মিজানুরদের পথ দেখালেন শারমিন
বাংলাদেশের একের পর এক ব্যর্থতায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সন্ধ্যাটা তখন মৌনতায় ঢাকা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের একটু দূরেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেসিয়ামে পাওয়া গেল আলো ঝলমলে কোলাহলময় এক সন্ধ্যা।
এই কোলাহল, এই আনন্দ-উল্লাস, সবই একজনকে ঘিরে। তিনি শারমিন ফারজানা ওরফে রুমি। তায়কোয়ান্দোতে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন অপ্রত্যাশিত এক সোনা। এই অপ্রত্যাশিত সোনার ঝলকে সোনার আলোয় নেচে উঠেছে পুরো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আক্ষরিক অর্থেই নাচছিলেন তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের কর্মকর্তা আর শারমিনের সতীর্থরা।
ফাইনালে তিনি ১২-১ পয়েন্টে হারিয়েছেন আফগানিস্তানের মেয়ে লায়লা হুসেইংকে। এর আগে গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপের বিপক্ষে ওয়াকওভার পেয়েছেন শারমিন। সেমিফাইনালে নেপালের জানকুমারীকে হারিয়েছেন। এতগুলো বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশকে সোনা এনে দিয়েছেন যে শারমিন, তাঁর কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় খেলাই ছিল অনিশ্চিত। ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়েছে কদিন আগে। এই ইনজুরি নিয়ে খেলে জিতেছেন বলেই মনে হয় সবার আনন্দটা এত বেশি। সেটা এত বেশি মাত্রায় হলো যে, হঠাত্ করে আসা কারও মনে হতে পারত—বুঝি এই মাত্র ৪৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হলেন!
শারমিনের স্বপ্নটা অবশ্য অত দূর পর্যন্তই বিস্তৃত, ‘আমার লক্ষ্য এবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। এশিয়ান গেমসে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’ এই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে কী করতে হবে? ফেডারেশনে যে সুযোগ-সুবিধা আছে তা কি যথেষ্ট? শারমিনের উত্তর, ‘হ্যাঁ, আমরা এখন যা পাচ্ছি সেটা ঠিক আছে। আমি শুধু সবার কাছে দোয়া চাই।’
তায়কোয়ান্দোতে এশিয়া জয় করার স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশের এই মেয়েটি একসময় খেলতেন হ্যান্ডবল। হ্যান্ডবলের কারণেই চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশ আনসারে। অথচ এখন তিনি তায়কোয়ান্দোর স্বপ্ন। তাঁরও স্বপ্ন তায়কোয়ান্দো। হ্যান্ডবল ছেড়ে তায়কোয়ান্দোতে এসেছিলেন মাহমুদুল হাসানের কথায়। তিনি বলেছিলেন, দেখো তুমি এটাতেই ভালো করবে। মাহমুদুল হাসানের কথাই সত্যি হয়েছে। এখন কি মনে হয় হ্যান্ডবল ছেড়ে এই খেলায় এসে ভালো হয়েছে? প্রশ্নটার উত্তর মুখে দিলেন না শারমিন। গলায় ঝোলানো সোনার পদকটা দেখিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলেন—এটা কী বলে?
