জাকার্তার হামলাকারীরা নতুন ধারার জঙ্গি?
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের কুটা এলাকায় বালি বোমা হামলা স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করছেন পর্যটকেরা। রাজধানী জাকার্তায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার এক দিন পর গতকাল তোলা ছবি (বাঁয়ে)। ছবি: রয়টার্স |
ইন্দোনেশিয়ার
রাজধানী জাকার্তার ব্যস্ত কেন্দ্রস্থলে গত বৃহস্পতিবারের হামলায় অংশ নেওয়া
পাঁচজন সন্ত্রাসীর চারজন শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন আগেই একটি
জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। আর সাম্প্রতিকতম এ হামলার পর
এতে জড়িত সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
বিবিসি ও আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ যে চার হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে তাদের মধ্যে আফিফ সুনাকিম নামের একজনকে বৃহস্পতিবার হামলার সময় বন্দুক ও কাঁধে ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে। আচেহ প্রদেশের একটি জঙ্গি শিবিরে অংশগ্রহণের দায়ে ইতিপূর্বে সে সাত বছরের জেলও খাটে।
গতকাল বিবিসির এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলোর এক নতুন ধারা বা প্রজন্মের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইয়োহানস সুলেইমান মনে করেন, যেভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে তা দেশটিতে একেবারেই নতুন ধাঁচের।
ইন্দোনেশীয় পুলিশ প্রধান জেনারেল বাদরুদ্দিন হাইতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, শনাক্ত হওয়া চার সন্ত্রাসীসহ পাঁচ হামলাকারীই বৃহস্পতিবার গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়। হামলায় একজন কানাডীয় ও একজন ইন্দোনেশীয় বেসামরিক লোকও প্রাণ হারান। আহত হন অন্তত আরও ২০ জন।
পুলিশ বলছে, হামলাকারীদের দুজন নিহত হয় একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায়। বাকি তিনজন বন্দুক লড়াইয়ে।
জেনারেল হাইতি জানান, সুনাকিম ও আরেক হামলাকারী উভয়ই অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ছিল। আর জাকার্তার পুলিশ প্রধান টিটো কারনাভিয়ান বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলায় যে সন্ত্রাসী সেল জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে, তা উদ্ঘাটনে অভিযান চালানো হচ্ছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ছোট একটা দল এ হামলা চালালেও সেটা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেননা, মূল অপরাধীরা জাভা ও সুলাওয়াশিভিত্তিক অন্য সেলগুলোর সঙ্গে যুক্ত।
এরই মধ্যে, গতকাল সকালে জাকার্তার কাছাকাছি স্থান থেকে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাহরুম নাইম নামের একজন ইন্দোনেশীয়র নাম প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের ধারণা, তিনি এ হামলার সমন্বয়কারী এবং আইএসের হয়ে লড়াই করতে সিরিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইএস-সমর্থক গোষ্ঠীগুলোকে সংগঠিত করার কাজ করছিলেন তিনি।
পুলিশ বলছে, গত বছরের শেষ নাগাদ আইএসের এক হামলার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছিল। আটক করা হয়েছিল সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে। তাঁদের একজন বলেছিলেন, তিনি এই নাইমের কাছ থেকেই নির্দেশনা পান। নাইম সুলাওয়াশি দ্বীপের আইএস-সমর্থিত গোষ্ঠী ইস্ট ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদীন গ্রুপের (এমআইটি) সঙ্গে জড়িত।
গতকাল বিবিসির একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়, জাকার্তায় বৃহস্পতিবারের হামলার লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী হলেও প্রাথমিক খবরে যা জানা গেছে সে অনুযায়ী এতে ছিল নানা ধরনের অনভিজ্ঞতার ছাপ। বড় রকমের হত্যাকাণ্ড ঘটাতেই জাকার্তার কেন্দ্রের ব্যস্ত এলাকা লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেয় হামলাকারীরা। কিন্তু তাদের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। তা ছাড়া, দৃশ্যত এটি ছিল এলোমেলো ও স্পষ্টতই কম সমন্বিত।
