ধামরাইয়ে নিষেধাজ্ঞা মানছে না ইটভাটার মালিকরা
ধামরাইয়ে
পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেজ্ঞা মানছে ইটভাটার মালিকরা। তারা অতি লাভের জন্য
ফসলি জমি ও বসতবাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে তুলছে ভাটা। এতে যেমন
পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তেমনি জনমানুষও রক্ষা পাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন
গাছের ফল।
ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জালসা নির্মাণাধীণ মা ব্রিকস ফিল্ডের অবস্থানগত ছাড়পত্র জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বাতিল করলেও তারা তা তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গড়ে তুলছে ভাটা। এমনিভাবে ধামরাইয়ে এবছরও প্রায় অর্ধশতাধিক নতুন ভাটা তৈরি হয়েছে। এখন এখানে মোট ভাটা প্রায় ৩০০। জানা গেছে, ধামরাইয়ের বিভিন্ন ইউনয়নে নতুন-পুরাতন মিলে প্রায় ৩০০ ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার অনেকের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন আইনি জটিলতা। তবু স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা অনিয়মকে নিয়ম করে দিনের পর দিন ইট পুড়িয়ে যাচ্ছে। যার একটি ভাটা সে লাভের কারনে গড়ে তুলছে কয়েকটি ভাটা। বাদ দিচ্ছে না ফসলি জমি। হানিফ আলী নামে এক ব্যক্তি কয়েক বছর আগে ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামে এমবিএম স্টার নামে একটি ইটভাটা নির্মাণ করে ইট পুড়িয়ে আসছে। লাভের কারনে এ বছর আবার ওই ভাটার পাশেই তিনি ও নুর হোসেন নামে দুই ব্যক্তি যৌথভাবে বসতবাড়ি সংলগ্ন তিন ফসলি জমিতে ‘মা’ ব্রিকস নামে আরও একটি নতুন ইটভাটা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে ফসলের ক্ষতির আশংকায় স্থানীয় কৃষকরা ইটভাটা নির্মাণে কয়েক দফায় বাধা দিলেও তারা থামছে না। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে কোনো উপায় না পেয়ে গত ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২৫, ২৭ মার্চ ও ৪ঠা এপ্রিল স্থানীয় কৃষকরা গণস্বাক্ষর দিয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর গত ১৯শে এপ্রিল ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল হাই এক চিঠি দিয়ে নির্মাণাধীন ‘মা’ ব্রিকসের নামে দেয়া অবস্থানগত ছাড়পত্র বাতিল করেন এবং ইটভাটা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপরও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করেই ইটভাটা নির্মাণ কাজ চলছেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকারি অনুষ্ঠানে এসব ইটভাটা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকেন। তাই তিনি নিজেও ইটভাটার এসব অন্যায় কাজে চোখ বুঝে থাকেন। কৃষকরা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালামের কাছে অভিযোগ দিয়ে আমরা আরও বিপদে পড়েছি। তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা ঘটনাস্থলেও একটু এসেও দেখলেন না যে আমাদের মুখের আহার কেড়ে নিচ্ছে কারা। এসময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ বিষয়ে নির্মাণাধীন ইটভাটার ম্যানেজার সবুর উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র বাতিল করলেও আমাদের কোন আসে যায়না। ইটভাটা নির্মাণ আমরা করবোই। এতে কেউ বাধা দিয়ে দমিয়ে রাখতে পারবে না। ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুল হাই বলেন, নিয়ম না মেনে ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধামরাইয়ের দক্ষিণ জালসা গ্রামে নির্মাণাধীন ‘মা’ ব্রিকসের অবস্থানগত ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ইটভাটা নির্মাণ কাজ বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটা নির্মাণ কাজ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জালসা নির্মাণাধীণ মা ব্রিকস ফিল্ডের অবস্থানগত ছাড়পত্র জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বাতিল করলেও তারা তা তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গড়ে তুলছে ভাটা। এমনিভাবে ধামরাইয়ে এবছরও প্রায় অর্ধশতাধিক নতুন ভাটা তৈরি হয়েছে। এখন এখানে মোট ভাটা প্রায় ৩০০। জানা গেছে, ধামরাইয়ের বিভিন্ন ইউনয়নে নতুন-পুরাতন মিলে প্রায় ৩০০ ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটার অনেকের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন আইনি জটিলতা। তবু স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা অনিয়মকে নিয়ম করে দিনের পর দিন ইট পুড়িয়ে যাচ্ছে। যার একটি ভাটা সে লাভের কারনে গড়ে তুলছে কয়েকটি ভাটা। বাদ দিচ্ছে না ফসলি জমি। হানিফ আলী নামে এক ব্যক্তি কয়েক বছর আগে ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামে এমবিএম স্টার নামে একটি ইটভাটা নির্মাণ করে ইট পুড়িয়ে আসছে। লাভের কারনে এ বছর আবার ওই ভাটার পাশেই তিনি ও নুর হোসেন নামে দুই ব্যক্তি যৌথভাবে বসতবাড়ি সংলগ্ন তিন ফসলি জমিতে ‘মা’ ব্রিকস নামে আরও একটি নতুন ইটভাটা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এতে ফসলের ক্ষতির আশংকায় স্থানীয় কৃষকরা ইটভাটা নির্মাণে কয়েক দফায় বাধা দিলেও তারা থামছে না। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে কোনো উপায় না পেয়ে গত ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২৫, ২৭ মার্চ ও ৪ঠা এপ্রিল স্থানীয় কৃষকরা গণস্বাক্ষর দিয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর গত ১৯শে এপ্রিল ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুল হাই এক চিঠি দিয়ে নির্মাণাধীন ‘মা’ ব্রিকসের নামে দেয়া অবস্থানগত ছাড়পত্র বাতিল করেন এবং ইটভাটা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন। এরপরও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করেই ইটভাটা নির্মাণ কাজ চলছেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকারি অনুষ্ঠানে এসব ইটভাটা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকেন। তাই তিনি নিজেও ইটভাটার এসব অন্যায় কাজে চোখ বুঝে থাকেন। কৃষকরা জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালামের কাছে অভিযোগ দিয়ে আমরা আরও বিপদে পড়েছি। তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা ঘটনাস্থলেও একটু এসেও দেখলেন না যে আমাদের মুখের আহার কেড়ে নিচ্ছে কারা। এসময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ বিষয়ে নির্মাণাধীন ইটভাটার ম্যানেজার সবুর উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র বাতিল করলেও আমাদের কোন আসে যায়না। ইটভাটা নির্মাণ আমরা করবোই। এতে কেউ বাধা দিয়ে দমিয়ে রাখতে পারবে না। ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুল হাই বলেন, নিয়ম না মেনে ও এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধামরাইয়ের দক্ষিণ জালসা গ্রামে নির্মাণাধীন ‘মা’ ব্রিকসের অবস্থানগত ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ইটভাটা নির্মাণ কাজ বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইটভাটা নির্মাণ কাজ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments