অযৌক্তিকভাবে সুতার দাম বাড়ায় নিট খাত বিপাকে
দেশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সংকটের পাশাপাশি অযৌক্তিকভাবে সুতার দাম বাড়ানোয় নিট পোশাক খাতের উৎপাদনব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে চীন ও ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশি নিট পোশাকের দর কমানো যাচ্ছে না, যাচ্ছে না আমেরিকা-ইউরোপের বাজার ধরে রাখা।
নিট খাতের এই চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) রপ্তানিমুখী শিল্প খাতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সিএনজি এবং সার উৎপাদনে রেশনিংয়ের দাবি জানিয়েছে। এ জন্য সমিতি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
গতকাল বুধবার বিকেএমইএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব দাবি জানান। এ সময় তাঁরা রপ্তানিমুখী শিল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহূত ডিজেলের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, ‘সুতার দাম তদারকি সেল’ গঠন এবং সরকারঘোষিত প্রণোদনা গুচ্ছ বাস্তবায়নেরও দাবি জানান।
বিকেএমইএর ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি মো. ফজলুল হক। এ সময় সমিতির প্রথম সহসভাপতি আবদুর রাশেদ, দ্বিতীয় সহসভাপতি এম এ বাসেত, সহসভাপতি জাহিদুল হক ভুঁইয়া, সহসভাপতি (অর্থ) এম এ রহমান, পরিচালক মো. সোহরাওয়ার্দী ও আবু জাফর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ফজলুল হক বলেন, মন্দার কারণে ২০০৯ সালে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের নিটপণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায় (শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ)। আর মোট পণ্য রপ্তানিতে কোনো প্রবৃদ্ধিই হয়নি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিট পোশাকের রপ্তানি প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। অথচ ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের নিট পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ‘চীন ও ভিয়েতনামের সরকার পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়ায় তারা দর কমিয়ে বাজার ধরে রাখছে।’
ফজলুল হক আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে নিট এবং ওভেন পোশাকের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি কমেছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাত শতাংশ। বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, এক ঘণ্টা গ্যাস-সংযোগ বন্ধ থাকলে প্রতিদিন নিট খাতে কাপড় ও সুতার উৎপাদন চার শতাংশ কমে যায়। আর গ্যাস-সংকটের এ খাতে উৎপাদনব্যয় ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সমস্যার পর বর্তমানে নতুন যুক্ত হয়েছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে সুতার দাম বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক বাজারে সুতার দাম বাড়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশীয় সুতার দাম তাত্ক্ষণিকভাবে অতি উচ্চহারে বাড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বিকেএমইএর নেতারা সুতার দাম পর্যবেক্ষণ, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং প্রয়োজনে বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি সেল গঠনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন।
নিট খাতের এই চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) রপ্তানিমুখী শিল্প খাতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সিএনজি এবং সার উৎপাদনে রেশনিংয়ের দাবি জানিয়েছে। এ জন্য সমিতি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
গতকাল বুধবার বিকেএমইএ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এসব দাবি জানান। এ সময় তাঁরা রপ্তানিমুখী শিল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহূত ডিজেলের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার, ‘সুতার দাম তদারকি সেল’ গঠন এবং সরকারঘোষিত প্রণোদনা গুচ্ছ বাস্তবায়নেরও দাবি জানান।
বিকেএমইএর ঢাকা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি মো. ফজলুল হক। এ সময় সমিতির প্রথম সহসভাপতি আবদুর রাশেদ, দ্বিতীয় সহসভাপতি এম এ বাসেত, সহসভাপতি জাহিদুল হক ভুঁইয়া, সহসভাপতি (অর্থ) এম এ রহমান, পরিচালক মো. সোহরাওয়ার্দী ও আবু জাফর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
ফজলুল হক বলেন, মন্দার কারণে ২০০৯ সালে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের নিটপণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায় (শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ)। আর মোট পণ্য রপ্তানিতে কোনো প্রবৃদ্ধিই হয়নি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিট পোশাকের রপ্তানি প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। অথচ ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের নিট পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, ‘চীন ও ভিয়েতনামের সরকার পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রণোদনা প্যাকেজ দেওয়ায় তারা দর কমিয়ে বাজার ধরে রাখছে।’
ফজলুল হক আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে নিট এবং ওভেন পোশাকের রপ্তানির প্রবৃদ্ধি কমেছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাত শতাংশ। বিকেএমইএর সভাপতি বলেন, এক ঘণ্টা গ্যাস-সংযোগ বন্ধ থাকলে প্রতিদিন নিট খাতে কাপড় ও সুতার উৎপাদন চার শতাংশ কমে যায়। আর গ্যাস-সংকটের এ খাতে উৎপাদনব্যয় ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্যাস ও বিদ্যুৎ-সমস্যার পর বর্তমানে নতুন যুক্ত হয়েছে অনিয়ন্ত্রিতভাবে সুতার দাম বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক বাজারে সুতার দাম বাড়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশীয় সুতার দাম তাত্ক্ষণিকভাবে অতি উচ্চহারে বাড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে বিকেএমইএর নেতারা সুতার দাম পর্যবেক্ষণ, বাজার ব্যবস্থাপনা এবং প্রয়োজনে বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি সেল গঠনের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন।
No comments