সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কোথায়?
সৌদি
আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে
প্রকাশ্যে আসছেন না। রিয়াদে রাজপ্রাসাদের বাইরে গোলাগুলির ঘটনার পর থেকেই
লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন। সৌদি আরবের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের নতুন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র রিয়াদ সফরেও প্রকাশ্যে আসেননি যুবরাজ। এই
ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর শঙ্কা প্রকাশ করা
হয়েছে। এই শঙ্কা উড়িয়ে দিতে যুবরাজের কার্যালয় থেকে তার সর্বশেষ
কর্মকাণ্ডের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এখনও তাকে স্বশরীরে দেখা
যায়নি।
গত মাসে রিয়াদের বাদশাহ সালমানের বাসভবন আল খোজামা রাজপ্রাসাদের বাইরে গোলাগুলির খবর সামনে আসে। তখন থেকেই প্রকাশ্যে দেখা যায়নি সৌদি আরবের বর্তমান যুবরাজ ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমানকে। তার এই রহস্যজনক অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজব প্রকাশ পায়। সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানি সংবাদমাধ্যমে প্রথম এই গুজব প্রকাশ পায়। পরে ওই খবরকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশ করা হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি রাজপ্রাসাদের বাইরে গোলাগুলির ঘটনায় একটি খেলনা ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। ওই সময়ে এক ঊর্ধ্বতন সৌদি কর্মকর্তা ঘটনা সম্পর্কে বলেন, এটা ছিল দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত খেলনা বিমান। সংরক্ষিত আকাশ সীমায় প্রবেশ করায় তাৎক্ষনিকভাবে তা ভূপাতিত করা হয়। তবে সৌদি আরবের একটিভিস্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে ওই ঘটনায় ড্রোনের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের দাবি ওই ঘটনা ছিল যানবাহনে বহন করা ভারী মেশিনগান থেকে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণের।
সৌদি আরবের ক্ষমতার বাইরে থাকা বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সমর্থিত সূত্রগুলো বলছে, এপ্রিলের গুলির ঘটনায় ভয় পেয়েছেন যুবরাজ। তার আশঙ্কা সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেন। আর সেকারণেই রাজ পরিবারের সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশ ত্যাগে বাধা দিচ্ছেন তিনি।
ওই ঘটনার পর তিন সপ্তাহ পার হলেও সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইট যুবরাজের নতুন কোনও ছবি প্রকাশ করেনি। গত ১৫ মে প্রকাশিত সসৌদি আরবের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের ছবিতেও তাকে দেখা যায়নি। তাকে নিয়ে যেসব খবর প্রখাম করা হচ্ছে তা সবই এপ্রিলের ২৪ তারিখের আগের।
প্রকাশ্যে যুবরাজের অনুপস্থিতির সুযোগে ইরান ও রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজব প্রকাশ পায়। ওইসব গুজবে দাবি করা হয় ২১ এপ্রিলের গোলাগুলির ঘটনায় যুবরাজের শরীরে দুটি গুলির আঘাত পেয়েছিলেন। ইরানের সংবাদপত্র খাইয়ান একটি আরব রাষ্ট্রের কাছে পাঠানো গোপন গোয়েন্দা রিপোর্টের ঊদ্ধৃতি দিয়ে জানায় গুলির আঘাতে নিহত হয়েছেন যুবরাজ। এপ্রিলের শেষ দিকে সৌদি আরবের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর রিয়াদ সফরের সময়েও যুবরাজকে ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি।
ওই সফর নিয়ে সৌদি আরবের প্রকাশিত খবরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুবরাজের নৈশভোজের কথা বলেও বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলাজিজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়েরের সঙ্গে পম্পেও’র বৈঠকের ছবি প্রকাশ করা হয়।
গত ২১ এপ্রিলের ঘটনার পর এক সপ্তাহ পর বাদশাহ সালমানের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বিশালাকারের বিনোদন অবকাশ কেন্দ্র কিদিয়ার উদ্বোধন করেছেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছে সৌদি যুবরাজের কার্যালয়। ওই অবকাশ কেন্দ্রে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ছয় পতাকার থিম পার্কটিতে ওয়াটার পার্ক, মোটর স্পোর্টস, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অবকাশ কাটানোর জন্য বাড়ি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ১৮ মে সৌদি যুবরাজের কার্যালয়ের পরিচালক বদর আল আসকার একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। ওই ছবিতে সৌদি যুবরাজকে আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, বাহরাইনের বাদশাহ বিন ইসা এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে এক সঙ্গে দেখা যায়। টুইটারে আসকার লেখেন, ‘মিশরের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে কয়েক দিন আগে দুই ভাইয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠক।’ তবে এই বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেননি তিনি।
