ব্রিটিশ এমপিদের অর্থ কেলেঙ্কারির খবর যেভাবে বেরিয়েএল
সরকারি কোষাগার থেকে অতিরিক্ত অর্থব্যয় করা নিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছেন ব্রিটেনের পার্লামেন্টের সদস্যরা (এমপি)। গত বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে প্রকাশিত এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, এমপিদের এ অতিরিক্ত ব্যয়ের পরিমাণ ১১ লাখ পাউন্ডের বেশি, যা এখন তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। আর ব্রিটিশ জনপ্রতিনিধিদের এ আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর বের করে আনার কৃতিত্ব সংবাদকর্মীদের। এ কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশের মাধ্যমে ব্রিটিশ সাংবাদিকেরা আবারও প্রমাণ করেছেন সমাজের প্রতি তাঁদের দায়বদ্ধতার বিষয়টি।
পাঁচ বছরের বেশি সময় আগে প্রথমবার এমপিদের সরকারি অর্থব্যয়ের বিষয়ে তথ্য জানতে চান সাংবাদিকেরা। বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে গত বছর ধীরে ধীরে আর্থিক কেলেঙ্কারির চিত্রটি তুলে আনেন তাঁরা। মূলত প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফ ছিল এর অগ্রভাগে।
২০০৫ সালের জানুয়ারি: ব্রিটেনে ‘ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্ট’ কার্যকর হওয়ার পরপরই সাংবাদিকেরা এমপিদের সরকারি তহবিল থেকে ব্যয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন।
২০০৮ সালের ২২ জানুয়ারি: ছয়জন এমপির সরকারি অর্থব্যয়ের তথ্য জানানোর জন্য পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন ব্রিটেনের তথ্য কমিশনার।
১৬ মে: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স এমপিদের অর্থব্যয়ের তথ্য প্রকাশের বিরোধিতা করে। কিন্তু এই দিন তাঁরা হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে হেরে যান।
২৩ মে: ১৪ জন ব্রিটিশ এমপির সরকারি অর্থব্যয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
২০০৯ সালের ২৩ মার্চ: নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান স্যার ক্রিস্টোফার কেলি এমপিদের অর্থব্যয়ের বিষয়ে তদন্ত করার ঘোষণা দেন।
২১ এপ্রিল: এমপিদের অর্থব্যয়ের ব্যাপারে নতুন আইনের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য ইউটিউবে একটি ভিডিওর মাধ্যমে সমর্থন আদায়ের অপচেষ্টা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। তবে এমপিরা দ্বিতীয় বাড়ির জন্য ভাতা বরাদ্দ রাখার পক্ষে ভোট দেন।
৮ মে: সব এমপির দাখিল করা ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করতে শুরু করে ডেইলি টেলিগ্রাফ। সরকারি একটি গোপন সূত্র থেকে এ ব্যয়ের তথ্য পায় পত্রিকাটি।
১১ মে: তত্কালীন হাউস অব কমন্সের স্পিকার মাইকেল মার্টিন এমপিদের জানান, এমপিদের সরকারি অর্থব্যয়-সংক্রান্ত তথ্য কীভাবে পত্রিকার কাছে পাচার হলো, তা তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯ মে: স্পিকার মার্টিন ঘোষণা করেন, সব পক্ষ থেকে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করবেন। গত চার বছরে এমপিদের সরকারি অর্থব্যয়ের একটি নিরপেক্ষ হিসাব জানার জন্য স্যার টমাস লেগকে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। একই দিন গোয়েন্দা দপ্তর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ঘোষণা দেয়, এমপিদের ব্যয়ের তথ্য পাচারের ঘটনার তদন্ত করবে না তারা।
২ জুন: আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তত্কালীন ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার প্রথম মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা জ্যাকি স্মিথ।
১৮ জুন: এমপিদের ব্যয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন পার্লামেন্টে প্রকাশ করা হয়। তবে প্রতিবেদনের অনেকখানি অংশ কালো কালিতে ঢাকা ছিল। অতিরিক্ত অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার অসম্পূর্ণ প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়।
১৯ জুন: স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানায়, কয়েকজন এমপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হতে পারে।
২৫ জুন: কনজারভেটিভ দলের নিজস্ব তদন্তে দেখা যায়, সোয়া এক লাখ পাউন্ড সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে দলীয় এমপিদের।
২১ জুলাই: সরকারি অর্থব্যয়-সম্পর্কিত নতুন আইন তৈরি করতে ‘ইনডিপেনডেন্ট পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি’ (আইপিএসএ) স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে একজন কমিশনারের নেতৃত্বে সংসদীয় তদন্ত কমিটি করা হয়।
১২ অক্টোবর: কী পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে, তার বিস্তারিত হিসাব জানিয়ে স্যার টমাস লেগ এমপিদের চিঠি দেওয়া শুরু করেন।
৩ নভেম্বর: স্যার ইয়ান কেনেডিকে আইপিএসএর চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়।
২৩ নভেম্বর: ব্রিটেনের তদন্ত সংস্থা ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের কাছে এমপিদের প্রতারণার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রথম চারটি মামলা পাঠায় পুলিশ। পরের মাসে আরও দুটি মামলা পাঠানো হয়।
