অপারেশনের চার বছর পর প্রসূতির পেট থেকে গজ উদ্ধার
বাজিতপুর
জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের
চার বছর পর পেট থেকে গজের পুঁটলি বের করা হয়েছে। গত ১১ই মে হাসপাতালের
সার্জন অধ্যাপক এস.এম.আর ইসলাম অপারেশন করে গজের পুঁটলিটি বের করেন। তবে এই
সময়ের মধ্যে রোগীর পেটে প্রচণ্ড ব্যথার কারণে এর আগে একই হাসপাতালে আরো
দুই দফা অপারেশন করা হয়েছে। চার দফা অপারেশনে রোগীর পরিবারকে মোট এক লাখ ৫
হাজার টাকা ফি গুণতে হয়েছে। এ ব্যাপারে গত ২০ই মে কিশোরগঞ্জের সিভিল
সার্জনের কাছে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের গোয়ালিয়া পাড়ার সৌদি প্রবাসী পণ্ডিত মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার (৩০) কে সন্তান প্রসবের সময় ২০১৪ সালের ২৯শে জুন বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে সিজারিয়ান অপারেশন করানো হয়। অপারেশন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. লায়লা নূর।
এরপর ২১ হাজার ৩৭ টাকা ফি রেখে রোগীকে রিলিজ দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে ২০১৬ সালের ১৬ই জুন পুনরায় একই হাসপাতালে রোগিকে ভর্তি করানো হয়। রোগীর পরীক্ষানিরীক্ষা করে সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএবিএম তাইফুল আলম ও সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহীনুর রহমান দ্বিতীয়বার অপারেশন করেন। এবার ৩৪ হাজার ৮০২ টাকা ফি রেখে রোগীকে তিনদিন পর ১৯শে জুন রিলিজ দেয়া হয়। সম্প্রতি আবারো প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে পুনরায় গত ২রা মে একই হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে রোগীর পাইলস হয়েছে বলে জানান। পরে অধ্যাপক ডা. সর্দার মো. রেজাউল ইসলাম তৃতীয়বার অপারেশন করেন। ২০ হাজার ৯১০ টাকা ফি রেখে ৬ই মে রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। বাড়ি আনার পর রোগীর অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। ফলে ১১ই মে পুনরায় একই হাসপাতালে ভর্তি করালে সার্জন অধ্যাপক এস.এম.আর ইসলাম অপারেশন করে পেটের ভেতর থেকে গজের একটি পুটলি বের করেন। সার্জন জানান, চার বছর আগে সিজার করানোর সময় এই গজের পুটলি ভেতরে রেখেই সেলাই করে ফেলা হয়েছিল। এর জন্যই এতদিন রোগীকে এই কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। এবার ২৮ হাজার এক টাকা পরিশোধ করে ১৭ই মে রোগীকে বাড়ি নেয়া হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চারবারের অপারেশনে মোট এক লাখ ৫ হাজার ৯০ টাকা ফি দিতে হয়েছে। হয়রানিসহ আনুষঙ্গিক খরচ তো আছেই। সিজারের সময় পেটে গজ রেখে সেলাই করা হয়। চিকিৎসকরা পরের দুইবারের অপারেশনেও গজের সন্ধান করতে পারেননি। চতুর্থবার গজের সন্ধান পেয়ে তা বের করেন। অথচ এর জন্য কারো কোন জবাবদিহিতা নেই।
এদিকে বোগীর সর্বশেষ অপারেশনের পর ছাড়পত্রেও রেক্টামে ফরেন বডি পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমানকে প্রশ্ন করলে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন বলে জানিয়েছেন। জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক বাহার উদ্দিন ভূঁইয়া এ ব্যাপারে মোবাইলে ফোনে বলেন, রোগী পক্ষ আমার কাছে একটি আবেদন করলে তদন্তের ব্যবস্থা করবো। তদন্তে বেরিয়ে আসবে কোন চিকিৎসক অপারেশনের সময় গজ রেখে সেলাই করে ফেলেছিলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের গোয়ালিয়া পাড়ার সৌদি প্রবাসী পণ্ডিত মিয়ার স্ত্রী সালমা আক্তার (৩০) কে সন্তান প্রসবের সময় ২০১৪ সালের ২৯শে জুন বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে সিজারিয়ান অপারেশন করানো হয়। অপারেশন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. লায়লা নূর।
এরপর ২১ হাজার ৩৭ টাকা ফি রেখে রোগীকে রিলিজ দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হলে ২০১৬ সালের ১৬ই জুন পুনরায় একই হাসপাতালে রোগিকে ভর্তি করানো হয়। রোগীর পরীক্ষানিরীক্ষা করে সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএবিএম তাইফুল আলম ও সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহীনুর রহমান দ্বিতীয়বার অপারেশন করেন। এবার ৩৪ হাজার ৮০২ টাকা ফি রেখে রোগীকে তিনদিন পর ১৯শে জুন রিলিজ দেয়া হয়। সম্প্রতি আবারো প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে পুনরায় গত ২রা মে একই হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষা করে রোগীর পাইলস হয়েছে বলে জানান। পরে অধ্যাপক ডা. সর্দার মো. রেজাউল ইসলাম তৃতীয়বার অপারেশন করেন। ২০ হাজার ৯১০ টাকা ফি রেখে ৬ই মে রোগীকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। বাড়ি আনার পর রোগীর অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। ফলে ১১ই মে পুনরায় একই হাসপাতালে ভর্তি করালে সার্জন অধ্যাপক এস.এম.আর ইসলাম অপারেশন করে পেটের ভেতর থেকে গজের একটি পুটলি বের করেন। সার্জন জানান, চার বছর আগে সিজার করানোর সময় এই গজের পুটলি ভেতরে রেখেই সেলাই করে ফেলা হয়েছিল। এর জন্যই এতদিন রোগীকে এই কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। এবার ২৮ হাজার এক টাকা পরিশোধ করে ১৭ই মে রোগীকে বাড়ি নেয়া হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চারবারের অপারেশনে মোট এক লাখ ৫ হাজার ৯০ টাকা ফি দিতে হয়েছে। হয়রানিসহ আনুষঙ্গিক খরচ তো আছেই। সিজারের সময় পেটে গজ রেখে সেলাই করা হয়। চিকিৎসকরা পরের দুইবারের অপারেশনেও গজের সন্ধান করতে পারেননি। চতুর্থবার গজের সন্ধান পেয়ে তা বের করেন। অথচ এর জন্য কারো কোন জবাবদিহিতা নেই।
এদিকে বোগীর সর্বশেষ অপারেশনের পর ছাড়পত্রেও রেক্টামে ফরেন বডি পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমানকে প্রশ্ন করলে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন বলে জানিয়েছেন। জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক বাহার উদ্দিন ভূঁইয়া এ ব্যাপারে মোবাইলে ফোনে বলেন, রোগী পক্ষ আমার কাছে একটি আবেদন করলে তদন্তের ব্যবস্থা করবো। তদন্তে বেরিয়ে আসবে কোন চিকিৎসক অপারেশনের সময় গজ রেখে সেলাই করে ফেলেছিলেন।
No comments