ফোরলান ও দুই ভাগ্যবান
গোলশূন্য প্রথম ম্যাচের পর আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘চিন্তার কিছু নেই, গোল আসছে।’ ডিয়েগো ফোরলান পরশু প্রমাণ করলেন, তিনি এখন শুধু প্রতিশ্রুতি দেন না, প্রতিশ্রুতি রক্ষাও করতে পারেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দু গোল করে হলেন ম্যাচ-সেরা, ২০ বছর পর বিশ্বকাপে দলকে এনে দিলেন জয়।
পরশুর আর দুই ম্যাচ-সেরার গল্পটা আবার অন্য রকম। হন্ডুরাসের বিপক্ষে চিলির জিয়ান বোশেজো এবং স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডের গেলসন ফার্নান্দেজ একটি করে গোল করা ছাড়া পুরো ম্যাচে তেমন কিছু করেননি। তবুও তাঁরা সেরা, কারণ ওই গোল দুটিই গড়ে দিয়েছে দু ম্যাচের ভাগ্য।
এই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে থেকেই বাবার কীর্তি ছোঁয়া নিশ্চিত করে ফেলেছেন ফোরলান। বাবা পাবলো ছিলেন রাইটব্যাক, ২০ বছরের ক্যারিয়ারে উরুগুয়ের হয়ে খেলেছেন ১৯৬৬ ও ১৯৭৪ বিশ্বকাপে। ফোরলানেরও এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২০০২ বিশ্বকাপে দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও ঠিক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। একটি গোল করেছিলেন, সেটিও সেনেগালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে। উরুগুয়ের জার্সি গায়ে ফোরলান অবশ্য ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ জুড়েই ছিলেন এমন। ২০০২ সালে অভিষেকের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনেছে উরুগুয়ে, কিন্তু প্রতিদান দিতে পেরেছেন খুব কম সময়ই। জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে পেরেছেন তাই মাত্রই বছর তিনেক হলো।
অথচ ক্লাব ফুটবলে ফোরলান রীতিমতো গোলমেশিন। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘পিচিচি ট্রফি’ জিতেছেন দুবার, দুবার জিতেছেন ইউরোপীয় সোনার বুট। সদ্য শেষ মৌসুমেও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে করেছেন ২৮ গোল। এবার প্রথম ম্যাচে গোল না পাওয়ার পর আবার ঘিরে ধরেছিল পুরোনো সেই শঙ্কা, তবে পরশু দু গোল করে জানিয়ে দিলেন এখন তিনি আকাশি জার্সিতেও উজ্জ্বল। গোল-খরার বিশ্বকাপের প্রথম ৬ দিনের ম্যাচে একাধিক গোল করলেন একমাত্র তিনিই। তার চেয়েও বড় কথা, এই দুই গোলে ২০ বছর পর আবার দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলেছে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
হন্ডুরাসের বিপক্ষে খেলা শুরুর বাঁশি বাজার পর থেকেই সমানে আক্রমণ চালিয়ে গেছে চিলি। গতি আর স্কিলে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে আসা হন্ডুরাসকে। কিন্তু গোলটা হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত করেছেন ফার্নান্দেজ। তবে করেছেন না বলে হয়ে গেছে বলাই ভালো। ৩৪ মিনিটে বক্সের ভেতর ডান দিক থেকে মরিসিও ইসলার ক্রস হন্ডুরাসের ডিফেন্ডার বার্নারডেজের পায়ে ফিরে গোলে ঢুকেছে বোশেজের গায়ে লেগে।
স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড লক্ষ্যে কিকই নিতেই পেরেছে তিনটি। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এর একটিকেই গোলে পরিণত করেছেন ফার্নান্দেজ। সেটি ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে এমনই গুরুত্বপূর্ণ যে ম্যাচ-সেরা নিয়ে ভাবতে হয়নি।
পরশুর আর দুই ম্যাচ-সেরার গল্পটা আবার অন্য রকম। হন্ডুরাসের বিপক্ষে চিলির জিয়ান বোশেজো এবং স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ডের গেলসন ফার্নান্দেজ একটি করে গোল করা ছাড়া পুরো ম্যাচে তেমন কিছু করেননি। তবুও তাঁরা সেরা, কারণ ওই গোল দুটিই গড়ে দিয়েছে দু ম্যাচের ভাগ্য।
এই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে থেকেই বাবার কীর্তি ছোঁয়া নিশ্চিত করে ফেলেছেন ফোরলান। বাবা পাবলো ছিলেন রাইটব্যাক, ২০ বছরের ক্যারিয়ারে উরুগুয়ের হয়ে খেলেছেন ১৯৬৬ ও ১৯৭৪ বিশ্বকাপে। ফোরলানেরও এটি দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২০০২ বিশ্বকাপে দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেললেও ঠিক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। একটি গোল করেছিলেন, সেটিও সেনেগালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে। উরুগুয়ের জার্সি গায়ে ফোরলান অবশ্য ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ জুড়েই ছিলেন এমন। ২০০২ সালে অভিষেকের পর থেকেই তাঁকে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনেছে উরুগুয়ে, কিন্তু প্রতিদান দিতে পেরেছেন খুব কম সময়ই। জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে পেরেছেন তাই মাত্রই বছর তিনেক হলো।
অথচ ক্লাব ফুটবলে ফোরলান রীতিমতো গোলমেশিন। লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ‘পিচিচি ট্রফি’ জিতেছেন দুবার, দুবার জিতেছেন ইউরোপীয় সোনার বুট। সদ্য শেষ মৌসুমেও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে করেছেন ২৮ গোল। এবার প্রথম ম্যাচে গোল না পাওয়ার পর আবার ঘিরে ধরেছিল পুরোনো সেই শঙ্কা, তবে পরশু দু গোল করে জানিয়ে দিলেন এখন তিনি আকাশি জার্সিতেও উজ্জ্বল। গোল-খরার বিশ্বকাপের প্রথম ৬ দিনের ম্যাচে একাধিক গোল করলেন একমাত্র তিনিই। তার চেয়েও বড় কথা, এই দুই গোলে ২০ বছর পর আবার দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলেছে দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
হন্ডুরাসের বিপক্ষে খেলা শুরুর বাঁশি বাজার পর থেকেই সমানে আক্রমণ চালিয়ে গেছে চিলি। গতি আর স্কিলে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে আসা হন্ডুরাসকে। কিন্তু গোলটা হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত করেছেন ফার্নান্দেজ। তবে করেছেন না বলে হয়ে গেছে বলাই ভালো। ৩৪ মিনিটে বক্সের ভেতর ডান দিক থেকে মরিসিও ইসলার ক্রস হন্ডুরাসের ডিফেন্ডার বার্নারডেজের পায়ে ফিরে গোলে ঢুকেছে বোশেজের গায়ে লেগে।
স্পেনের বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড লক্ষ্যে কিকই নিতেই পেরেছে তিনটি। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে এর একটিকেই গোলে পরিণত করেছেন ফার্নান্দেজ। সেটি ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে এমনই গুরুত্বপূর্ণ যে ম্যাচ-সেরা নিয়ে ভাবতে হয়নি।
No comments