প্রণব-খালেদা বৈঠক প্রশ্নে সমালোচকরা কি ভুল ছিলেন? by সাজেদুল হক
প্রণব
মুখার্জির সঙ্গে কেন খালেদা জিয়া দেখা করেননি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ নিয়ে
বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সব রাজনৈতিক বিশ্লেষকই একবাক্যে বলে এসেছেন, ভারতীয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা না করার কারণে খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে কড়া মূল্য
পরিশোধ করতে হয়েছে। এমনকি বিএনপির ভেতরেও এ মত রয়েছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক
উন্নয়নের যে চেষ্টা তিনি সেসময় করেছিলেন, ওই বৈঠক বাতিলের ফলে তা হাওয়ায়
উড়ে যায়।
বৈঠকটি কেন বাতিল করেছিলেন খালেদা জিয়া? তার পেছনে দুুটি কারণ শোনা যায়। ১. বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর পরামর্শের কারণেই খালেদা জিয়া ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে আলোচনা রয়েছে। ২. নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে একটি শক্তিশালী মহল থেকে খালেদা জিয়াকে ওই বৈঠকে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
যে কারণেই হোক না কেন জামায়াতের হরতালের মধ্যে খালেদা জিয়ার দেখা না করার কারণে প্রণব মুখার্জি বিব্রতবোধ করেছিলেন। তবে ভারতের কংগ্রেস জমানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ এখন জানাচ্ছেন, এ বৈঠক বাতিলের আগেই বাংলাদেশ নীতি প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। কিভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কংগ্রেস সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা হাওয়ায় উড়ে গিয়েছিল তার বিবরণ রয়েছে সালমান খুরশিদের লেখা সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘দ্য আদার সাইড অব মাউন্টেইন’-এ।
সালমান খুরশিদ লিখেছেন, বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের খুবই উষ্ণতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। খালেদা জিয়া ভারত সফরের সময় প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। যদিও প্রণবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেক নেতারই ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে বলে আলোচনা রয়েছে। সালমান খুরশিদের ভাষায় সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছিল। তার বাংলাদেশ সফরের সময়ও খালেদা জিয়া তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন।
সবকিছু চমৎকারভাবেই এগুচ্ছিল। কিন্তু পুরো বিষয়টিই ভেস্তে যায় শাহবাগ আন্দোলনের ফলে। সালমান খুরশিদ শাহবাগ আন্দোলন কথাটি ব্যবহার করেননি। তবে তার বয়ানে বুঝা যায়, তিনি শাহবাগ আন্দোলনের কথাই বুঝিয়েছেন। তার ভাষায়, সরকার সমর্থক যুব শক্তি এবং জামায়াতের কট্টরপন্থিরা রাজপথে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। আর তখনই ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সালমান খুরশিদ এখানে একেবারেই অকপট। অনেক বস্তাপচা আত্মজীবনীতে যেমন মিথ্যার বেসাতি গাওয়া হয় সালমান খুরশিদ সে পথে হাঁটেননি। তিনি লিখেছেন, সেই পরিস্থিতিতে ভারত আওয়ামী লীগকেই বেছে নেয়।
সালমান খুরশিদের এই বই প্রকাশের পর প্রশ্নটি আবার নতুন করে সামনে এসেছে। তাহলে কি প্রণব-খালেদা বৈঠক প্রশ্নে বিশ্লেষকরা ভুল ছিলেন।
বৈঠকটি কেন বাতিল করেছিলেন খালেদা জিয়া? তার পেছনে দুুটি কারণ শোনা যায়। ১. বিএনপিপন্থি হিসেবে পরিচিত কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর পরামর্শের কারণেই খালেদা জিয়া ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে আলোচনা রয়েছে। ২. নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে একটি শক্তিশালী মহল থেকে খালেদা জিয়াকে ওই বৈঠকে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
যে কারণেই হোক না কেন জামায়াতের হরতালের মধ্যে খালেদা জিয়ার দেখা না করার কারণে প্রণব মুখার্জি বিব্রতবোধ করেছিলেন। তবে ভারতের কংগ্রেস জমানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ এখন জানাচ্ছেন, এ বৈঠক বাতিলের আগেই বাংলাদেশ নীতি প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। কিভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কংগ্রেস সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা হাওয়ায় উড়ে গিয়েছিল তার বিবরণ রয়েছে সালমান খুরশিদের লেখা সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনী ‘দ্য আদার সাইড অব মাউন্টেইন’-এ।
সালমান খুরশিদ লিখেছেন, বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের খুবই উষ্ণতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। খালেদা জিয়া ভারত সফরের সময় প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। যদিও প্রণবের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অনেক নেতারই ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে বলে আলোচনা রয়েছে। সালমান খুরশিদের ভাষায় সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছিল। তার বাংলাদেশ সফরের সময়ও খালেদা জিয়া তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন।
সবকিছু চমৎকারভাবেই এগুচ্ছিল। কিন্তু পুরো বিষয়টিই ভেস্তে যায় শাহবাগ আন্দোলনের ফলে। সালমান খুরশিদ শাহবাগ আন্দোলন কথাটি ব্যবহার করেননি। তবে তার বয়ানে বুঝা যায়, তিনি শাহবাগ আন্দোলনের কথাই বুঝিয়েছেন। তার ভাষায়, সরকার সমর্থক যুব শক্তি এবং জামায়াতের কট্টরপন্থিরা রাজপথে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। আর তখনই ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সালমান খুরশিদ এখানে একেবারেই অকপট। অনেক বস্তাপচা আত্মজীবনীতে যেমন মিথ্যার বেসাতি গাওয়া হয় সালমান খুরশিদ সে পথে হাঁটেননি। তিনি লিখেছেন, সেই পরিস্থিতিতে ভারত আওয়ামী লীগকেই বেছে নেয়।
সালমান খুরশিদের এই বই প্রকাশের পর প্রশ্নটি আবার নতুন করে সামনে এসেছে। তাহলে কি প্রণব-খালেদা বৈঠক প্রশ্নে বিশ্লেষকরা ভুল ছিলেন।
No comments