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি: স্যার টমাস লেগ তাঁর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে দেখা যায়, সাবেক ও বর্তমান মোট ৩৯২ জন ব্রিটিশ এমপি ১১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড অপব্যয় করেছেন। তাঁদের ওই পরিমাণ অর্থ ফেরত দিতে হবে।
পাঁচ বছরের বেশি সময় আগে প্রথমবার এমপিদের সরকারি অর্থব্যয়ের বিষয়ে তথ্য জানতে চান সাংবাদিকেরা। বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে গত বছর ধীরে ধীরে আর্থিক কেলেঙ্কারির চিত্রটি তুলে আনেন তাঁরা। মূলত প্রভাবশালী ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফ ছিল এর অগ্রভাগে।
২০০৫ সালের জানুয়ারি: ব্রিটেনে ‘ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্ট’ কার্যকর হওয়ার পরপরই সাংবাদিকেরা এমপিদের সরকারি তহবিল থেকে ব্যয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন।
২০০৮ সালের ২২ জানুয়ারি: ছয়জন এমপির সরকারি অর্থব্যয়ের তথ্য জানানোর জন্য পার্লামেন্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন ব্রিটেনের তথ্য কমিশনার।
১৬ মে: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স এমপিদের অর্থব্যয়ের তথ্য প্রকাশের বিরোধিতা করে। কিন্তু এই দিন তাঁরা হাইকোর্টে আইনি লড়াইয়ে হেরে যান।
২৩ মে: ১৪ জন ব্রিটিশ এমপির সরকারি অর্থব্যয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
২০০৯ সালের ২৩ মার্চ: নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান-বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান স্যার ক্রিস্টোফার কেলি এমপিদের অর্থব্যয়ের বিষয়ে তদন্ত করার ঘোষণা দেন।
২১ এপ্রিল: এমপিদের অর্থব্যয়ের ব্যাপারে নতুন আইনের পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য ইউটিউবে একটি ভিডিওর মাধ্যমে সমর্থন আদায়ের অপচেষ্টা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। তবে এমপিরা দ্বিতীয় বাড়ির জন্য ভাতা বরাদ্দ রাখার পক্ষে ভোট দেন।
৮ মে: সব এমপির দাখিল করা ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করতে শুরু করে ডেইলি টেলিগ্রাফ। সরকারি একটি গোপন সূত্র থেকে এ ব্যয়ের তথ্য পায় পত্রিকাটি।
১১ মে: তত্কালীন হাউস অব কমন্সের স্পিকার মাইকেল মার্টিন এমপিদের জানান, এমপিদের সরকারি অর্থব্যয়-সংক্রান্ত তথ্য কীভাবে পত্রিকার কাছে পাচার হলো, তা তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৯ মে: স্পিকার মার্টিন ঘোষণা করেন, সব পক্ষ থেকে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করবেন। গত চার বছরে এমপিদের সরকারি অর্থব্যয়ের একটি নিরপেক্ষ হিসাব জানার জন্য স্যার টমাস লেগকে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন। একই দিন গোয়েন্দা দপ্তর স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড ঘোষণা দেয়, এমপিদের ব্যয়ের তথ্য পাচারের ঘটনার তদন্ত করবে না তারা।
২ জুন: আর্থিক কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তত্কালীন ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার প্রথম মন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা জ্যাকি স্মিথ।
১৮ জুন: এমপিদের ব্যয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন পার্লামেন্টে প্রকাশ করা হয়। তবে প্রতিবেদনের অনেকখানি অংশ কালো কালিতে ঢাকা ছিল। অতিরিক্ত অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার অসম্পূর্ণ প্রতিবেদনও প্রকাশ করা হয়।
১৯ জুন: স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জানায়, কয়েকজন এমপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হতে পারে।
২৫ জুন: কনজারভেটিভ দলের নিজস্ব তদন্তে দেখা যায়, সোয়া এক লাখ পাউন্ড সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে দলীয় এমপিদের।
২১ জুলাই: সরকারি অর্থব্যয়-সম্পর্কিত নতুন আইন তৈরি করতে ‘ইনডিপেনডেন্ট পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি’ (আইপিএসএ) স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে একজন কমিশনারের নেতৃত্বে সংসদীয় তদন্ত কমিটি করা হয়।
১২ অক্টোবর: কী পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে, তার বিস্তারিত হিসাব জানিয়ে স্যার টমাস লেগ এমপিদের চিঠি দেওয়া শুরু করেন।
৩ নভেম্বর: স্যার ইয়ান কেনেডিকে আইপিএসএর চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়।
২৩ নভেম্বর: ব্রিটেনের তদন্ত সংস্থা ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের কাছে এমপিদের প্রতারণার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রথম চারটি মামলা পাঠায় পুলিশ। পরের মাসে আরও দুটি মামলা পাঠানো হয়।
২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি: স্যার টমাস লেগ তাঁর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে দেখা যায়, সাবেক ও বর্তমান মোট ৩৯২ জন ব্রিটিশ এমপি ১১ লাখ ২০ হাজার পাউন্ড অপব্যয় করেছেন। তাঁদের ওই পরিমাণ অর্থ ফেরত দিতে হবে।
No comments