দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতির শঙ্কা নাকচ করলেন অর্থমন্ত্রী
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছর শেষে দেশে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ছয় শতাংশের মধ্যেই থাকবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, দুষ্ট লোকেরা দুই অঙ্কের মূল্যস্ফীতির কথা বলে বেড়াচ্ছে। ব্যাপারটি মোটেও সত্য নয়।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মুদ্রা, মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর অনুষ্ঠিত সমন্বয় কমিটির এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, ভারপ্রাপ্ত বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেনসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থবছরের শুরুর দিকে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ছয় শতাংশের মধ্যে রাখার যে প্রাক্কলন করা হয়েছিল, বছর শেষেও তাই থাকবে। এর চেয়েও বেশি যাতে না বাড়ে, সে ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানে ১১ শতাংশ, ভারতে ১৩ শতাংশ এবং প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোতেও বাংলাদেশের চেয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুই অঙ্কে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই নেই।
বাজারে মুদ্রাপ্রবাহ কমানো হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি একান্তই বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে আগামী দিনে তা বিবেচনা করে দেখা হবে।
বার্ষিক গড় হিসেবে এ বছর জানুয়ারি মাসে এসে জাতীয় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে মাত্র পাঁচ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর গত বছর জানুয়ারি মাসে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল আট দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারে। কারণ, সরকারিভাবে চলতি অর্থবছর বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ছয় শতাংশে ধরে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব থেকে দেখা যায়, এ বছর জানুয়ারি মাসে এসে মাসওয়ারি হিসেবে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে আট দশমিক ৯৯ শতাংশে যা কার্যত নয় শতাংশ। অথচ গত বছর জানুয়ারি মাসে এই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ছয় শতাংশের সামান্য ওপর।
অর্থা মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। এবং তা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মতোই বাড়ছে।
তবে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার এখনো ভারত বা পাকিস্তানের মতো দুই অঙ্কের ঘরে উপনীত হয়নি।
বাংলাদেশে ভোক্তা মূল্যসূচকের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করা হয়। পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এই সূচক ছিল ২১৪ পয়েন্ট। আর এই মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে তিন শতাংশ।
এর পর আস্তে আস্তে প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এসেছে। আর এর পেছনে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি একটা বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিবিএসের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সাত মাসের মধ্যে এই প্রথম খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ঘরে উপনীত হলো।
অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে সামান্য কমেছে বলে বিবিএসের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়।
ডিসেম্বর মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাত শতাংশ যা জানুয়ারি মাসে নেমে আসে সাড়ে ছয় শতাংশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বাইরে থেকে জোগানজনিত অভিঘাতই মূল্যস্ফীতির হারকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যের অস্থিরতা দেশের ভেতরের মূল্য পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মুদ্রা, মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর অনুষ্ঠিত সমন্বয় কমিটির এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, অর্থসচিব মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, ভারপ্রাপ্ত বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেনসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থবছরের শুরুর দিকে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ছয় শতাংশের মধ্যে রাখার যে প্রাক্কলন করা হয়েছিল, বছর শেষেও তাই থাকবে। এর চেয়েও বেশি যাতে না বাড়ে, সে ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানে ১১ শতাংশ, ভারতে ১৩ শতাংশ এবং প্রতিবেশী অন্য দেশগুলোতেও বাংলাদেশের চেয়ে মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুই অঙ্কে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই নেই।
বাজারে মুদ্রাপ্রবাহ কমানো হবে কি না—প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি একান্তই বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে আগামী দিনে তা বিবেচনা করে দেখা হবে।
বার্ষিক গড় হিসেবে এ বছর জানুয়ারি মাসে এসে জাতীয় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে মাত্র পাঁচ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর গত বছর জানুয়ারি মাসে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল আট দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারে। কারণ, সরকারিভাবে চলতি অর্থবছর বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ছয় শতাংশে ধরে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব থেকে দেখা যায়, এ বছর জানুয়ারি মাসে এসে মাসওয়ারি হিসেবে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে আট দশমিক ৯৯ শতাংশে যা কার্যত নয় শতাংশ। অথচ গত বছর জানুয়ারি মাসে এই মূল্যস্ফীতির হার ছিল ছয় শতাংশের সামান্য ওপর।
অর্থা মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। এবং তা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মতোই বাড়ছে।
তবে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার এখনো ভারত বা পাকিস্তানের মতো দুই অঙ্কের ঘরে উপনীত হয়নি।
বাংলাদেশে ভোক্তা মূল্যসূচকের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করা হয়। পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এই সূচক ছিল ২১৪ পয়েন্ট। আর এই মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে তিন শতাংশ।
এর পর আস্তে আস্তে প্রতি মাসেই মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এসেছে। আর এর পেছনে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি একটা বড় ভূমিকা রেখেছে।
বিবিএসের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সাত মাসের মধ্যে এই প্রথম খাদ্যের মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ঘরে উপনীত হলো।
অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ডিসেম্বর মাসের তুলনায় জানুয়ারি মাসে সামান্য কমেছে বলে বিবিএসের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়।
ডিসেম্বর মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাত শতাংশ যা জানুয়ারি মাসে নেমে আসে সাড়ে ছয় শতাংশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের বাইরে থেকে জোগানজনিত অভিঘাতই মূল্যস্ফীতির হারকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্যের অস্থিরতা দেশের ভেতরের মূল্য পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলছে।
No comments