তিন সচিবসহ ৩৭ ভিআইপি সংরক্ষিত কোটায় প্লট পেলেন by দীন ইসলাম
সরকারের
তিন সচিবসহ ৩৭ ভিআইপি ব্যক্তিকে সংরক্ষিত কোটায় ৩০টি প্লট বরাদ্দ দেয়া
হয়েছে। তাদেরকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)-এর পূর্বাচল নতুন শহর
প্রকল্প, উত্তরা ও ঝিলমিল প্রকল্পে বিভিন্ন আয়তনের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রাজউকের সর্বশেষ বোর্ড সভায় এ প্লট বরাদ্দের বিষয়টি অনুমোদন পেয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০শে এপ্রিল ৩০ জনকে
প্লট বরাদ্দ দেয়ার অনুশাসন পাঠায় মন্ত্রণালয়। ওই অনুশাসনে বলা হয়, ৩৭ জন
আবেদনকারীর অনুকূলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর বরাদ্দ বিধি ১৩ এ বিধি
মোতাবেক প্লট বরাদ্দের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন। এ
বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। ৯৯ জন এমপিকে
সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ দেয়ার পর এ প্লট বরাদ্দ দেয়া হলো। নতুন করে
বরাদ্দ দেয়া তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ
কায়কাউস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল
উদ্দীন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ
প্রত্যেকে সাড়ে সাত কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে
সাড়ে সাত কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তরা হলেন- পিডিবি’র চেয়ারম্যান
খালেদ মাহমুদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল
কালাম আজাদ, সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা-৬ আসনের এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ, স্পেশাল
সিকিউরিটি ফোর্সের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. সফিকুর রহমান, মিল্ক
ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট
মৃনাল কান্তি দাস, সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুর ছেলে রাজিব আহমেদ পার্থ
এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এসএইচ মো. নুরুল হুদা জায়গীরদার।
এছাড়া ঝিলমিল প্রকল্পে ৫ কাঠা আয়তনের প্লটপ্রাপ্তরা হলেন- সাবেক জাতীয়
ফুটবলার আব্দুল গাফফার, বেগম রহিমা খাতুন ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন
এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক সায়ীদুল হক, প্রকৌশলী হাবিবুল আজিজ
পিইঞ্জ, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী,
প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল অফিসার ডা. সাহানা বেগম ও ডা. মো. জুলফিকার আলী।
তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সচিব লাহুত মিয়া, প্রশাসনিক
কর্মকর্তা মো. আসলাম উদ্দিন, অফিস সহায়ক মানিক চন্দ্র শীল ও মো. মোজাফর
হোসেন অর্থাৎ চার জনকে ঝিলমিল প্রকল্পে একটি পাঁচ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ
দেয়া হয়েছে। এদিকে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পে বাংলাদেশ রেলওয়ের
মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন পিইঞ্জ পাঁচ কাঠা ও ডলি ইকবাল তিন কাঠা আয়তনের
প্লট পেয়েছেন। একই সঙ্গে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি
মুহাম্মদ নুরুল হুদা, মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম লতিফ খান, দুর্নীতি দমন কমিশনের
পরিচালক নাসিম আনোয়ার, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এ
কে এম সাজ্জাদ হোসেন, শাহাব উদ্দিন চঞ্চল, ডিএফপি’র ক্যামেরাম্যান মো.
ইউসুফ হোসেন ও ফটোগ্রাফার এ.বি.এম আকতারুজ্জামান প্রত্যেকে তিন কাঠা আয়তনের
প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্টুয়ার্ড আবু
জেহাদ আল মামুন, প্যান্ট্রিম্যান মো. হযরত আলী এবং বাংলাদেশ পর্যটন
করপোরেশনের কমার্শিয়াল অফিসার মো. হেমায়েত কবির তিনজনে একটি তিন কাঠা এবং
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের কমার্শিয়াল অফিসার আব্দুল আউয়াল, অফিস সহায়ক
আব্দুল মান্নান শেখ ও প্যান্ট্রিম্যান মো. ইউনুস আলীকে আলাদাভাবে আরেকটি
তিন কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩ এ
ধারায় আরো প্লট বরাদ্দ দেয়া হতে পারে। ওই প্রক্রিয়া এখন চলছে গৃহায়ন ও
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে।
No comments