মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে সরকার মানুষ খুন করছে
সরকার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে এখন নির্বিচারে মানুষ
হত্যা করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ
আহমদ। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ
কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে এক প্রতিবাদী নাগরিক সভায় তিনি এ দাবি করেন। মওদুদ
আহমদ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন- তাদের কাছে মাদক সম্রাটদের তালিকা
আছে। তাহলে এই অভিযান আগে থেকে চালিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেনি কেন?
কারণ হলো এই মাদক ব্যবসায় তাদের নেতৃবৃন্দ জড়িত। সরকারের লোকজন এখান থেকে
হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করেছে।
তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকার এত দিন নিশ্চুপ ছিল। কিন্তু এখন সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে নির্বিচারে মানুষ মারা শুরু করেছে। গত ৮ই মে থেকে ২৫শে মে পর্যন্ত ৫৮ জন মানুষ মারা গেছে। এই মানুষগুলোর কি জীবনের কোনো মূল্য নেই? আমরাও চাই মাদক নির্মূল করা হোক। মাদক ব্যবসা উচ্ছেদ হোক। কিন্তু এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা আমরা চাই না। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে এরা কেউ মাদকের মালিক না। এরা মাদকের বাহক। তারা বিক্রি করে টাকা মালিককেই দেয়। সেই মালিক হল এই সরকারের মদতপুষ্টরা। এভাবে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। মাদকের প্রকৃত হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তিনি বলেন, খুলনায় জনগণের অংশগ্রহণে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেখানে পুলিশি নির্বাচন হয়েছে। প্রায় ১০০ কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টরা দাঁড়াতে পারেনি। এখন আবার সরকার খুলনা স্টাইলে গাজীপুরে নির্বাচন করতে চায়। তবে তারা যদি সে চেষ্টা করে তবে এবার আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সেটা প্রতিহত করব। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের বাধা দেবো। নির্বাচনী আইন সংশোধন করায় ইসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা সরকারের একটি তলপিবাহক প্রতিষ্ঠান। সরকার যা চাইবে তারা তাই করবে। সরকার সংসদ বহাল রেখে আগামী নির্বাচন করতে চায়।
তাই দুরভিসন্ধিমূলকভাবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনের আচরণবিধি পরিবর্তন করেছে। এখন নতুন আইনে সংসদ সদস্যরা সকল প্রটোকল নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবে। এর পর আর সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, সর্বোচ্চ আদালত বেগম জিয়াকে জামিন দেয়ার পর কি আর কোনো কথা থাকে? যদি তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা থাকেও সেটা দুই এক দিনেই জামিন হয়ে যায়। কিন্তু নিম্ন আদালতের বিচারকরা সরকার যা চাইবে তাই করবে। খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে কারাগারে বন্দি রেখেছে। কিন্তু তারা জানেনা খালেদা জিয়া যদি একদিনও বেশি কারাগারে থাকেন তাহলে তার জনপ্রিয়তা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আইন আদালত ও শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। আন্দোলন ছাড়া জনগণের কোনো দাবি কোনোদিন কোনোভাবে আদায় করা হয়নি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করারও একমাত্র পথ রাজপথ। রমজান মাসের পরে আমাদেরকে কঠোর কর্মসূচির কথা চিন্তা করতে হবে। আর সেভাবেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্রের আন্দোলন। এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা বর্তমান অবস্থার অবসান চাই। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে সম্পূর্ণভাবে নৈরাজ্য বিরাজ করছে না। কোনো জবাবদিহিতা নেই। ভয়ংকর একটি অবস্থা।
