তিস্তা এখন আর তেমন কোনও বড় সমস্যা নয়, কৌশলে হেফাজতের সঙ্গে ডিল করছি
তিস্তা
নদীর পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি হওয়া না-হওয়ার বিষয়টি নির্বাচনে
আওয়ামী লীগের জন্য কোনও সমস্যা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। শনিবার দুপুরে দিল্লির গবেষণা
প্রতিষ্ঠান অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য
করেন।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে বিরোধীরা নিশ্চয় বলার চেষ্টা করবে শেখ হাসিনার সরকার তো তিস্তা চুক্তিও করাতে পারলো না, ভারত কিছুই দিলো না ইত্যাদি। আমরা কিন্তু পরিষ্কার বলতে চাই, তিস্তা এখন আর তেমন কোনও বড় সমস্যা নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটা কথা খুব বলেন, আমরা হলাম নদীর ভাঁটির দেশ। পানি এখানে ঠিকই আসবে, আসতে বাধ্য। একটা নদীকে কেউ মুছে দিতে পারবে না, আর তাই আজ হোক, কাল হোক, পানির ভাগাভাগি নিয়েও চুক্তি ঠিকই হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে দুটো প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সদিচ্ছা আর সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি (অ্যাটিচিউড) থাকলে যেকোনও বড় সমস্যাই মিটিয়ে ফেলা যায়। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদে মৃত্যু কিংবা ফেন্সিডিল পাচারের রমরমা নিয়ে একসময় হইচই কম হয়নি। কিন্তু এখন সীমান্তে মৃত্যুও প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে, ভারতের দিকে ফেন্সিডিল বানানোর করাখানাগুলো বন্ধ হওয়াতে পাচারও থেমে গেছে। তাই আমাদের কোনও সন্দেহ নেই তিস্তারও একদিন সুরাহা হবে।’ রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সুরে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘ফলে তিস্তা নিয়ে বিরোধীদের যা খুশি বলতে দিন, ওতে নির্বাচনে আমাদেও কোনও সমস্যা হবে না।’
কট্টর ইসলামপন্থী হেফাজতে ইসলামের চাপের কাছে আওয়ামী লীগ সরকার নতি স্বীকার করেছে এই অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েচ্ছে এইচ টি ইমামকে। তবে তিনি অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেননি। এইচ টি ইমাম বলেন, ‘দেখুন, হেফাজতের সমর্থকের সংখ্যা কত বেশি! দেশজুড়ে লাখ লাখ কওমি মাদরাসার অগণিত ছাত্র এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, কাজেই বলপ্রয়োগ করে তাদের সঙ্গে ডিল করা যাবে না, তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। আমরা তাই ‘ফোর্স’ দিয়ে নয়, বরং কৌশলের সঙ্গে (ট্যাক্টফুলি) হেফাজতের সঙ্গে ডিল করছি।’ তিনি দাবি করেন, এখন তার সুফলও মিলতে শুরু করেছে। কওমি মাদরাসার বহু ছাত্রও এখন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতে শুরু করেছে।
এইচ টি ইমাম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে বিরোধীরা নিশ্চয় বলার চেষ্টা করবে শেখ হাসিনার সরকার তো তিস্তা চুক্তিও করাতে পারলো না, ভারত কিছুই দিলো না ইত্যাদি। আমরা কিন্তু পরিষ্কার বলতে চাই, তিস্তা এখন আর তেমন কোনও বড় সমস্যা নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী একটা কথা খুব বলেন, আমরা হলাম নদীর ভাঁটির দেশ। পানি এখানে ঠিকই আসবে, আসতে বাধ্য। একটা নদীকে কেউ মুছে দিতে পারবে না, আর তাই আজ হোক, কাল হোক, পানির ভাগাভাগি নিয়েও চুক্তি ঠিকই হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ‘আসলে দুটো প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সদিচ্ছা আর সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি (অ্যাটিচিউড) থাকলে যেকোনও বড় সমস্যাই মিটিয়ে ফেলা যায়। সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশিদে মৃত্যু কিংবা ফেন্সিডিল পাচারের রমরমা নিয়ে একসময় হইচই কম হয়নি। কিন্তু এখন সীমান্তে মৃত্যুও প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে, ভারতের দিকে ফেন্সিডিল বানানোর করাখানাগুলো বন্ধ হওয়াতে পাচারও থেমে গেছে। তাই আমাদের কোনও সন্দেহ নেই তিস্তারও একদিন সুরাহা হবে।’ রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সুরে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘ফলে তিস্তা নিয়ে বিরোধীদের যা খুশি বলতে দিন, ওতে নির্বাচনে আমাদেও কোনও সমস্যা হবে না।’
কট্টর ইসলামপন্থী হেফাজতে ইসলামের চাপের কাছে আওয়ামী লীগ সরকার নতি স্বীকার করেছে এই অভিযোগের মুখে পড়তে হয়েচ্ছে এইচ টি ইমামকে। তবে তিনি অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেননি। এইচ টি ইমাম বলেন, ‘দেখুন, হেফাজতের সমর্থকের সংখ্যা কত বেশি! দেশজুড়ে লাখ লাখ কওমি মাদরাসার অগণিত ছাত্র এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, কাজেই বলপ্রয়োগ করে তাদের সঙ্গে ডিল করা যাবে না, তাতে হিতে বিপরীত হয়ে যাবে। আমরা তাই ‘ফোর্স’ দিয়ে নয়, বরং কৌশলের সঙ্গে (ট্যাক্টফুলি) হেফাজতের সঙ্গে ডিল করছি।’ তিনি দাবি করেন, এখন তার সুফলও মিলতে শুরু করেছে। কওমি মাদরাসার বহু ছাত্রও এখন আওয়ামী লীগকে সমর্থন করতে শুরু করেছে।
No comments