাকওয়ালা। ছেলের নামের রহস্যটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন! তবে সময় বোধহয় হয়ে গেছে, ছেলের নামে বাবাকে কোনো নাম দেওয়ার। হোর্হেকে সবাই তো এখন হিগুইয়েনের বাবা বলেই চেনে!
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ‘লা লিগা’য় এবার ২৭ গোল করেছেন, তবু পড়ে থাকেন রোনালদো-কাকাদের আড়ালে। আর্জেন্টিনায় দলে থাকেন মেসি-তেভেজদের ছায়া হয়ে। আলোটা নিজের দিকে ফেরাতে হিগুয়েইন বেছে নিলেন বড় মঞ্চকেই। গোল-খরার এবারের বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করে ২২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার জানিয়ে দিলেন, তারকা তো তিনিও, একটু-আধটু আলোচনা বোধহয় তাঁকে নিয়েও হওয়া উচিত!
হিগুয়েইনের হ্যাটট্রিকে একটা অপেক্ষা ঘুচল বিশ্বকাপেরও। ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগাল স্ট্রাইকার পলেতার হ্যাটট্রিকের পর ম্যাচে কোনো ফুটবলারের তিন গোল আর দেখেনি বিশ্বকাপ। জার্মানি বিশ্বকাপে হয়নি কোনো হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার আগের হ্যাটট্রিক তো হয়েছে আরও আগেই, ১৯৯৮ বিশ্বকাপে জ্যামাইকার বিপক্ষে সেটা করেছিলেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, ভক্তদের প্রিয় ‘বাতিগোল।’
বাতিস্তুতার মতো তিনিও নিখাদ স্ট্রাইকার, বর্তমান ফুটবল-বিশ্বে বিরল প্রজাতি। পুরো ম্যাচে যাঁদের খুঁজেও পাওয়া যাবে না, কিন্তু সময়মতো দেখা যাবে আসল কাজটি তাঁরাই করেছেন—গোল! কালকের ম্যাচটাই দেখুন না, বল নিয়ে কারিকুরি করলেন মেসি-তেভেজ-ডি মারিয়ারা, কিন্তু গোল পেলেন ওই হিগুয়েইন। প্রথম দুটি গোলে তো তাঁর মাথা আর পা ছোঁয়ানো ছাড়া আর কিছু করারই ছিল না। সতীর্থরাই বল বানিয়ে দিয়েছিলেন দারুণভাবে। কিন্তু ওই যে সময়মতো ঠিক জায়গায় হাজির থাকা, নিখাদ স্ট্রাইকারদের সবচেয়ে বড় গুণ তো ওটাই! হ্যাটট্রিক পূরণ করা গোলটা অবশ্য ছিল দারুণ। দক্ষিণ কোরিয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে হেডে বলটা এত ঠান্ডা মাথায় প্লেস করেছেন, বুঝতেই দেননি কঠিন কাজটা কত সহজে করে ফেললেন!
কালকের হিগুয়েইনকে দেখে সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ হতে পারে রেমন্ড ডমেনেখের। ২০০৬ সালেই হিগুয়েইনকে ফ্রান্স দলে নিতে চেয়েছিলেন ফরাসি কোচ, কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে হিগুয়েইন খেলতে রাজি হননি। ভাবছেন ফ্রান্স দলে হিগুয়েইন কেন? তাঁর জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই তো ফ্রান্সে! বাবা হোর্হে হিগুয়েইনও ছিলেন ফুটবলার, অবশ্য জাতীয় দলে কখনো খেলা হয়নি। ক্লাব ক্যারিয়ার শেষে হোর্হে পাড়ি জমান ফ্রান্সে। সেখানেই হিগুয়েইনের জন্ম। ক্লাব ফুটবল শুরু করেছেন অবশ্য আর্জেন্টিনায়, বাবার সাবেক ক্লাব রিভার প্লেটে। পরে তাঁকে দলে নেয় রিয়াল।
জাতীয় দল নিয়ে শুরুতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন। কোনটিতে খেলবেন, ফ্রান্স না আর্জেন্টিনা। ২০০৭ সালের শুরুর দিকে বেছে নেন বাবার দেশ আর্জেন্টিনাকেই। রিয়ালের হয়ে দারুণ খেলার পরও ডিয়েগো ম্যারাডোনার দলে সুযোগ হচ্ছিল না। তবে বাছাইপর্বে গত বছর দলের সংকটময় মুহূর্তে আর উপেক্ষা করতে পারেননি ম্যারাডোনা। অভিষেক ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে গোল করে জানিয়ে দেন, তিনি থাকতেই এসেছেন।
সতীর্থরা হিগুয়েইনকে ডাকে ‘এল পিপিতা’, মানে লম্বা নাকওয়ালার ছেলে। বাবা হোর্হেকে তাঁর সতীর্থরা ডাকতেন ‘এল পিপা’ বা লম্বা নাকওয়ালা। ছেলের নামের রহস্যটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন! তবে সময় বোধহয় হয়ে গেছে, ছেলের নামে বাবাকে কোনো নাম দেওয়ার। হোর্হেকে সবাই তো এখন হিগুইয়েনের বাবা বলেই চেনে!
No comments