এই অবস্থার অবসান চায় দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরবেন না। আশা করি তিনি তিস্তার পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করেই দেশে ফিরবেন। আর না হলে আমরা বলবো তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তিনটি উপায়ে আমরা বর্তমান এই অবৈধ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে পারি। প্রথমত নির্বাচনের মাধ্যমে, দ্বিতীয়ত গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং তৃতীয়ত একেবারে ধর্মীয়ভাবে আমরা আল্লাহর কাছে সরকারের অনাচারের বিচার চাইবো, তিনি যদি তাদেরকে সরিয়ে দেন। আসুন আমরা নিজেদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখি। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারকে উৎখাত করি।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকার এত দিন নিশ্চুপ ছিল। কিন্তু এখন সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে নির্বিচারে মানুষ মারা শুরু করেছে। গত ৮ই মে থেকে ২৫শে মে পর্যন্ত ৫৮ জন মানুষ মারা গেছে। এই মানুষগুলোর কি জীবনের কোনো মূল্য নেই? আমরাও চাই মাদক নির্মূল করা হোক। মাদক ব্যবসা উচ্ছেদ হোক। কিন্তু এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা আমরা চাই না। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে যাদের হত্যা করা হচ্ছে এরা কেউ মাদকের মালিক না। এরা মাদকের বাহক। তারা বিক্রি করে টাকা মালিককেই দেয়। সেই মালিক হল এই সরকারের মদতপুষ্টরা। এভাবে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। মাদকের প্রকৃত হোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। তিনি বলেন, খুলনায় জনগণের অংশগ্রহণে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। সেখানে পুলিশি নির্বাচন হয়েছে। প্রায় ১০০ কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টরা দাঁড়াতে পারেনি। এখন আবার সরকার খুলনা স্টাইলে গাজীপুরে নির্বাচন করতে চায়। তবে তারা যদি সে চেষ্টা করে তবে এবার আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সেটা প্রতিহত করব। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের বাধা দেবো। নির্বাচনী আইন সংশোধন করায় ইসির সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা সরকারের একটি তলপিবাহক প্রতিষ্ঠান। সরকার যা চাইবে তারা তাই করবে। সরকার সংসদ বহাল রেখে আগামী নির্বাচন করতে চায়।
তাই দুরভিসন্ধিমূলকভাবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনের আচরণবিধি পরিবর্তন করেছে। এখন নতুন আইনে সংসদ সদস্যরা সকল প্রটোকল নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবে। এর পর আর সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, সর্বোচ্চ আদালত বেগম জিয়াকে জামিন দেয়ার পর কি আর কোনো কথা থাকে? যদি তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা থাকেও সেটা দুই এক দিনেই জামিন হয়ে যায়। কিন্তু নিম্ন আদালতের বিচারকরা সরকার যা চাইবে তাই করবে। খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে কারাগারে বন্দি রেখেছে। কিন্তু তারা জানেনা খালেদা জিয়া যদি একদিনও বেশি কারাগারে থাকেন তাহলে তার জনপ্রিয়তা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আইন আদালত ও শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। আন্দোলন ছাড়া জনগণের কোনো দাবি কোনোদিন কোনোভাবে আদায় করা হয়নি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করারও একমাত্র পথ রাজপথ। রমজান মাসের পরে আমাদেরকে কঠোর কর্মসূচির কথা চিন্তা করতে হবে। আর সেভাবেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্রের আন্দোলন। এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা বর্তমান অবস্থার অবসান চাই। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে সম্পূর্ণভাবে নৈরাজ্য বিরাজ করছে না। কোনো জবাবদিহিতা নেই। ভয়ংকর একটি অবস্থা।
এই অবস্থার অবসান চায় দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরবেন না। আশা করি তিনি তিস্তার পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করেই দেশে ফিরবেন। আর না হলে আমরা বলবো তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বিএনপির ভাইস- চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তিনটি উপায়ে আমরা বর্তমান এই অবৈধ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে পারি। প্রথমত নির্বাচনের মাধ্যমে, দ্বিতীয়ত গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং তৃতীয়ত একেবারে ধর্মীয়ভাবে আমরা আল্লাহর কাছে সরকারের অনাচারের বিচার চাইবো, তিনি যদি তাদেরকে সরিয়ে দেন। আসুন আমরা নিজেদের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখি। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারকে উৎখাত করি।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
No comments