কিরগিজস্তানের পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ সংকটজনক’ বলছে রেডক্রস
কিরগিজস্তানে জাতিগত সহিংসতার ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ সংকটজনক’ বলে অভিহিত করেছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা রেডক্রস। ১০ জুন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৯১ জন নিহত হয়েছে। অন্তত চার লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উজবেকিস্তান সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা হিসেবে কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানে প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এ দিকে কিরগিজস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী আজিমবেক বেকনাজারোভ গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, সহিংসতা কমে আসছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের জালালাবাদ ও ওশ শহরে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর হাজার হাজার উজবেক ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান সীমান্তে আশ্রয় নেয়। উজবেকিস্তান সরকারের তথ্য মতে, ৭৫ হাজারের বেশি শরণার্থী দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এই সংখ্যা ৭৫ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যে। সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে চার লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ত্রাণ নিয়ে বুধবার একটি বিমান উজবেকিস্তানের আন্দিজান সীমান্তে পৌঁছে। গতকাল থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ত্রাণ ওই অঞ্চলে পৌঁছাতে শুরু করেছে। ইউএনএইচসিআর ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) উজবেকিস্তানে শরণার্থীদের জন্য সাদা ও সবুজ রঙের তাঁবু স্থাপন করেছে। শরণার্থীদের একটি শিবিরে এক হাজারের কম শরণার্থীর মধ্যে কাপড়-চোপড় ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ইউএনএইচসিআরের উদ্যোগে শত শত তাঁবু নিয়ে দুটি বিমান ইতিমধ্যে উজবেকিস্তানে পৌঁছে গেছে। চলতি সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই আরও চারটি বিমান ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসবে।
রেডক্রসের ত্রাণসামগ্রী নিয়ে একটি বিমান কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এবং আরেকটি বিমান উজবেকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে পৌঁছেছে। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে কম্বল, রান্নার সরঞ্জাম, সাবান ও তাঁবু টানানোর মতো মোটা কাপড় রয়েছে।
শরণার্থীরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় তাঁরা তেমন কোনো সহায়তাই পাচ্ছেন না। খানাদাবাদ শহরের একটি স্টেডিয়ামে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী হালিমা ওতাজোনোভা। তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমাদের কাপড়চোপড় ও ওষুধ দরকার। আমরা জীবন নিয়ে কোনোরকমে পালিয়ে এসেছি। কোনো কিছুই সঙ্গে নিয়ে আসতে পারিনি।’
কিরগিজস্তানে রেডক্রসের উপপ্রধান সেভেরাইন চাপপাজ বর্তমান পরিস্থিতিকে ভয়াবহ সংকট বলে অভিহিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানে বাস্তুচ্যুত এবং শরণার্থীদের খাদ্য, পানীয় ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানে তিন কোটি ২০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, কিরগিজস্তানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেখানে ওষুধসহ অন্যান্য ত্রাণসহায়তা পাঠানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্র মানবিক সহায়তা হিসেবে কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানে প্রায় তিন কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এ দিকে কিরগিজস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী আজিমবেক বেকনাজারোভ গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, সহিংসতা কমে আসছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের জালালাবাদ ও ওশ শহরে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর হাজার হাজার উজবেক ঘরবাড়ি ছেড়ে পার্শ্ববর্তী উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান সীমান্তে আশ্রয় নেয়। উজবেকিস্তান সরকারের তথ্য মতে, ৭৫ হাজারের বেশি শরণার্থী দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, এই সংখ্যা ৭৫ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যে। সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে চার লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) ত্রাণ নিয়ে বুধবার একটি বিমান উজবেকিস্তানের আন্দিজান সীমান্তে পৌঁছে। গতকাল থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ত্রাণ ওই অঞ্চলে পৌঁছাতে শুরু করেছে। ইউএনএইচসিআর ও জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) উজবেকিস্তানে শরণার্থীদের জন্য সাদা ও সবুজ রঙের তাঁবু স্থাপন করেছে। শরণার্থীদের একটি শিবিরে এক হাজারের কম শরণার্থীর মধ্যে কাপড়-চোপড় ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ইউএনএইচসিআরের উদ্যোগে শত শত তাঁবু নিয়ে দুটি বিমান ইতিমধ্যে উজবেকিস্তানে পৌঁছে গেছে। চলতি সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই আরও চারটি বিমান ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আসবে।
রেডক্রসের ত্রাণসামগ্রী নিয়ে একটি বিমান কিরগিজস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে এবং আরেকটি বিমান উজবেকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে পৌঁছেছে। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে কম্বল, রান্নার সরঞ্জাম, সাবান ও তাঁবু টানানোর মতো মোটা কাপড় রয়েছে।
শরণার্থীরা বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় তাঁরা তেমন কোনো সহায়তাই পাচ্ছেন না। খানাদাবাদ শহরের একটি স্টেডিয়ামে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৪১ বছর বয়সী হালিমা ওতাজোনোভা। তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমাদের কাপড়চোপড় ও ওষুধ দরকার। আমরা জীবন নিয়ে কোনোরকমে পালিয়ে এসেছি। কোনো কিছুই সঙ্গে নিয়ে আসতে পারিনি।’
কিরগিজস্তানে রেডক্রসের উপপ্রধান সেভেরাইন চাপপাজ বর্তমান পরিস্থিতিকে ভয়াবহ সংকট বলে অভিহিত করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানে বাস্তুচ্যুত এবং শরণার্থীদের খাদ্য, পানীয় ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বুধবার কিরগিজস্তান ও উজবেকিস্তানে তিন কোটি ২০ লাখ ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, কিরগিজস্তানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেখানে ওষুধসহ অন্যান্য ত্রাণসহায়তা পাঠানো হবে।
No comments