চীনা ১০০০ টন কেমিক্যাল নিয়ে ইরানের বন্দরে জাহাজ
তারা বলেছেন- ইরানের খাইবার শেকান ক্ষেপণাস্ত্রের সলিড প্রায় ২৬০টি রকেট মোটর অথবা ২০০ হাজ কাসেম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য পর্যাপ্ত প্রোপেল্যান্ট উৎপাদন করতে পারে এই সোডিয়াম পারক্লোরাইড। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিরিয়ায় ইরানের মিত্র বাশার আল আসাদের পতন হয়েছে। লেবাননে পরাজিত হয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের এই পরাজয়কে ইরানের সমন্বিত পরাজয় হিসেবে দেখা হয়। আঞ্চলিক দিক থেকে ধারাবাহিক এমন পরাজয়ের মধ্যে ইরানের কাছে গেল রাসায়নিকের ওই চালান। গত অক্টোবরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির স্থাপনাগুলোতে ইসরাইল হামলা চালায়। তখন পশ্চিমা অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেছিলেন সলিড প্রোপেল্যান্ট উৎপাদন শুরু করতে ইরানের কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। কিন্তু চীন থেকে এই চালান সেখানে পৌঁছার পর ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থেকে বেশি দূরে নেই। সূত্রগুলো বলেছেন, ইরানের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো প্রোকিউরমেন্ট ডিপার্টমেন্ট অব দ্য সেলফ সাফিসিয়েন্সি জিহাদ অর্গানাইজেশন (এসএসজেও)। সর্বশেষ এসব রাসায়নিকের চালান কেনা হয়েছে তাদের পক্ষে। দ্বিতীয় জাহাজ জাইরান আরও কেমিক্যাল নিয়ে চীন ত্যাগ করার কথা। তবে তাতে লোক কার্যক্রম চলছিল। এই দু’টি জাহাজ পরিচালনা করে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের শিপিং লাইন (আইআরআইএসএল) কোম্পানি। সূত্র বলেছেন, জাইরান জাহাজে বাকি এক হাজার টন রাসায়নিক লোড করার কথা। জানুয়ারিতে প্রথমে এই জাহাজ নিয়ে রিপোর্ট হয়।
তার আগে শিপমেন্টের বিষয়ে চীনা সরকার জানতো কিনা সূত্র তা বলতে পারেননি। উল্লেখ্য, সোডিয়াম পারক্লোরেট বেআইনি নয়। তা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও লঙ্ঘন করে না। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এ বিষয়ে অবহিত নয়। তবে তারা একতরফা অবৈধ নিষেধাজ্ঞার বিরোধী।
No comments