আমরা শুধু ক্রিম খাবো
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
শাস্ত্র কী বাংলাদেশে নতুন করে লেখা হচ্ছে। এ প্রশ্নটি একেবারে আচমকা নয়।
গত কয়েক বছর ধরেই এ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা চলছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বেশ কিছু
নতুন কিসিমের উপাদান আমরা আমদানি করেছি। স্বামী প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত
স্ত্রী বিরোধী দলের নেত্রী- এটি এক অভিনব ব্যবস্থা। একই দলের সরকার ও
প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসাও যেমন নতুন। তবে নতুনত্বের এখানেও শেষ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন হুসেইন
মুহম্মদ এরশাদ। আবার তিনি মাঝে মধ্যেই কঠোর ভাষায় সমালোচনা করছেন সরকারের।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে যথারীতি তিনি আবারও সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা
করেন। এ সংবাদ সম্মেলনেও অবশ্য এরশাদ আসেন সরকারি পাজেরো জিপে চড়ে। গাড়িতে
জাতীয় পতাকা ছিল। সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, সরকার সাংবিধানিক দায়িত্ব
পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ সময় একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রীর
বিশেষ দূত হিসাবে সরকারের এসব ব্যর্থতার দায়ভার আপনি নিবেন কিনা? এ
প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, এটা আমার জন্য খুব স্পর্শকাতর বিষয়। আমি এটা
নিয়ে কথা বলতে চাই না। তখন পাশে থাকা জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন
আহমেদ বাবলু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত একটি আলঙ্কারিক পদ। এটি
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই আছে। তার মূল পদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। বর্তমান
পরিস্থিতির দায় জাতীয় পার্টি নেবে না।
জাতীয় পার্টির এই অবস্থানে অনেকে একটি পুরনো শ্লোক স্মরণ করেছেন- কচি পাঠা-বৃদ্ধ মেষ, দুধের অগ্র-ঘোলের শেষ। ক্ষমতার সব স্বাদই গ্রহণ করা হবে কিন্তু কোন দায়িত্ব নেয়া হবে না। এ যেন আমরা খালি ক্রিম খাবো। অথচ ক্ষমতা এবং দায়িত্ব শব্দ দুটি পরস্পর সম্পর্কিত। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ক্ষমতা ভোগ করলে দায়িত্ব না নেয়ার কোন উপায় নেই। রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ড. নুরুল আমিন বেপারি এ প্রসঙ্গে মানবজমিনকে বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি আজব ধরনের সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে রয়েছে। অথচ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সে সময় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাকে জোর করে এমপি বানানো হয়েছে। নুরুল আমিন বেপারি বলেন, জাতীয় পার্টি মন্ত্রিসভায় রয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। তাই জাতীয় পার্টি এবং এরশাদের দায় অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই।
জাতীয় পার্টির এই অবস্থানে অনেকে একটি পুরনো শ্লোক স্মরণ করেছেন- কচি পাঠা-বৃদ্ধ মেষ, দুধের অগ্র-ঘোলের শেষ। ক্ষমতার সব স্বাদই গ্রহণ করা হবে কিন্তু কোন দায়িত্ব নেয়া হবে না। এ যেন আমরা খালি ক্রিম খাবো। অথচ ক্ষমতা এবং দায়িত্ব শব্দ দুটি পরস্পর সম্পর্কিত। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ক্ষমতা ভোগ করলে দায়িত্ব না নেয়ার কোন উপায় নেই। রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ড. নুরুল আমিন বেপারি এ প্রসঙ্গে মানবজমিনকে বলেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি আজব ধরনের সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে রয়েছে। অথচ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সে সময় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাকে জোর করে এমপি বানানো হয়েছে। নুরুল আমিন বেপারি বলেন, জাতীয় পার্টি মন্ত্রিসভায় রয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। তাই জাতীয় পার্টি এবং এরশাদের দায় অস্বীকারের কোন সুযোগ নেই।
No comments