টিপুকে ঘিরে কর্ণাটক উত্তাল
অষ্টাদশ
শতকের শাসক টিপু সুলতানের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে ভারতের
কর্ণাটক রাজ্যে অশান্তি শুরু হয়েছে। কংগ্রেসশাসিত এ রাজ্যে ইতিমধ্যেই
দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও চিত্রাভিনেতা এবং
জ্ঞানপীঠ পুরস্কারপ্রাপ্ত গিরিশ কারনাডকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুর হুমকি পেয়েছেন বিজেপির সাংসদ প্রতাপ সিমহাও। এই বিতর্কের মাঝেই
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আজ শুক্রবার কর্ণাটক বন্ধের ডাক
দিয়েছে।
কর্ণাটকের মহিশুর রাজ্যের শাসক ছিলেন টিপু সুলতান। ১৭৫০ সালের ২০ নভেম্বর তাঁর জন্ম। টিপু কেমন শাসক ছিলেন তা নিয়ে বিরোধ আছে। কেউ কেউ মনে করেন, টিপু ছিলেন উদার, পরধর্মসহিষ্ণু এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তিনি মাটি কামড়ে লড়াই করেছেন। তিনিই প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী। কারও মতে, তিনি ছিলেন স্বৈরাচারী শাসক। জোর করে তাঁকে ধর্মনিরপেক্ষ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। সেই টিপু সুলতানের জন্ম উদ্যাপন শুরু হয়েছে ১০ নভেম্বর থেকে। জন্মের ২৬৫ বছর পরে হঠাৎ কেন রাজ্যের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া টিপু সুলতানের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন, তাও আবার জন্মের ১০ দিন আগে, বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সেই প্রশ্ন তুলে অনুষ্ঠানের বিরোধিতা শুরু করেছেন। ইতিহাস অনুযায়ী, ১০ নভেম্বর তিনি কর্ণাটকের ৭০০ বাসিন্দাকে ফাঁসিতে লটকেছিলেন। অশান্তি এ নিয়েই।
এই বিতর্কের মাঝেই গিরিশ কারনাডের এক মন্তব্য আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। সরকারি অনুষ্ঠানে গত বুধবার বিশিষ্ট এই নাট্যকার প্রস্তাব দেন, রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের নাম শহরের প্রতিষ্ঠাতা কেম্পেগৌড়ার বদলে টিপু সুলতানের নামে রাখা হোক। এই মন্তব্যের পরেই টুইটারে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, যুক্তিবাদী লেখক এম এম কালবুর্গির মতো তাঁকেও মরতে হবে। পরে টুইটারের পোস্টটি তুলে নেওয়া হয়।
প্রায় একই সময়ে হত্যার হুমকি পান রাজ্যের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, টিপু সুলতানের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের মাধ্যমে কংগ্রেস রাজ্যে হিংসা ছড়াতে চাইছে। স্থানীয় থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি অভিযোগ করেন, ফেসবুকে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বিতর্ককে ঘিরে হত্যার হুমকি ও রাজ্যে বন্ধের ডাককে ঘিরে কর্ণাটক উত্তাল। গিরিশ তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, তিনি কাউকে আঘাত দিতে চাননি। তবে সেই সঙ্গে তিনি টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভিকে এ কথাও বলেছেন, টিপু সুলতান ইস্যু নন, দেশের রাজনীতি কোন খাতে বইছে, এটা তারই উদাহরণ। গোলমাল বা গুন্ডাগিরি রাস্তার লোকজন করে না, করেন রাজনৈতিক নেতারা। যাঁরা ভাবেন তাঁদের জ্ঞানগম্যি অন্যদের চেয়ে বেশি। হুমকির পর গিরিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কর্ণাটকের মহিশুর রাজ্যের শাসক ছিলেন টিপু সুলতান। ১৭৫০ সালের ২০ নভেম্বর তাঁর জন্ম। টিপু কেমন শাসক ছিলেন তা নিয়ে বিরোধ আছে। কেউ কেউ মনে করেন, টিপু ছিলেন উদার, পরধর্মসহিষ্ণু এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তিনি মাটি কামড়ে লড়াই করেছেন। তিনিই প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী। কারও মতে, তিনি ছিলেন স্বৈরাচারী শাসক। জোর করে তাঁকে ধর্মনিরপেক্ষ আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। সেই টিপু সুলতানের জন্ম উদ্যাপন শুরু হয়েছে ১০ নভেম্বর থেকে। জন্মের ২৬৫ বছর পরে হঠাৎ কেন রাজ্যের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া টিপু সুলতানের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন, তাও আবার জন্মের ১০ দিন আগে, বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে সেই প্রশ্ন তুলে অনুষ্ঠানের বিরোধিতা শুরু করেছেন। ইতিহাস অনুযায়ী, ১০ নভেম্বর তিনি কর্ণাটকের ৭০০ বাসিন্দাকে ফাঁসিতে লটকেছিলেন। অশান্তি এ নিয়েই।
এই বিতর্কের মাঝেই গিরিশ কারনাডের এক মন্তব্য আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। সরকারি অনুষ্ঠানে গত বুধবার বিশিষ্ট এই নাট্যকার প্রস্তাব দেন, রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের নাম শহরের প্রতিষ্ঠাতা কেম্পেগৌড়ার বদলে টিপু সুলতানের নামে রাখা হোক। এই মন্তব্যের পরেই টুইটারে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয়, যুক্তিবাদী লেখক এম এম কালবুর্গির মতো তাঁকেও মরতে হবে। পরে টুইটারের পোস্টটি তুলে নেওয়া হয়।
প্রায় একই সময়ে হত্যার হুমকি পান রাজ্যের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহা। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেছিলেন, টিপু সুলতানের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনের মাধ্যমে কংগ্রেস রাজ্যে হিংসা ছড়াতে চাইছে। স্থানীয় থানায় গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি অভিযোগ করেন, ফেসবুকে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বিতর্ককে ঘিরে হত্যার হুমকি ও রাজ্যে বন্ধের ডাককে ঘিরে কর্ণাটক উত্তাল। গিরিশ তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, তিনি কাউকে আঘাত দিতে চাননি। তবে সেই সঙ্গে তিনি টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভিকে এ কথাও বলেছেন, টিপু সুলতান ইস্যু নন, দেশের রাজনীতি কোন খাতে বইছে, এটা তারই উদাহরণ। গোলমাল বা গুন্ডাগিরি রাস্তার লোকজন করে না, করেন রাজনৈতিক নেতারা। যাঁরা ভাবেন তাঁদের জ্ঞানগম্যি অন্যদের চেয়ে বেশি। হুমকির পর গিরিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
No comments