ঢাকার পথে নূর হোসেন
অবশেষে
দেশের পথে বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি নূর
হোসেন। গতকাল সন্ধ্যায় তাকে পশ্চিমবঙ্গের দমদম কারাগার থেকে পেট্রাপোল
সীমান্তের দিকে নিয়ে রওনা হয় ভারতীয় পুলিশের একটি দল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে
রাতেই তাকে বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির হাতে তুলে দেয়া হবে। এদিকে নারায়ণগঞ্জ
জেলা পুলিশের একটি দলও রাতেই যশোরের বেনাপোল সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছে।
বিজিবির কাছ থেকে নূর হোসেনকে বুঝে নিয়ে সকালের মধ্যেই তারা নারায়ণগঞ্জে
ফিরবেন। সকালে তাকে নারায়ণগঞ্জের জেলা জজ আদালতে তুলে সাত খুনের মামলায়
গ্রেপ্তার দেখানো হবে। নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ
উদ্দিন গতকাল সন্ধ্যায় জানান, নূর হোসেনকে আনতে পুলিশের একটি টিম বেনাপোলের
দিকে রওনা দিয়েছে। অপরদিকে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ
জানিয়েছেন, বিএসএফের পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু কখন
হস্তান্তর করা হবে সেই সময় বলেনি। তারা (বিএসএফ) নূর হোসেনকে হাতে পেলে
সময় নির্ধারণ করবে। সর্বোচ্চ আধ ঘণ্টার মধ্যে বিজিবির প্রতিনিধি দল নূর
হোসেনকে গ্রহণ করতে পারবে।
উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে পাওয়ার এক দিনের মাথায় সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত। ২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে র্যাবের একটি দল। এর তিন দিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সবারই হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সেসময় অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকা র্যাবকে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে মামলার তদন্তেও এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর গত ৮ই এপ্রিল নূর হোসেন এবং র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এদিকে সাত খুনের মামলার অন্যতম এই আসামি ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যায়। তবে ভারতে গিয়ে বেশি দিন পালিয়ে থাকতে পারেনি। গত বছর ১৪ই জুন কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই সহযোগীসহ নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল নূর হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের স্থায়ীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নূর হোসেনকে বের করা হয়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুই গোয়েন্দা অফিসারের হাতে নূর হোসেনকে তুলে দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন দমদম সংশোধনাগারের সুপার নবীন সাহা। এ সময় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দুজন কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওই গোয়েন্দা দল নূর হোসেনকে নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তের দিকে রওনা হয়। এদিকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি দল আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুলিপি নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বেনাপোলের দিকে রওনা হন। সাত খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মামুনর রশীদ মণ্ডলও এই দলে রয়েছেন। সূত্র জানায়, রাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কড়া প্রহরায় তাকে নিয়ে পুলিশের গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা দেবে। বেনাপোল থেকে নারায়ণগঞ্জ আসার পথে প্রতিটি জেলার পুলিশ সদস্যরা তাদের নির্ধারিত এলাকা পর্যন্ত নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সাত খুন মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এ কারণে নূর হোসেনকে এখন আর আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোন সুযোগ নেই। তাকে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, এই মামলায় নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেয়া না হলেও তাকে অন্য কোন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এদিকে আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাত ৯টার আগেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের একটি দল ও বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড- বিজিবির একটি দল বেনাপোলের নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করছে। পুরো এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিএসএফ সদস্যদের কাছ থেকে নূর হোসেনকে বুঝিয়ে নেয়ার পরপরই বিজিবি সদস্যরা তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের দলের কাছে বুঝিয়ে দেবে। জেলা পুলিশ তাকে নিয়ে সোজা নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবে।
যে প্রক্রিয়ায় আনা হচ্ছে: কলকাতায় আটক হওয়ার পর থেকেই নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছিল। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাতে সবুজ সংকেত দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১১ ধারা অনুযায়ী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনে আনা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারি কৌঁসুলি আদালতে আবেদন জানান। আবেদনে মামলা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে, নূর হোসেন বাংলাদেশের একজন দাগি অপরাধী। তার নামে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ রয়েছে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার এড়াতেই তিনি ভারতে গিয়ে বেআইনিভাবে আত্মগোপন করে ছিলেন। গত ১৬ই অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সন্দীপ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন অনুযায়ী সব অভিযোগ তুলে দেওয়ার অনুমতি প্রদানের পাশাপাশি নূর হোসেনকে ‘এক্ষুনি’ ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে ফেরত পাঠানোর অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল। তবে আদালতে পূজাবকাশ চললেও গত মাসেই রায়ের কপি দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও দুর্গোৎসবের ছুটির জন্য কাজে গতি আসেনি। তবে অনুপ চেটিয়াকে ফেরত পাঠানোর পর ভারত সরকারও নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাতে তৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘ ১৬ মাস নূর হোসেন দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। এর আগে গত বছরের ১৪ই জুন কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরে কৈখালিতে ভিআইপি রোডের উপর সুবিশাল ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনের এ ব্লকের একটি বাড়ির চারতলার ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগী খান সুমন ও ওহিদুল জামানকে। ১৫ই জুন বারাসাত আদালতে পুলিশ যে কেস ডায়েরি পেশ করেছিল তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সিমরাইয়ের বাসিন্দা নূর হোসেন ওরফে চেয়ারম্যান, বন্দর থানার কুড়ি পাড়ার ওহিদুল জামান শালিম ওরফে শালিম ও ফতুল্লা থানার বাসরবাদের খান সুমন ওরফে বিট্টুকে অবৈধভাবে ভারতের অনুপ্রবেশের দায়ে বিদেশী আইনের ১৪ ধারায় মামলা করা হয়।
উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে পাওয়ার এক দিনের মাথায় সাত খুনের আসামি নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাচ্ছে ভারত। ২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করে র্যাবের একটি দল। এর তিন দিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সবারই হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম সেসময় অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকা র্যাবকে দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা নূর হোসেন ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে মামলার তদন্তেও এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর পর গত ৮ই এপ্রিল নূর হোসেন এবং র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এদিকে সাত খুনের মামলার অন্যতম এই আসামি ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যায়। তবে ভারতে গিয়ে বেশি দিন পালিয়ে থাকতে পারেনি। গত বছর ১৪ই জুন কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দুই সহযোগীসহ নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল নূর হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের স্থায়ীয় সময় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নূর হোসেনকে বের করা হয়। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুই গোয়েন্দা অফিসারের হাতে নূর হোসেনকে তুলে দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন দমদম সংশোধনাগারের সুপার নবীন সাহা। এ সময় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের দুজন কর্মকর্তাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওই গোয়েন্দা দল নূর হোসেনকে নিয়ে পেট্রাপোল সীমান্তের দিকে রওনা হয়। এদিকে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি দল আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অনুলিপি নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বেনাপোলের দিকে রওনা হন। সাত খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মামুনর রশীদ মণ্ডলও এই দলে রয়েছেন। সূত্র জানায়, রাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কড়া প্রহরায় তাকে নিয়ে পুলিশের গাড়িটি নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা দেবে। বেনাপোল থেকে নারায়ণগঞ্জ আসার পথে প্রতিটি জেলার পুলিশ সদস্যরা তাদের নির্ধারিত এলাকা পর্যন্ত নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সাত খুন মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এ কারণে নূর হোসেনকে এখন আর আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের কোন সুযোগ নেই। তাকে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, এই মামলায় নূর হোসেনকে রিমান্ডে নেয়া না হলেও তাকে অন্য কোন মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
এদিকে আমাদের বেনাপোল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রাত ৯টার আগেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের একটি দল ও বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড- বিজিবির একটি দল বেনাপোলের নো ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান করছে। পুরো এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিএসএফ সদস্যদের কাছ থেকে নূর হোসেনকে বুঝিয়ে নেয়ার পরপরই বিজিবি সদস্যরা তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের দলের কাছে বুঝিয়ে দেবে। জেলা পুলিশ তাকে নিয়ে সোজা নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবে।
যে প্রক্রিয়ায় আনা হচ্ছে: কলকাতায় আটক হওয়ার পর থেকেই নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছিল। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাতে সবুজ সংকেত দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১১ ধারা অনুযায়ী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স আইনে আনা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারি কৌঁসুলি আদালতে আবেদন জানান। আবেদনে মামলা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে, নূর হোসেন বাংলাদেশের একজন দাগি অপরাধী। তার নামে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ রয়েছে। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার এড়াতেই তিনি ভারতে গিয়ে বেআইনিভাবে আত্মগোপন করে ছিলেন। গত ১৬ই অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সন্দীপ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন অনুযায়ী সব অভিযোগ তুলে দেওয়ার অনুমতি প্রদানের পাশাপাশি নূর হোসেনকে ‘এক্ষুনি’ ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে ফেরত পাঠানোর অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল। তবে আদালতে পূজাবকাশ চললেও গত মাসেই রায়ের কপি দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হলেও দুর্গোৎসবের ছুটির জন্য কাজে গতি আসেনি। তবে অনুপ চেটিয়াকে ফেরত পাঠানোর পর ভারত সরকারও নূর হোসেনকে ফেরত পাঠাতে তৎপরতা শুরু করে। দীর্ঘ ১৬ মাস নূর হোসেন দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। এর আগে গত বছরের ১৪ই জুন কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরে কৈখালিতে ভিআইপি রোডের উপর সুবিশাল ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনের এ ব্লকের একটি বাড়ির চারতলার ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগী খান সুমন ও ওহিদুল জামানকে। ১৫ই জুন বারাসাত আদালতে পুলিশ যে কেস ডায়েরি পেশ করেছিল তাতে বলা হয়, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সিমরাইয়ের বাসিন্দা নূর হোসেন ওরফে চেয়ারম্যান, বন্দর থানার কুড়ি পাড়ার ওহিদুল জামান শালিম ওরফে শালিম ও ফতুল্লা থানার বাসরবাদের খান সুমন ওরফে বিট্টুকে অবৈধভাবে ভারতের অনুপ্রবেশের দায়ে বিদেশী আইনের ১৪ ধারায় মামলা করা হয়।
No comments