নীলফামারীর জলঢাকায় রসুনের থোকায়-থোকায় জীবন বাঁধা লাভলু মিয়ার (২৮)। বাপ-দাদার এ ব্যবসা একযুগেরও বেশি সময় ধরে করে আসছেন লাভলু মিয়া। তার জীবিকার ওপর নির্ভর করে পরিবারের পাঁচ সদস্যের ভরণ-পোষণ ও সন্তানদের লেখাপড়া। অন্য কোনো কর্ম জানা না থাকায় তিনি বাবার শেখানো এ পেশার ওপর নির্ভর করছেন। গতকাল দুপুরে উপজেলা চত্বরে রসুন বিক্রির সময় কথা হয় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে। আলাপচারিতায় বেরিয়ে আসে রসুন চাষ ও বিক্রির পদ্ধতি। লাভলু মিয়া জানায়, কার্তিক-অগ্রহায়ণে রসুন রোপণ করতে হয়। চৈত্র-বৈশাখে সেই রসুন তোলা হয়। একটি থোকায় ৮০-১০০টি রসুন থাকে। একটি থোকার ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত যার মূল্য ২০০-২৪০ টাকা। পূর্বে কাঁধে করে ভার (বাউঙ্কায়) বিক্রি করতাম। এখন ভ্যানে করে বিক্রি করি। সংগ্রহ করতাম উপজেলার বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে। প্রতিদিন ৪০-৫০ থোকা বিক্রি হয়। এতে আমার আয় হয় ৫ থেকে ৬শ’ টাকা। যা দিয়ে সংসার চালাই। লাভলু মিয়া উপজেলার খালিশা খুটামারার নুরুল ইসলামের ছেলে। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এবারে ১৬০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও তা অর্জিত হয়নি। |
No comments