রোহিঙ্গা স্রোতে ডিপথেরিয়া ফিরেছে দেশে: ৪৪ জনের মৃত্যু ৭০ বাংলাদেশি আক্রান্ত by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
রোহিঙ্গা
স্রোতে আবারো দেশে ডিপথেরিয়া ফিরেছে। ডিপথেরিয়ার লক্ষণ আছে এমন ৭ হাজার
৮৮৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাণঘাতী এ ব্যাধিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে
৪৪ জন। তাদের সবাই মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সর্বশেষ ৩০শে জুন (চলতি বছরের ২৬তম সপ্তাহ পর্যন্ত)
হিসাবে এই তথ্য উঠে এসেছে। ডিপথেরিয়া আক্রান্তের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে
সংস্থাটি বলেছে, সর্বশেষ সপ্তাহে (২৬তম) মোট ৬৫ জনের ডিপথেরিয়ার লক্ষণ আছে
বলে উল্লেখ করা হয়। যা গত সপ্তাহগুলোর তুলায় সবচেয়ে বেশি। এই সংখ্যা
যথাক্রমে ২৫তম সপ্তাহে ছিল ৪৯ জন, ২৪তম সপ্তাহে ২৬ জন এবং ২৩তম সপ্তাহে
আক্রান্ত ৩৮ জন। জুন শেষ সপ্তাহে মারা গেছেন একজন। সংশ্লিষ্টরা জানান,
বাংলাদেশে সর্বশেষ ডিপথেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। সমপ্রসারিত
টিকাদান কর্মসূচির ফলে গত ৩৫ বছরে রোগটি ছিল এক প্রকার অজানা। তবে নতুন করে
ফিরে এসেছে গত বছর। কক্সবাজারের এমএসএফ ক্লিনিকে গত বছরের ১০ই নভেম্বর
প্রথম ডিপথেরিয়া রোগী শনাক্ত হয়। এরপর বিস্তার বেড়েছে। রোগটি ছড়িয়েছে
রোহিঙ্গা শিবিরের বাইরেও। ডিপথেরিয়া অত্যন্ত ছোঁয়াচে প্রকৃতির রোগ। সেই
সঙ্গে সংক্রামকও। আক্রান্ত ব্যক্তির সান্নিধ্য এমনকি রোগীর জামাকাপড় বা
ব্যবহৃত অন্যান্য বস্তুর সংস্পর্শে এলেও ডিপথেরিয়া ছড়াতে পারে। ব্যাধিটি
প্রাণঘাতী রূপ ধারণ করতে পারে শিশুদের ক্ষেত্রে।
বাংলাদেশে ডিপথেরিয়া ফিরে এসেছে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে। হাম, যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়ার মতো মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধির টিকা তারা পায়নি। এসব রোগের জীবাণু সঙ্গে করেই বাংলাদেশে এসেছে তারা। রোহিঙ্গারাই যে শুধু ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত তা নয়, তাদের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ডিপথেরিয়ার লক্ষণসহ ৭০ জন স্থানীয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। জুনের শেষ সপ্তাহেও আক্রান্ত হয়েছে তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা। তবে স্থানীয়দের মধ্যে রোগটিতে মৃত্যুর ঘটনা এখন পর্যন্ত নেই। স্বল্প জায়গায় গাদাগাদি করে থাকার কারণেই রোহিঙ্গাদের মধ্যে রোগটি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বর্ষা মৌসুমে তাদের মধ্যে রোগ-ব্যাধি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মো. আবদুস সালাম বলেন, শুরুতে ডিপথেরিয়া মহামারী আকার ধারণ করেছিল। দ্রুত এবং সঠিক কার্যক্রম হাতে নেয়ার ফলে রোহিঙ্গা শিবিরে ডিপথেরিয়ার প্রকোপ কমেছে। রোহিঙ্গারা আগে কোনো ধরনের টিকা না নেয়ায় তাদের মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন রোহিঙ্গারা নিয়মিত টিকার আওতায় আসায় ডিপথেরিয়া মহামারী আকার ধারণ করবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডিপথেরিয়া আক্রান্ত এমন ১০০ জন লোককে সঠিক চিকিৎসা দেয়া হলেও ৮ থেকে ১০ জন মারা যেতে পারে। স্থানীয়দের মধ্যেও ডিপথেরিয়া রোগী শনাক্ত হলেও তারা টিকার আওতায় থাকায় কেউ মারা যায়নি। কারণ তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। টিকা দেয়ার পর স্থানীয়রা কেন আক্রান্ত হচ্ছেন জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, ১০ থেকে ১৫ বছর পার হওয়ায় এই রোগ হতে পারে। আর এসব স্থানীয়রা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশাপাশে থাকেন। তারাও মাঝে মাঝে ক্যাম্পে প্রবেশ করেন। এই পর্যন্ত স্থানীয় ৭০ জন ডিপথেরিয়া আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ মানবজমিনকে বলেন, গত বছরের দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডিপথেরিয়া দেখা দিয়েছিল। এখন কমে গেছে। এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দীর্ঘদিন দেশে ডিপথেরিয়া না থাকায় এ রোগের ভ্যাকসিন ছিল না, ল্যাবরেটরিও ছিল না। সে কারণে প্রথমদিকে অধিকসংখ্যক রোহিঙ্গা এতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন রোহিঙ্গাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। সে কারণে রোহিঙ্গা কিংবা স্থানীয়দের মধ্যে আর এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে সন্দেহভাজন যত ডিপথেরিয়া রোগী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সংখ্যাটা ততটা হবে না। স্থানীয় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আবার টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, মিয়ানমারে টিকাদান কর্মসূচি ভালো থাকলেও রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি দেশটি। রাখাইন রাজ্য ছাড়া অন্যান্য জায়গায় টিকাদান কর্মসূচি ছিল।
দেশের বিশিষ্ট রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, গত বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডিপথেরিয়া দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশ থেকে ১৯৮৩ সালের দিকে এটা নির্মূল করা হয়। ভ্যাকসিন দেয়া আছে। ফলে এখানে ছড়ানোর কেন সম্ভাবনা নেই। তবে যাদের এখনও টিকা নেয়া হয়নি এবং ক্যাম্পের আশে পাশে আছেন তাদের হতে পারে। ব্যাপক আকারে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। এই টিকা তিন ডোজে দেয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডিপথেরিয়ার বাইরে অন্যান্য রোগেও মারাত্মকভাবে ভুগছে রোহিঙ্গারা। ডব্লিউএইচও’র হিসাবে, ৩০শে জুন পর্যন্ত অজ্ঞাত জ্বরে ভোগা রোহিঙ্গার সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ৬২০ জন, ডায়রিয়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার ২৩১ জন। তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছে ২ লাখ ৫২ হাজার ২৪৯, ২ হাজার ৫২৬ জন জন্ডিসসহ নানা রোগে ভুগছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছলের শুরুর দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ব্যাপক হারে ডিপথেরিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ায় কক্সবাজারে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ১২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে চার লাখ ৭৫ হাজারের বেশি শিশুকে টিকা দেয়া হয়। এ জন্য ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য খাতের সহযোগীরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে। ছয় সপ্তাহব্যাপী এক কর্মসূচিতে ছয় সপ্তাহ থেকে সাত বছর বয়সী প্রায় দেড় লাখ শিশুকে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেয়া হয়। এ টিকা তাদের ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হেমোফিলিস ইনফ্লুয়েঞ্জা ও হেপাটাইটিস-বি থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া গত ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হওয়া তিন সপ্তাহব্যাপী এক কর্মসূচিতে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী এক লাখ ৬৬ হাজার শিশুকে টিডি (টিটেনাস অ্যান্ড ডিপথেরিয়া) টিকা দেয়া হয়।
বাংলাদেশে ডিপথেরিয়া ফিরে এসেছে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে। হাম, যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়ার মতো মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধির টিকা তারা পায়নি। এসব রোগের জীবাণু সঙ্গে করেই বাংলাদেশে এসেছে তারা। রোহিঙ্গারাই যে শুধু ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত তা নয়, তাদের মাধ্যমে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ডিপথেরিয়ার লক্ষণসহ ৭০ জন স্থানীয়কে চিহ্নিত করা হয়েছে। জুনের শেষ সপ্তাহেও আক্রান্ত হয়েছে তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা। তবে স্থানীয়দের মধ্যে রোগটিতে মৃত্যুর ঘটনা এখন পর্যন্ত নেই। স্বল্প জায়গায় গাদাগাদি করে থাকার কারণেই রোহিঙ্গাদের মধ্যে রোগটি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। বর্ষা মৌসুমে তাদের মধ্যে রোগ-ব্যাধি আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মো. আবদুস সালাম বলেন, শুরুতে ডিপথেরিয়া মহামারী আকার ধারণ করেছিল। দ্রুত এবং সঠিক কার্যক্রম হাতে নেয়ার ফলে রোহিঙ্গা শিবিরে ডিপথেরিয়ার প্রকোপ কমেছে। রোহিঙ্গারা আগে কোনো ধরনের টিকা না নেয়ায় তাদের মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন রোহিঙ্গারা নিয়মিত টিকার আওতায় আসায় ডিপথেরিয়া মহামারী আকার ধারণ করবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডিপথেরিয়া আক্রান্ত এমন ১০০ জন লোককে সঠিক চিকিৎসা দেয়া হলেও ৮ থেকে ১০ জন মারা যেতে পারে। স্থানীয়দের মধ্যেও ডিপথেরিয়া রোগী শনাক্ত হলেও তারা টিকার আওতায় থাকায় কেউ মারা যায়নি। কারণ তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। টিকা দেয়ার পর স্থানীয়রা কেন আক্রান্ত হচ্ছেন জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, ১০ থেকে ১৫ বছর পার হওয়ায় এই রোগ হতে পারে। আর এসব স্থানীয়রা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশাপাশে থাকেন। তারাও মাঝে মাঝে ক্যাম্পে প্রবেশ করেন। এই পর্যন্ত স্থানীয় ৭০ জন ডিপথেরিয়া আক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ মানবজমিনকে বলেন, গত বছরের দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডিপথেরিয়া দেখা দিয়েছিল। এখন কমে গেছে। এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দীর্ঘদিন দেশে ডিপথেরিয়া না থাকায় এ রোগের ভ্যাকসিন ছিল না, ল্যাবরেটরিও ছিল না। সে কারণে প্রথমদিকে অধিকসংখ্যক রোহিঙ্গা এতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন রোহিঙ্গাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। সে কারণে রোহিঙ্গা কিংবা স্থানীয়দের মধ্যে আর এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে সন্দেহভাজন যত ডিপথেরিয়া রোগী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সংখ্যাটা ততটা হবে না। স্থানীয় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আবার টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, মিয়ানমারে টিকাদান কর্মসূচি ভালো থাকলেও রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেয়নি দেশটি। রাখাইন রাজ্য ছাড়া অন্যান্য জায়গায় টিকাদান কর্মসূচি ছিল।
দেশের বিশিষ্ট রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, গত বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডিপথেরিয়া দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশ থেকে ১৯৮৩ সালের দিকে এটা নির্মূল করা হয়। ভ্যাকসিন দেয়া আছে। ফলে এখানে ছড়ানোর কেন সম্ভাবনা নেই। তবে যাদের এখনও টিকা নেয়া হয়নি এবং ক্যাম্পের আশে পাশে আছেন তাদের হতে পারে। ব্যাপক আকারে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। এই টিকা তিন ডোজে দেয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ডিপথেরিয়ার বাইরে অন্যান্য রোগেও মারাত্মকভাবে ভুগছে রোহিঙ্গারা। ডব্লিউএইচও’র হিসাবে, ৩০শে জুন পর্যন্ত অজ্ঞাত জ্বরে ভোগা রোহিঙ্গার সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ৬২০ জন, ডায়রিয়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার ২৩১ জন। তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগছে ২ লাখ ৫২ হাজার ২৪৯, ২ হাজার ৫২৬ জন জন্ডিসসহ নানা রোগে ভুগছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বছলের শুরুর দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ব্যাপক হারে ডিপথেরিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ায় কক্সবাজারে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ১২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে চার লাখ ৭৫ হাজারের বেশি শিশুকে টিকা দেয়া হয়। এ জন্য ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য খাতের সহযোগীরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে। ছয় সপ্তাহব্যাপী এক কর্মসূচিতে ছয় সপ্তাহ থেকে সাত বছর বয়সী প্রায় দেড় লাখ শিশুকে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেয়া হয়। এ টিকা তাদের ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটেনাস, হেমোফিলিস ইনফ্লুয়েঞ্জা ও হেপাটাইটিস-বি থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া গত ৩১শে ডিসেম্বর শেষ হওয়া তিন সপ্তাহব্যাপী এক কর্মসূচিতে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী এক লাখ ৬৬ হাজার শিশুকে টিডি (টিটেনাস অ্যান্ড ডিপথেরিয়া) টিকা দেয়া হয়।
No comments