আসলেই ওই সোনার পদকটা অনেক কথাই বলছে। বলছে, তায়কোয়ান্দোকে ঘিরে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তা একেবারে মিথ্যে নয়। তায়কোয়ান্দোকে ঘিরে এখনো স্বপ্ন আছে বাংলাদেশের। আজ মহিলা তায়কোয়ান্দোতে আরেকটি সোনা জয়ের আশা স্বাগতিকদের। আশা আছে আগামীকাল মিজানুর ও রাসিউলকে নিয়েও।
তবে আফগানিস্তানের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পারবে তো স্বাগতিক যোদ্ধারা? কাল ছেলেদের ৬৩ কেজি ও ৬৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে আফগানিস্তানকে দুটি সোনা জিতিয়েছেন মোহাম্মদ হায়দারি ও হাসান রেজাই। কালও সোনার স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নামবে তারা। সোনার লড়াইয়ে নামবে নেপাল, ভারত, পাকিস্তানও।
এই কোলাহল, এই আনন্দ-উল্লাস, সবই একজনকে ঘিরে। তিনি শারমিন ফারজানা ওরফে রুমি। তায়কোয়ান্দোতে বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন অপ্রত্যাশিত এক সোনা। এই অপ্রত্যাশিত সোনার ঝলকে সোনার আলোয় নেচে উঠেছে পুরো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আক্ষরিক অর্থেই নাচছিলেন তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের কর্মকর্তা আর শারমিনের সতীর্থরা।
ফাইনালে তিনি ১২-১ পয়েন্টে হারিয়েছেন আফগানিস্তানের মেয়ে লায়লা হুসেইংকে। এর আগে গ্রুপ পর্বে মালদ্বীপের বিপক্ষে ওয়াকওভার পেয়েছেন শারমিন। সেমিফাইনালে নেপালের জানকুমারীকে হারিয়েছেন। এতগুলো বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশকে সোনা এনে দিয়েছেন যে শারমিন, তাঁর কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় খেলাই ছিল অনিশ্চিত। ডান হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়েছে কদিন আগে। এই ইনজুরি নিয়ে খেলে জিতেছেন বলেই মনে হয় সবার আনন্দটা এত বেশি। সেটা এত বেশি মাত্রায় হলো যে, হঠাত্ করে আসা কারও মনে হতে পারত—বুঝি এই মাত্র ৪৬ কেজি ওজন শ্রেণীতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন হলেন!
শারমিনের স্বপ্নটা অবশ্য অত দূর পর্যন্তই বিস্তৃত, ‘আমার লক্ষ্য এবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ। এশিয়ান গেমসে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’ এই স্বপ্ন পূরণ করতে হলে কী করতে হবে? ফেডারেশনে যে সুযোগ-সুবিধা আছে তা কি যথেষ্ট? শারমিনের উত্তর, ‘হ্যাঁ, আমরা এখন যা পাচ্ছি সেটা ঠিক আছে। আমি শুধু সবার কাছে দোয়া চাই।’
তায়কোয়ান্দোতে এশিয়া জয় করার স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশের এই মেয়েটি একসময় খেলতেন হ্যান্ডবল। হ্যান্ডবলের কারণেই চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশ আনসারে। অথচ এখন তিনি তায়কোয়ান্দোর স্বপ্ন। তাঁরও স্বপ্ন তায়কোয়ান্দো। হ্যান্ডবল ছেড়ে তায়কোয়ান্দোতে এসেছিলেন মাহমুদুল হাসানের কথায়। তিনি বলেছিলেন, দেখো তুমি এটাতেই ভালো করবে। মাহমুদুল হাসানের কথাই সত্যি হয়েছে। এখন কি মনে হয় হ্যান্ডবল ছেড়ে এই খেলায় এসে ভালো হয়েছে? প্রশ্নটার উত্তর মুখে দিলেন না শারমিন। গলায় ঝোলানো সোনার পদকটা দেখিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলেন—এটা কী বলে?
আসলেই ওই সোনার পদকটা অনেক কথাই বলছে। বলছে, তায়কোয়ান্দোকে ঘিরে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তা একেবারে মিথ্যে নয়। তায়কোয়ান্দোকে ঘিরে এখনো স্বপ্ন আছে বাংলাদেশের। আজ মহিলা তায়কোয়ান্দোতে আরেকটি সোনা জয়ের আশা স্বাগতিকদের। আশা আছে আগামীকাল মিজানুর ও রাসিউলকে নিয়েও।
তবে আফগানিস্তানের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পারবে তো স্বাগতিক যোদ্ধারা? কাল ছেলেদের ৬৩ কেজি ও ৬৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে আফগানিস্তানকে দুটি সোনা জিতিয়েছেন মোহাম্মদ হায়দারি ও হাসান রেজাই। কালও সোনার স্বপ্ন নিয়েই মাঠে নামবে তারা। সোনার লড়াইয়ে নামবে নেপাল, ভারত, পাকিস্তানও।
No comments