রাখাইনের সংকট মিয়ানমারের গণতন্ত্রে উত্তরণে বাধা: ইউএসএআইডি প্রধান
যুক্তরাষ্ট্রের
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউএসএআইডি’র প্রধান মার্ক গ্রিন বলেছেন,
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাখাইনের মানবিক সংকট একটি বাধা এবং
অবশ্যই এই সংকটের সমাধান করতে হবে। মিয়ানমারে পাঁচদিনের সফর শেষে সোমবার
তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মার্ক গ্রিন বলেন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা ও গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরিতে সবসময়ই মিয়ানমারের পাশে থাকবে ইউএসএআইডি। আমরা খোলাখুলিভাবে বলতে চাই যে, বর্তমান পরিস্থিতি আসলে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তরায়। কিন্তু আমরা তাদের বন্ধু। তাদের জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে। তাদের উন্নয়নে আমরা পাশে থাকবো।’
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের বাঙালি মুসলিম আখ্যা দিয়ে নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে। তবে এবারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ার এক পর্যায়ে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির পর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়াশা কাটছে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গার নাম প্রস্তাব করা হলেও মাত্র ৬০০ জনকে ফেরত নিতে চেয়েছে মিয়ানমার। তাদের পক্ষ থেকে প্রথম রোহিঙ্গা পরিবার ফেরত নেওয়ার দাবি করা হলেও ওই দাবি সাজানো বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি মিয়ানমার সফরে যান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএসএআইডি)’র প্রধান মার্ক গ্রিন। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যও সফর করেছেন তিনি। পরিদর্শন করেছেন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের একটি শিবির। সফরে তিনি রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চির সঙ্গেও দেখা করেছেন। সেসময় তিনি মিয়ানমারের জনগণের সম্মান ও অধিকার নিশ্চিক করার জন্য সু চিকে আহ্বান জানান।
মিয়ানমার, জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশন ও জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার অগ্রগতিও দেখেন তিনি। গত শনিবার ইয়াঙ্গুনের সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন গ্রিন। বিষয়গুলো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে জানানোরও আশ্বাস দেন তিনি। রাখাইনের সংকটকে অবশ্যই আমলে নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।
গ্রিন বলেন, ‘এমন কিছু সবসময়ই সামনে আসবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। বন্ধু হিসেবে আমরা এই সমস্যা সমাধান করতে চাই।’
মিয়ানমারের গণতন্ত্র একদমই নতুন হওয়াতে এখন তাদের চ্যালেঞ্জিং সময় বলেও উল্লেখ করেন ইউএসএআইডি প্রধান। তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় না। এটা প্রথম ধাপ হতে পারে। এখন আমরা আরও বড় চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছি।
আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য মিয়ানমারকে নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি। গ্রিন বলেন, রাখাইনের এই সংকট শানের উত্তরাঞ্চল ও কাচিনেও বিদ্যমান। এটা থেকেই বোঝা যায় যে, এখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয়নি।
মার্ক গ্রিন বলেন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা ও গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরিতে সবসময়ই মিয়ানমারের পাশে থাকবে ইউএসএআইডি। আমরা খোলাখুলিভাবে বলতে চাই যে, বর্তমান পরিস্থিতি আসলে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্তরায়। কিন্তু আমরা তাদের বন্ধু। তাদের জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে। তাদের উন্নয়নে আমরা পাশে থাকবো।’
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। জাতিগত নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের বাঙালি মুসলিম আখ্যা দিয়ে নাগরিকত্ব অস্বীকার করে আসছে। তবে এবারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ার এক পর্যায়ে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির পর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়াশা কাটছে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গার নাম প্রস্তাব করা হলেও মাত্র ৬০০ জনকে ফেরত নিতে চেয়েছে মিয়ানমার। তাদের পক্ষ থেকে প্রথম রোহিঙ্গা পরিবার ফেরত নেওয়ার দাবি করা হলেও ওই দাবি সাজানো বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে।
সম্প্রতি মিয়ানমার সফরে যান যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএসএআইডি)’র প্রধান মার্ক গ্রিন। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যও সফর করেছেন তিনি। পরিদর্শন করেছেন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের একটি শিবির। সফরে তিনি রাষ্ট্রীয় পরামর্শক অং সান সু চির সঙ্গেও দেখা করেছেন। সেসময় তিনি মিয়ানমারের জনগণের সম্মান ও অধিকার নিশ্চিক করার জন্য সু চিকে আহ্বান জানান।
মিয়ানমার, জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশন ও জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার অগ্রগতিও দেখেন তিনি। গত শনিবার ইয়াঙ্গুনের সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন গ্রিন। বিষয়গুলো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে জানানোরও আশ্বাস দেন তিনি। রাখাইনের সংকটকে অবশ্যই আমলে নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।
গ্রিন বলেন, ‘এমন কিছু সবসময়ই সামনে আসবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। বন্ধু হিসেবে আমরা এই সমস্যা সমাধান করতে চাই।’
মিয়ানমারের গণতন্ত্র একদমই নতুন হওয়াতে এখন তাদের চ্যালেঞ্জিং সময় বলেও উল্লেখ করেন ইউএসএআইডি প্রধান। তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় না। এটা প্রথম ধাপ হতে পারে। এখন আমরা আরও বড় চ্যালেঞ্জ দেখতে পাচ্ছি।
আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য মিয়ানমারকে নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাটি। গ্রিন বলেন, রাখাইনের এই সংকট শানের উত্তরাঞ্চল ও কাচিনেও বিদ্যমান। এটা থেকেই বোঝা যায় যে, এখনও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হয়নি।
No comments