ভিক্ষার টাকায় চলছে মুক্তিযোদ্ধা হাসেমের সংসার by মাহামুদুন নবী
দেশ
স্বাধীনের ৪৭ বছর পার হলেও মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকায় আমার নাম উঠেনি।
সংসার চালাতে হয় স্ত্রীর ভিক্ষা করা টাকায়। মরার আগে হলেও অন্তত
মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকায় নিজের নামটা উঠেছে সেটি যেন দেখে মরতে পারি।
আবেগে আপ্লুত হয়ে এমনটিই বললেন মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা গ্রামের ৯২ বছরের
প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম।
দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম শেখ উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৮ নম্বর সেক্টর বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন হাসেম শেখ। মুক্তিযুদ্ধকালীন আঞ্চলিক বাহিনীর অধিনায়ক মো. গোলাম ইয়াকুব (বীর প্রতীক) এর নেতৃত্বে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তিনি।
আবুল হাসেম শেখ মহম্মদপুরের আহম্মদ-মহম্মদ বাহিনীতে কাজ করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের নৌকায় করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আনা-নেয়া তাদের গোলাবারুদ বহনসহ মুক্তিযোদ্ধাদের পাহারা দিয়ে রেখেছেন। যার মুক্তি বার্তা নম্বর (০৩)। স্বধীনতার পরবর্তীতে ২০০৪ সালের আগস্ট মাসের ৯ তারিখে তিনি আবেদন করেন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃৃতি পাওয়ার জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মো. আবুল হাসেম শেখের নাম আজো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান পায়নি।
সরজমিন মো. আবুল হাসেম শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন আঞ্চলিক বাহিনীর অধিনায়ক মো. গোলাম ইয়াকুব (বীর প্রতীক), মাগুরা জেলা ইউনিটের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্যা নবুয়ত আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আলী রেজা খোকন ও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গফুর মোল্যাসহ তার সহযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনি আবুল হাসেম শেখ। তিনি পরম মমতায় এগুলো বুকে আকড়ে রেখেছেন। তাই তিনি সরকারের কাছে দাবি করেন যেন মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম দেখে যেতে পারেন।
আবুল হাসেম শেখ বলেন, জায়গা জমি নাই। মাত্র দুই শতক জমির উপর একটি দো’চালা টিনের ঘর। চলাফেরা করতে পারি না। জীবন বাঁচানোর তাগিদে তার স্ত্রী মহিরন নেছা অন্যের দুয়ারে হাত পেতে ভিক্ষে করে যা কিছু আনে তা দিয়ে চলে সংসার। মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে আমাদের ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল গফুর মোল্যা সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু আজো পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা বানায়নি এবং টাকাও ফেরত দেয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরো জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাবেক চেয়ারম্যান আমার চেক বই নিয়ে আমার নামে আসা অনুদানের ৩৬ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে তুলে আমাকে মাত্র ৮ হাজার টাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গফুর মোল্যার সঙ্গে তার মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও কোনো কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মহম্মদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (সাবেক) মো. আলী রেজা খোকন বলেন, আবুল হাসেম একজন মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু কেন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম উঠেনি সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানে না বলে জানান।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধার করুণ অবস্থার কথা জানতে পেরে সেই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম শেখের বাড়িতে যান। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দেখে তিনি অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তার মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের কথাসহ বর্তমান সময়ের অস্বচ্ছল সংসারের কথা বলেন নির্বাহী অফিসারকে। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই যেহেতু স্থগিত তাই এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই বলে জানান ইউএনও। তবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বানানোর যে বরাদ্দ দিচ্ছে তার থেকে একটা ঘর এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেবেন বলেন কথা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান।
দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হাসেম শেখ উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার শেখের ছেলে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৮ নম্বর সেক্টর বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন হাসেম শেখ। মুক্তিযুদ্ধকালীন আঞ্চলিক বাহিনীর অধিনায়ক মো. গোলাম ইয়াকুব (বীর প্রতীক) এর নেতৃত্বে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তিনি।
আবুল হাসেম শেখ মহম্মদপুরের আহম্মদ-মহম্মদ বাহিনীতে কাজ করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের নৌকায় করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আনা-নেয়া তাদের গোলাবারুদ বহনসহ মুক্তিযোদ্ধাদের পাহারা দিয়ে রেখেছেন। যার মুক্তি বার্তা নম্বর (০৩)। স্বধীনতার পরবর্তীতে ২০০৪ সালের আগস্ট মাসের ৯ তারিখে তিনি আবেদন করেন একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃৃতি পাওয়ার জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মো. আবুল হাসেম শেখের নাম আজো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান পায়নি।
সরজমিন মো. আবুল হাসেম শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন আঞ্চলিক বাহিনীর অধিনায়ক মো. গোলাম ইয়াকুব (বীর প্রতীক), মাগুরা জেলা ইউনিটের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্যা নবুয়ত আলী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আলী রেজা খোকন ও ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গফুর মোল্যাসহ তার সহযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র থাকা সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনি আবুল হাসেম শেখ। তিনি পরম মমতায় এগুলো বুকে আকড়ে রেখেছেন। তাই তিনি সরকারের কাছে দাবি করেন যেন মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম দেখে যেতে পারেন।
আবুল হাসেম শেখ বলেন, জায়গা জমি নাই। মাত্র দুই শতক জমির উপর একটি দো’চালা টিনের ঘর। চলাফেরা করতে পারি না। জীবন বাঁচানোর তাগিদে তার স্ত্রী মহিরন নেছা অন্যের দুয়ারে হাত পেতে ভিক্ষে করে যা কিছু আনে তা দিয়ে চলে সংসার। মুক্তিযোদ্ধা বানানোর কথা বলে আমাদের ইউনিয়ন কমান্ডার আব্দুল গফুর মোল্যা সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু আজো পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা বানায়নি এবং টাকাও ফেরত দেয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরো জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাবেক চেয়ারম্যান আমার চেক বই নিয়ে আমার নামে আসা অনুদানের ৩৬ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে তুলে আমাকে মাত্র ৮ হাজার টাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গফুর মোল্যার সঙ্গে তার মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও কোনো কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মহম্মদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (সাবেক) মো. আলী রেজা খোকন বলেন, আবুল হাসেম একজন মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু কেন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম উঠেনি সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানে না বলে জানান।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধার করুণ অবস্থার কথা জানতে পেরে সেই অসহায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম শেখের বাড়িতে যান। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দেখে তিনি অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তার মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের কথাসহ বর্তমান সময়ের অস্বচ্ছল সংসারের কথা বলেন নির্বাহী অফিসারকে। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই যেহেতু স্থগিত তাই এ ক্ষেত্রে কিছু করার নেই বলে জানান ইউএনও। তবে, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বানানোর যে বরাদ্দ দিচ্ছে তার থেকে একটা ঘর এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দেবেন বলেন কথা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান।
No comments