বড়দিনের চেয়েও বড় উৎসব
জাতিগতভাবে সুইসরা নিজেদের আবেগটাকে চেপে রাখতেই অভ্যস্ত। অতি শোকে পাথর হয়ে যাওয়া বা অতি উল্লাসে মেতে ওঠাটা যেন তাদের সঙ্গে ঠিক যায় না। অথচ সেই সুইজারল্যান্ডের পত্রপত্রিকাগুলোই কাল বড় বড় ব্যানার হেডলাইন করল। দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোর একটি বিরাট হরফে শিরোনাম করল—সেনসেশন! আবার কোনো কোনো পত্রিকা বড় বড় করে লিখে দিল—ক্রিসমাসের চেয়েও বড় উৎসব!
হ্যাঁ, সুইজারল্যান্ডের জন্য বড়দিনের চেয়ে ‘স্পেন-বধ’ বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম স্প্যানিশদের হারানোর আনন্দ, সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই জয়ের আনন্দ তো আছেই।
১৯৫৪ বিশ্বকাপে ইতালিকে দু দুবার হারানো (২-১ ও ৪-১) কিংবা ১৯৩৪ বিশ্বকাপে হল্যান্ডকে হারানোর (৩-২) মতো সাফল্যও আছে দেশটির। কিন্তু স্পেনকে হারানোর গল্প তারা কোনো দিন করতে পারেনি। সেই গল্পের পাণ্ডুলিপি লিখতে পেরে সুইজারল্যান্ডের জার্মান কোচ ওটমার হিজফেল্ডের আবেগও আর বাঁধ মানছে না, ‘খেলোয়াড়দের নিয়ে খুবই গর্বিত আমি। আমি বিশ্বাস করি আজ (বুধবার) আমার দল ঐতিহাসিক এক অর্জন করে ফেলেছে। আমার ধারণা, গত ১০৫ বছরের মধ্যে আমরা স্পেনকে কখনো হারাইনি।’
১০৫ বছর না বলে হিজফেল্ড বছরের সংখ্যা যা খুশি বলতে পারেন। কারণ, স্পেনকে সুইজারল্যান্ড কখনোই হারাতে পারেনি। ১৯২৫ সালে দু দলের প্রথম সাক্ষাতের পর থেকে এই বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে স্পেন ও সুইজারল্যান্ড। তার মধ্যে ১৫ বার স্পেন জিতেছে, ৩ বার ড্র হয়েছে।
সুইস টেলিভিশন ‘টিএসআর’-এর ডারবান প্রতিনিধি ফিলিপ ফন বার্গ বলছিলেন, ‘কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়, সুইসরা তাদের ইতিহাসের সুন্দরতম অধ্যায়টি লিখে ফেলেছে।’ আনন্দ যেন ফুরোতেই চাইছে না হিজফেল্ডেরও। ইনজুরির জন্য অধিনায়ক ও দলের গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাইকার অ্যালেক্স ফ্রেই এবং মিডফিল্ডার বেহরামিকে ছাড়াই দল মাঠে নামাতে হয়েছিল হিজফেল্ডকে। ৩৫ মিনিটের মাথায়ই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন ডিফেন্ডার ফিলিপ সেন্ডেরস। তার পরও খর্বশক্তির এই দলকেই মহাশক্তিধর স্পেনের বিপক্ষে জিতিয়ে দিয়েছেন গেলসন ফার্নান্দেজ। এই জয়ে পাওয়া তিন পয়েন্টকে ‘উপহার’ হিসেবে দেখছেন হিজফেল্ড, ‘আমরা এই তিন পয়েন্টের উপহার খুবই খুশিমনে নিলাম। শিরোপার অন্যতম বড় দাবিদারের কাছ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করার চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কী হতে পারে! পয়েন্ট তিনটি আসলে খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল।’
স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড যে কিছু আশা না নিয়েই মাঠে নেমেছিল, সে তাদের খেলাই বলে দিচ্ছিল। আক্রমণে না উঠে নিজেদের দুর্গটা টিকিয়ে রাখাকেই ব্রত করেছিল হিজফেল্ডের দল। এই রক্ষণাত্মক খেলা নিয়ে কোনো অনুশোচনাও নেই হিজফেল্ডের, ‘স্পেনের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে গেলে আমরা বিরাট ব্যবধানে হেরে যেতাম। আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, বলের পেছনে ছুটে শক্তি খরচ না করে বরং নিজেদের ডিফেন্সটা শক্ত রাখতে। এরপর কাউন্টার অ্যাটাক করার জন্য অপেক্ষা করতে।’
