নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধ্বংসের আশঙ্কা সুজনের
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আজ সোমবার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: ফোকাস বাংলা |
পৌরসভা
নির্বাচনে যেসব নেতিবাচক দিক দৃষ্টিগোচর হয়েছে, সেগুলো না শুধরালে
ভবিষ্যতে আমাদের গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়াটিই ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ নির্বাচন আগের নির্বাচনগুলোর ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার মানের নিম্নমুখিতার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রয়েছে।
সংগঠনটির সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে অনেকগুলো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ ও অসমাপ্ত ভোটার তালিকা দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রেফতার, ভয়ভীতি ও বিভিন্ন চাপের কারণে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ থাকার পরও অনেকে প্রার্থী হতে পারেননি। এছাড়া ভয়ভীতির কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি।
নির্বাচিতদের হলফনামা পর্যালোচনা করে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার জানান, ২৩৩ জন নব-নির্বাচিত মেয়রদের মধ্যে ৯৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৮১ জনের মধ্যে ৭৩ জন, বিএনপির ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ও স্বতন্ত্র ২৭ জনের মধ্যে আটজন রয়েছে। জাতীয় পার্টির একমাত্র বিজয়ী এসএসসি পাস। শিক্ষাগত দিক থেকে এটা ইতিবাচক। এছাড়া এবার নির্বাচনে পাঁচজন নারী মেয়র হয়েছেন। তবে সার্বিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীদের ভোটাররা বেশি ভোট দিয়েছেন। তুলনামূলকভাবে কম শিক্ষিত প্রার্থীদের ভোটাররা কম ভোট দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষিতের হার ৪০ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও স্বশিক্ষিত ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়রদের মধ্যে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীর হার ছিল ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, স্বশিক্ষিত ছিল ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
অতীতে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচন প্রক্রিয়ার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তা থেকে উত্তরণ ঘটেনি। দুর্ভাগ্যবশত ৩০ ডিসেম্বরের পৌর ভোট নিরপেক্ষতার বিচারে আগের নির্বাচনের ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি।
সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আমাদের নির্বাচনী অঙ্গণকে পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সুজন কাজ করে চলেছে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনে প্রদত্ত হলফনামার তথ্যগুলো বিশে¬ষণ করে ভোটারদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরছে। আমরা সুজন-এর পক্ষ থেকে বলেছি যে, দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফল শুভ হয় না। আমরা বিগত পৌর নির্বাচনে সেটিই লক্ষ করেছি। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার ও প্রকৌশলী মুসবাহ আলী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ নির্বাচন আগের নির্বাচনগুলোর ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার মানের নিম্নমুখিতার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রয়েছে।
সংগঠনটির সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পৌরসভা নির্বাচনে অনেকগুলো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ ও অসমাপ্ত ভোটার তালিকা দিয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রেফতার, ভয়ভীতি ও বিভিন্ন চাপের কারণে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ থাকার পরও অনেকে প্রার্থী হতে পারেননি। এছাড়া ভয়ভীতির কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি।
নির্বাচিতদের হলফনামা পর্যালোচনা করে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার জানান, ২৩৩ জন নব-নির্বাচিত মেয়রদের মধ্যে ৯৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৮১ জনের মধ্যে ৭৩ জন, বিএনপির ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ও স্বতন্ত্র ২৭ জনের মধ্যে আটজন রয়েছে। জাতীয় পার্টির একমাত্র বিজয়ী এসএসসি পাস। শিক্ষাগত দিক থেকে এটা ইতিবাচক। এছাড়া এবার নির্বাচনে পাঁচজন নারী মেয়র হয়েছেন। তবে সার্বিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষিত প্রার্থীদের ভোটাররা বেশি ভোট দিয়েছেন। তুলনামূলকভাবে কম শিক্ষিত প্রার্থীদের ভোটাররা কম ভোট দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষিতের হার ৪০ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও স্বশিক্ষিত ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়রদের মধ্যে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীর হার ছিল ৩৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ, স্বশিক্ষিত ছিল ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
অতীতে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচন প্রক্রিয়ার তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনে সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। তা থেকে উত্তরণ ঘটেনি। দুর্ভাগ্যবশত ৩০ ডিসেম্বরের পৌর ভোট নিরপেক্ষতার বিচারে আগের নির্বাচনের ধারে কাছেও পৌঁছাতে পারেনি।
সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, আমাদের নির্বাচনী অঙ্গণকে পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সুজন কাজ করে চলেছে। এ লক্ষ্যে নির্বাচনে প্রদত্ত হলফনামার তথ্যগুলো বিশে¬ষণ করে ভোটারদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরছে। আমরা সুজন-এর পক্ষ থেকে বলেছি যে, দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফল শুভ হয় না। আমরা বিগত পৌর নির্বাচনে সেটিই লক্ষ করেছি। তাই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার ও প্রকৌশলী মুসবাহ আলী উপস্থিত ছিলেন।
No comments