প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে এ ইঙ্গিতই মিলেছে, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর প্রজন্মরা নয়; বরং শৌখিন একটি গোষ্ঠীই এ হামলা চালিয়েছে। এর সদস্যরা এমন এক নতুন প্রজন্মের সদস্য, যারা হয় ইন্টারনেট ও উগ্রপন্থী সাইটগুলো থেকে এ কাজে উজ্জীবিত হয়েছে; নয়তো পুরোনো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেয়ে তাদের তৎপরতাই কেবল অনুসরণ করেছে।
বিবিসি ও আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ যে চার হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে তাদের মধ্যে আফিফ সুনাকিম নামের একজনকে বৃহস্পতিবার হামলার সময় বন্দুক ও কাঁধে ব্যাগ বহন করতে দেখা গেছে। আচেহ প্রদেশের একটি জঙ্গি শিবিরে অংশগ্রহণের দায়ে ইতিপূর্বে সে সাত বছরের জেলও খাটে।
গতকাল বিবিসির এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলোর এক নতুন ধারা বা প্রজন্মের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইয়োহানস সুলেইমান মনে করেন, যেভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে তা দেশটিতে একেবারেই নতুন ধাঁচের।
ইন্দোনেশীয় পুলিশ প্রধান জেনারেল বাদরুদ্দিন হাইতির বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়, শনাক্ত হওয়া চার সন্ত্রাসীসহ পাঁচ হামলাকারীই বৃহস্পতিবার গোলাগুলি ও বোমা বিস্ফোরণের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়। হামলায় একজন কানাডীয় ও একজন ইন্দোনেশীয় বেসামরিক লোকও প্রাণ হারান। আহত হন অন্তত আরও ২০ জন।
পুলিশ বলছে, হামলাকারীদের দুজন নিহত হয় একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায়। বাকি তিনজন বন্দুক লড়াইয়ে।
জেনারেল হাইতি জানান, সুনাকিম ও আরেক হামলাকারী উভয়ই অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ছিল। আর জাকার্তার পুলিশ প্রধান টিটো কারনাভিয়ান বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলায় যে সন্ত্রাসী সেল জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে, তা উদ্ঘাটনে অভিযান চালানো হচ্ছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ছোট একটা দল এ হামলা চালালেও সেটা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেননা, মূল অপরাধীরা জাভা ও সুলাওয়াশিভিত্তিক অন্য সেলগুলোর সঙ্গে যুক্ত।
এরই মধ্যে, গতকাল সকালে জাকার্তার কাছাকাছি স্থান থেকে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাহরুম নাইম নামের একজন ইন্দোনেশীয়র নাম প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের ধারণা, তিনি এ হামলার সমন্বয়কারী এবং আইএসের হয়ে লড়াই করতে সিরিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইএস-সমর্থক গোষ্ঠীগুলোকে সংগঠিত করার কাজ করছিলেন তিনি।
পুলিশ বলছে, গত বছরের শেষ নাগাদ আইএসের এক হামলার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছিল। আটক করা হয়েছিল সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে। তাঁদের একজন বলেছিলেন, তিনি এই নাইমের কাছ থেকেই নির্দেশনা পান। নাইম সুলাওয়াশি দ্বীপের আইএস-সমর্থিত গোষ্ঠী ইস্ট ইন্দোনেশিয়া মুজাহিদীন গ্রুপের (এমআইটি) সঙ্গে জড়িত।
গতকাল বিবিসির একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়, জাকার্তায় বৃহস্পতিবারের হামলার লক্ষ্য সুদূরপ্রসারী হলেও প্রাথমিক খবরে যা জানা গেছে সে অনুযায়ী এতে ছিল নানা ধরনের অনভিজ্ঞতার ছাপ। বড় রকমের হত্যাকাণ্ড ঘটাতেই জাকার্তার কেন্দ্রের ব্যস্ত এলাকা লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নেয় হামলাকারীরা। কিন্তু তাদের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। তা ছাড়া, দৃশ্যত এটি ছিল এলোমেলো ও স্পষ্টতই কম সমন্বিত।
প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণে এ ইঙ্গিতই মিলেছে, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর প্রজন্মরা নয়; বরং শৌখিন একটি গোষ্ঠীই এ হামলা চালিয়েছে। এর সদস্যরা এমন এক নতুন প্রজন্মের সদস্য, যারা হয় ইন্টারনেট ও উগ্রপন্থী সাইটগুলো থেকে এ কাজে উজ্জীবিত হয়েছে; নয়তো পুরোনো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চেয়ে তাদের তৎপরতাই কেবল অনুসরণ করেছে।
No comments