শেষ পর্যন্ত হিজফেল্ডের কৌশল কাজে লেগেছে। এখন অপেক্ষা হন্ডুরাস ও চিলির বিপক্ষে হিজফেল্ডের জার্মান-মস্তিষ্ক থেকে কী বের হয়, সেটা দেখার। গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচ নিয়ে এখই ভাবা শুরু করে দিয়েছেন সুইজারল্যান্ড কোচ, ‘স্পেনের মতো দলকে হারানোর পর চিলি বা হন্ডুরাসের কাছে হেরে গেলে সেটা খুব লজ্জার ব্যাপার হবে। এখন আমাদের খুবই শান্ত ও স্থির থাকতে হবে।
হ্যাঁ, সুইজারল্যান্ডের জন্য বড়দিনের চেয়ে ‘স্পেন-বধ’ বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম স্প্যানিশদের হারানোর আনন্দ, সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই জয়ের আনন্দ তো আছেই।
১৯৫৪ বিশ্বকাপে ইতালিকে দু দুবার হারানো (২-১ ও ৪-১) কিংবা ১৯৩৪ বিশ্বকাপে হল্যান্ডকে হারানোর (৩-২) মতো সাফল্যও আছে দেশটির। কিন্তু স্পেনকে হারানোর গল্প তারা কোনো দিন করতে পারেনি। সেই গল্পের পাণ্ডুলিপি লিখতে পেরে সুইজারল্যান্ডের জার্মান কোচ ওটমার হিজফেল্ডের আবেগও আর বাঁধ মানছে না, ‘খেলোয়াড়দের নিয়ে খুবই গর্বিত আমি। আমি বিশ্বাস করি আজ (বুধবার) আমার দল ঐতিহাসিক এক অর্জন করে ফেলেছে। আমার ধারণা, গত ১০৫ বছরের মধ্যে আমরা স্পেনকে কখনো হারাইনি।’
১০৫ বছর না বলে হিজফেল্ড বছরের সংখ্যা যা খুশি বলতে পারেন। কারণ, স্পেনকে সুইজারল্যান্ড কখনোই হারাতে পারেনি। ১৯২৫ সালে দু দলের প্রথম সাক্ষাতের পর থেকে এই বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে স্পেন ও সুইজারল্যান্ড। তার মধ্যে ১৫ বার স্পেন জিতেছে, ৩ বার ড্র হয়েছে।
সুইস টেলিভিশন ‘টিএসআর’-এর ডারবান প্রতিনিধি ফিলিপ ফন বার্গ বলছিলেন, ‘কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়, সুইসরা তাদের ইতিহাসের সুন্দরতম অধ্যায়টি লিখে ফেলেছে।’ আনন্দ যেন ফুরোতেই চাইছে না হিজফেল্ডেরও। ইনজুরির জন্য অধিনায়ক ও দলের গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাইকার অ্যালেক্স ফ্রেই এবং মিডফিল্ডার বেহরামিকে ছাড়াই দল মাঠে নামাতে হয়েছিল হিজফেল্ডকে। ৩৫ মিনিটের মাথায়ই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন ডিফেন্ডার ফিলিপ সেন্ডেরস। তার পরও খর্বশক্তির এই দলকেই মহাশক্তিধর স্পেনের বিপক্ষে জিতিয়ে দিয়েছেন গেলসন ফার্নান্দেজ। এই জয়ে পাওয়া তিন পয়েন্টকে ‘উপহার’ হিসেবে দেখছেন হিজফেল্ড, ‘আমরা এই তিন পয়েন্টের উপহার খুবই খুশিমনে নিলাম। শিরোপার অন্যতম বড় দাবিদারের কাছ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করার চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কী হতে পারে! পয়েন্ট তিনটি আসলে খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল।’
স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড যে কিছু আশা না নিয়েই মাঠে নেমেছিল, সে তাদের খেলাই বলে দিচ্ছিল। আক্রমণে না উঠে নিজেদের দুর্গটা টিকিয়ে রাখাকেই ব্রত করেছিল হিজফেল্ডের দল। এই রক্ষণাত্মক খেলা নিয়ে কোনো অনুশোচনাও নেই হিজফেল্ডের, ‘স্পেনের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলতে গেলে আমরা বিরাট ব্যবধানে হেরে যেতাম। আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, বলের পেছনে ছুটে শক্তি খরচ না করে বরং নিজেদের ডিফেন্সটা শক্ত রাখতে। এরপর কাউন্টার অ্যাটাক করার জন্য অপেক্ষা করতে।’
শেষ পর্যন্ত হিজফেল্ডের কৌশল কাজে লেগেছে। এখন অপেক্ষা হন্ডুরাস ও চিলির বিপক্ষে হিজফেল্ডের জার্মান-মস্তিষ্ক থেকে কী বের হয়, সেটা দেখার। গ্রুপের বাকি দুই ম্যাচ নিয়ে এখই ভাবা শুরু করে দিয়েছেন সুইজারল্যান্ড কোচ, ‘স্পেনের মতো দলকে হারানোর পর চিলি বা হন্ডুরাসের কাছে হেরে গেলে সেটা খুব লজ্জার ব্যাপার হবে। এখন আমাদের খুবই শান্ত ও স্থির থাকতে হবে।
No comments