গত মাসে রিয়াদের বাদশাহ সালমানের বাসভবন আল খোজামা রাজপ্রাসাদের বাইরে গোলাগুলির খবর সামনে আসে। তখন থেকেই প্রকাশ্যে দেখা যায়নি সৌদি আরবের বর্তমান যুবরাজ ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমানকে। তার এই রহস্যজনক অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজব প্রকাশ পায়। সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানি সংবাদমাধ্যমে প্রথম এই গুজব প্রকাশ পায়। পরে ওই খবরকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশ করা হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি রাজপ্রাসাদের বাইরে গোলাগুলির ঘটনায় একটি খেলনা ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। ওই সময়ে এক ঊর্ধ্বতন সৌদি কর্মকর্তা ঘটনা সম্পর্কে বলেন, এটা ছিল দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত খেলনা বিমান। সংরক্ষিত আকাশ সীমায় প্রবেশ করায় তাৎক্ষনিকভাবে তা ভূপাতিত করা হয়। তবে সৌদি আরবের একটিভিস্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে ওই ঘটনায় ড্রোনের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের দাবি ওই ঘটনা ছিল যানবাহনে বহন করা ভারী মেশিনগান থেকে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণের।
সৌদি আরবের ক্ষমতার বাইরে থাকা বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সমর্থিত সূত্রগুলো বলছে, এপ্রিলের গুলির ঘটনায় ভয় পেয়েছেন যুবরাজ। তার আশঙ্কা সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারেন। আর সেকারণেই রাজ পরিবারের সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দেশ ত্যাগে বাধা দিচ্ছেন তিনি।
ওই ঘটনার পর তিন সপ্তাহ পার হলেও সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ওয়েবসাইট যুবরাজের নতুন কোনও ছবি প্রকাশ করেনি। গত ১৫ মে প্রকাশিত সসৌদি আরবের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের ছবিতেও তাকে দেখা যায়নি। তাকে নিয়ে যেসব খবর প্রখাম করা হচ্ছে তা সবই এপ্রিলের ২৪ তারিখের আগের।
প্রকাশ্যে যুবরাজের অনুপস্থিতির সুযোগে ইরান ও রাশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর গুজব প্রকাশ পায়। ওইসব গুজবে দাবি করা হয় ২১ এপ্রিলের গোলাগুলির ঘটনায় যুবরাজের শরীরে দুটি গুলির আঘাত পেয়েছিলেন। ইরানের সংবাদপত্র খাইয়ান একটি আরব রাষ্ট্রের কাছে পাঠানো গোপন গোয়েন্দা রিপোর্টের ঊদ্ধৃতি দিয়ে জানায় গুলির আঘাতে নিহত হয়েছেন যুবরাজ। এপ্রিলের শেষ দিকে সৌদি আরবের অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর রিয়াদ সফরের সময়েও যুবরাজকে ক্যামেরার সামনে দেখা যায়নি।
ওই সফর নিয়ে সৌদি আরবের প্রকাশিত খবরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুবরাজের নৈশভোজের কথা বলেও বাদশাহ সালমান বিন আব্দুলাজিজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়েরের সঙ্গে পম্পেও’র বৈঠকের ছবি প্রকাশ করা হয়।
গত ২১ এপ্রিলের ঘটনার পর এক সপ্তাহ পর বাদশাহ সালমানের সঙ্গে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে বিশালাকারের বিনোদন অবকাশ কেন্দ্র কিদিয়ার উদ্বোধন করেছেন বলে সম্প্রতি জানিয়েছে সৌদি যুবরাজের কার্যালয়। ওই অবকাশ কেন্দ্রে কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ছয় পতাকার থিম পার্কটিতে ওয়াটার পার্ক, মোটর স্পোর্টস, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অবকাশ কাটানোর জন্য বাড়ি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ১৮ মে সৌদি যুবরাজের কার্যালয়ের পরিচালক বদর আল আসকার একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। ওই ছবিতে সৌদি যুবরাজকে আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, বাহরাইনের বাদশাহ বিন ইসা এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকে এক সঙ্গে দেখা যায়। টুইটারে আসকার লেখেন, ‘মিশরের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে কয়েক দিন আগে দুই ভাইয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠক।’ তবে এই বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে বিষয়ে কোনও তথ্য দেননি তিনি।
No comments