বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে মিছিল-সমাবেশে উত্তাল কোলকাতা
ভারতের
উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কোলকাতায় মহামিছিল ও সমাবেশ হয়েছে।
মুসলিম ও তপশিলি-দলিত-আদিবাসীদের সংগঠন যৌথভাবে ‘সংবিধান বাঁচাও সমিতি’র
ব্যানারে সংবিধান প্রণেতা ড. বি. আর. আম্বেদকরের মৃত্যুদিবস ও বাবরী মসজিদ
ধ্বংসের প্রতিবাদে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।
কোলকাতার ওই মহামিছিল ও সমাবেশ থেকে হাজার হাজার প্রতিবাদী জনতা ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’ বলে স্লোগানে দেন।
সমাবেশে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ধর্ম পালনের অধিকার, মসজিদে নামাজ পড়ার অধিকার আমার দেশে দেয়া হয়েছে, সেই অধিকারকে নরেন্দ্র মোদি সরকার কোনোভাবেই খর্ব করতে পারে না। কিন্তু বিজেপি বাবরী মসজিদ ভেঙে শহীদ করার মধ্যদিয়ে সেই অধিকারকে খর্ব করেছে। আজ বাবরী মসজিদের জায়গায় তারা রাম মন্দির তৈরি করতে চায়। কিন্তু বাবরী মসজিদের জায়গায় বাবরী মসজিদ নির্মাণ হওয়াটাই স্বাভাবিক ও সঙ্গত দাবি। এই দাবি আমরা বিগত ২৬ বছর ধরে জানিয়ে এসেছি।’
‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ তাঁর ভাষণে দেশের বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোসহ বিজেপি সরকারকে 'দু’হাজার উনিশ সালে ফিনিশ' করতে উপস্থিত জনতার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করছে এজন্য আগামী নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের পতন সুনিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই বলেও মন্তব্য করেন।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি মুহাম্মদ নুরুদ্দিন, রেলওয়ে কর্মী সমীর দাসসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে ‘করসেবক’ নামধারী উগ্রহিন্দুত্ববাদী ধর্মান্ধরা কয়েকশ’ বছরের পুরোনো বাবরী মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।
কোলকাতার ওই মহামিছিল ও সমাবেশ থেকে হাজার হাজার প্রতিবাদী জনতা ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’ বলে স্লোগানে দেন।
সমাবেশে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ধর্ম পালনের অধিকার, মসজিদে নামাজ পড়ার অধিকার আমার দেশে দেয়া হয়েছে, সেই অধিকারকে নরেন্দ্র মোদি সরকার কোনোভাবেই খর্ব করতে পারে না। কিন্তু বিজেপি বাবরী মসজিদ ভেঙে শহীদ করার মধ্যদিয়ে সেই অধিকারকে খর্ব করেছে। আজ বাবরী মসজিদের জায়গায় তারা রাম মন্দির তৈরি করতে চায়। কিন্তু বাবরী মসজিদের জায়গায় বাবরী মসজিদ নির্মাণ হওয়াটাই স্বাভাবিক ও সঙ্গত দাবি। এই দাবি আমরা বিগত ২৬ বছর ধরে জানিয়ে এসেছি।’
‘উদার আকাশ’ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ তাঁর ভাষণে দেশের বিভেদকামী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোসহ বিজেপি সরকারকে 'দু’হাজার উনিশ সালে ফিনিশ' করতে উপস্থিত জনতার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেন।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করছে এজন্য আগামী নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের পতন সুনিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই বলেও মন্তব্য করেন।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি মুহাম্মদ নুরুদ্দিন, রেলওয়ে কর্মী সমীর দাসসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে ‘করসেবক’ নামধারী উগ্রহিন্দুত্ববাদী ধর্মান্ধরা কয়েকশ’ বছরের পুরোনো বাবরী মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল।
সমাবেশে বক্তৃতা করছেন মুহাম্মদ কামরুজ্জামান |
No comments